নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ডাইভারসিটি প্লাজা সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টের দেয়ালে আঁকা ‘সেলিব্রেশন অব ডাইভারসিটি: মেমোরি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক ম্যুরালে শ্যেনদৃষ্টি পড়েছে। এটি এখন ঢাকা পড়েছে বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি হোমকেয়ারের বিজ্ঞাপনে। ম্যুরাল আঁকার আগে সেখানে কখনোই কোনো বিজ্ঞাপন ছিল না। মুনাফার লোভে নাকি কোনো মহলের চাপে পড়ে রেস্টুরেন্টটির মালিক বাংলাদেশ ম্যুরালটিকে ধ্বংস করছেন তা নিয়ে নানান কথা শোনা যাচ্ছে।
অনেকে বলছেন, রেস্টুরেন্টটির মালিক বাংলাদেশি হলেও ভবনটির মালিক একজন পাকিস্তানি। তিনি চান না তার ভবনের দেয়ালে স্বাধীন বাংলাদেশের ম্যুরাল থাকুক। কেউ কেউ বলছেন, রেস্টুরেন্ট মালিক আজিজুল এইচ. চৌধুরীকে মোটা অংকের লোভ দেখানো হয়েছে। আর এতেই তিনি রাজি হয়েছেন। একবারও তিনি তার মাতৃভূমির কৃষ্টি-সংস্কৃতির কথা ভাবেননি। একজন শিল্পীর শিল্পকর্মকে মূল্যায়ন করেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আজিজুল এইচ. চৌধুরী ঠিকানার কাছে দাবি করেন- ম্যুরালটি এক মাস স্থায়ী হবে বলে তার কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। সেখানে ছয় মাস রাখা হয়েছে। তিনি এও বলেন, ‘ম্যুরালে অন্য একটি কোম্পানির বিজ্ঞাপন রয়েছে। যেটি থাকার কথা নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমার ওয়াল আমি ভাড়া দিয়েছি। এটা আমার ব্যাপার।’
বিজ্ঞাপনের জন্য দেয়াল ভাড়া দেওয়ার জন্য সিটির অনুমতি আছে কীনা জানতে চাইলে আজিজুল এইচ. চৌধুরী বলেন, লাইটিং-এর জন্য সিটির অনুমতি লাগে। তারপরও তার প্রয়োজনীয় অনুমতি আছে।
এ ব্যাপারে শিল্পী জিহানের বাবা ও সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ খান বলেন, ‘ম্যুরালটি বিজ্ঞাপনে ঢেকে দেওয়ার খবরে জিহান কষ্ট পেয়েছেন। একজন শিল্পীর শিল্পীসত্ত্বাকে অপমান করা হয়েছে। তিনি বলেন, একটি ম্যুরাল কখনো স্বল্প সময়ের জন্য আঁকা হয় না। শিল্পী জিহানের আঁকা শিল্পকর্ম জনএফ কেনেডি বিমানবন্দরের দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে। এছাড়া সিটির বিভিন্ন স্থানে তার শিল্পকর্ম রয়েছে। একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিল্পী হিসাবে জিহান বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনছে। অথচ ডাইভারসিটি প্লাজায় ‘সেলিব্রেশন অব ডাইভারসিটি: মেমোরি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক ম্যুরালটি ধ্বংস করা হচ্ছে। এটি একটি নিন্দনীয় কাজ।
তিনি আরো জানান, নিউইয়র্ক সিটির হেলথ অ্যান্ড হসপিটালস বিভাগ সম্প্রতি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন হাসপাতালগুলোতে ম্যুরাল আঁকার জন্যে ১০ জন শিল্পীকে নির্বাচন করেছে। নির্বাচিতদের মধ্যে একজন শিল্পী জিহান ওয়াজেদ। তার শিল্পকর্ম দেয়াল চিত্র ও নৃত্য দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং তিনিই প্রথম অগ্রবর্তী বাস্তববাদী শিল্পী, যাকে হেলথ এন্ড হসপিটালস কমিউনিটি ম্যুরাল প্রকল্পের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।
ম্যুরালটিতে বাংলাদেশের চিরায়ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য তুলে ধরেছেন জিহান ওয়াজেদ। বাংলাদেশের রূপ, গন্ধ সুষমার ছোঁয়া রয়েছে ম্যুরালটিতে। ভাসমান নৌকা থেকে ঝিলের পানিতে ফুটন্ত জাতীয় ফুল শাপলা তুলছে এক তরুণী। গ্রাম-বাংলার এমন দৃশ্য আপ্লুত করছে অনেককেই। উদ্বোধনের পর প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ ভীড় করছেন ম্যুরালটি দেখতে। অনেকে ছবি দিচ্ছেন ফেসবুকে।
ম্যুরালটির উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান স্টিভেন রাগা, জেসিকা রোজাস প্রমুখ। কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান ডাইভারসিটি প্লাজার মুর্যালটি জ্যাকসন হাইটস এলাকার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করেছে এবং নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করেছে বলে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ম্যুরালের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে যে বিজ্ঞাপন লাগানো হয়েছে সেই হোমকেয়ার প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপনের প্রকাশিতব্য একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ও একটি আইপি টিভির নামও রয়েছে।
অনেকে বলছেন, রেস্টুরেন্টটির মালিক বাংলাদেশি হলেও ভবনটির মালিক একজন পাকিস্তানি। তিনি চান না তার ভবনের দেয়ালে স্বাধীন বাংলাদেশের ম্যুরাল থাকুক। কেউ কেউ বলছেন, রেস্টুরেন্ট মালিক আজিজুল এইচ. চৌধুরীকে মোটা অংকের লোভ দেখানো হয়েছে। আর এতেই তিনি রাজি হয়েছেন। একবারও তিনি তার মাতৃভূমির কৃষ্টি-সংস্কৃতির কথা ভাবেননি। একজন শিল্পীর শিল্পকর্মকে মূল্যায়ন করেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আজিজুল এইচ. চৌধুরী ঠিকানার কাছে দাবি করেন- ম্যুরালটি এক মাস স্থায়ী হবে বলে তার কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। সেখানে ছয় মাস রাখা হয়েছে। তিনি এও বলেন, ‘ম্যুরালে অন্য একটি কোম্পানির বিজ্ঞাপন রয়েছে। যেটি থাকার কথা নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমার ওয়াল আমি ভাড়া দিয়েছি। এটা আমার ব্যাপার।’
বিজ্ঞাপনের জন্য দেয়াল ভাড়া দেওয়ার জন্য সিটির অনুমতি আছে কীনা জানতে চাইলে আজিজুল এইচ. চৌধুরী বলেন, লাইটিং-এর জন্য সিটির অনুমতি লাগে। তারপরও তার প্রয়োজনীয় অনুমতি আছে।
এ ব্যাপারে শিল্পী জিহানের বাবা ও সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ খান বলেন, ‘ম্যুরালটি বিজ্ঞাপনে ঢেকে দেওয়ার খবরে জিহান কষ্ট পেয়েছেন। একজন শিল্পীর শিল্পীসত্ত্বাকে অপমান করা হয়েছে। তিনি বলেন, একটি ম্যুরাল কখনো স্বল্প সময়ের জন্য আঁকা হয় না। শিল্পী জিহানের আঁকা শিল্পকর্ম জনএফ কেনেডি বিমানবন্দরের দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে। এছাড়া সিটির বিভিন্ন স্থানে তার শিল্পকর্ম রয়েছে। একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিল্পী হিসাবে জিহান বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনছে। অথচ ডাইভারসিটি প্লাজায় ‘সেলিব্রেশন অব ডাইভারসিটি: মেমোরি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক ম্যুরালটি ধ্বংস করা হচ্ছে। এটি একটি নিন্দনীয় কাজ।
তিনি আরো জানান, নিউইয়র্ক সিটির হেলথ অ্যান্ড হসপিটালস বিভাগ সম্প্রতি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন হাসপাতালগুলোতে ম্যুরাল আঁকার জন্যে ১০ জন শিল্পীকে নির্বাচন করেছে। নির্বাচিতদের মধ্যে একজন শিল্পী জিহান ওয়াজেদ। তার শিল্পকর্ম দেয়াল চিত্র ও নৃত্য দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং তিনিই প্রথম অগ্রবর্তী বাস্তববাদী শিল্পী, যাকে হেলথ এন্ড হসপিটালস কমিউনিটি ম্যুরাল প্রকল্পের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।
ম্যুরালটিতে বাংলাদেশের চিরায়ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য তুলে ধরেছেন জিহান ওয়াজেদ। বাংলাদেশের রূপ, গন্ধ সুষমার ছোঁয়া রয়েছে ম্যুরালটিতে। ভাসমান নৌকা থেকে ঝিলের পানিতে ফুটন্ত জাতীয় ফুল শাপলা তুলছে এক তরুণী। গ্রাম-বাংলার এমন দৃশ্য আপ্লুত করছে অনেককেই। উদ্বোধনের পর প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ ভীড় করছেন ম্যুরালটি দেখতে। অনেকে ছবি দিচ্ছেন ফেসবুকে।
ম্যুরালটির উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান স্টিভেন রাগা, জেসিকা রোজাস প্রমুখ। কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান ডাইভারসিটি প্লাজার মুর্যালটি জ্যাকসন হাইটস এলাকার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করেছে এবং নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করেছে বলে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ম্যুরালের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে যে বিজ্ঞাপন লাগানো হয়েছে সেই হোমকেয়ার প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপনের প্রকাশিতব্য একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ও একটি আইপি টিভির নামও রয়েছে।