গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর পর নিউইয়র্ক সিটির সাবওয়েতে বিনা টিকেটে প্রবেশ বেড়েই চলেছে। বিনা টিকেটে প্রবেশের দায়ে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক যাত্রীকে আটক ও
জরিমানা করছে পুলিশ। এই প্রবণতা বাড়ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও।
নিউইয়র্ক পুলিশের ট্রানজিট বিভাগে কর্মকর্তা একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকানাকে জানান, নিউইয়র্ক পুলিশের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশিদের আইন না মানার প্রবণতা বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে কুইন্সে এই প্রবণতা বেশী। তিনি বলেন, নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে বাংলাদেশিদের সুনাম রয়েছে। একজন বাংলাদেশি হিসাবে এ ঘটনা দুঃখজনক ও বিব্রতকর।
তিনি জানান, কুইন্সে রুজভেল্ট অ্যাভিনিউ ও জ্যাকসন হাইটস স্টেশনে প্রতিদিন অগণিত যাত্রী লাফিয়ে টার্নস্টাইল গেট অতিক্রম করছে। এ পর্যন্ত যত গ্রেপ্তার, তাদের মধ্যে প্রবাসী তরুণ বাংলাদেশিরাও রয়েছে। তিনি আরো জানান, সাবওয়েতে অপরাধের দায়ে পুলিশের সাইটেশন বা টিকেট যাকে দেওয়া হয় দীর্ঘদিন তাকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেকসময় আদালতেও যেতে হয়। আদালতে মীমাংসা হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সিটিজেনশিপ আবেদনে এই টিকেটের প্রভাব পড়ে। জরিমানা প্রদান ও শাস্তির পরও সিটিজেনশিপ আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে লম্বা সময় লাগে।
নিউইয়র্ক সিটিকে কর্মরত আরেকজন বাংলাদেশি কর্মকর্তা বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে বাস ও সাবওয়ের ভাড়া বেড়েছে। এজন্য অর্ধেক ভাড়ায় চড়ার জন্য নগরবাসীকে অনেক সুযোগ দিচ্ছে সিটি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ সিটির এসব সুযোগ না নিয়ে আইন অমান্য করছে। তিনি বলেন, আইন অমান্য করে বিনা ভাড়ায় চড়ার এ অভ্যাস গণপরিবহন ব্যবস্থার অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, কিছু মানুষ সত্যিই তাদের ভ্রমণের জন্য অর্থ দিতে পারেন না। কিছু লোক সম্ভবত চার বছর আগে মহামারীর শুরুতে বিনামূল্যে বাসে যাতায়াতের অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তারা মনে করেন, তাদের জন্য মেট্রোকার্ড ব্যবহার করা অস্বস্তিকর অথবা তারা শুধু বিনামূল্যে যাতায়াতের জন্য অধিকারী মনে করেন।
এদিকে মেট্রোপলিটান ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটি (এমটিএ) এই সামারে বিলিয়ন ডলারের নতুন রাজস্ব সংগ্রহ শুরু করার আশা করছে। কিন্তু যারা ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাদের অনীহার কারণে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।
একটি সূত্র জানায়, এমটিএ তার বার্ষিক ১৯ বিলিয়ন ডলার অপারেটিং বাজেটের ঘাটতি পূরণের জন্য ভাড়ার ওপর নির্ভরশীল। এখন পরিবহন যাত্রীদের সংখ্যা মহামারীর পূর্বের উচ্চতা থেকে মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ এবং ২০২০ সালের প্রথম কয়েক মাসের তুলনায় ভাড়া ২৬% কমে গেছে। মহামারীর আগে ভাড়া ফাঁকি দেওয়ার কারণে ট্রানজিট সিস্টেম ২০০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার হারিয়েছে। তবে ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা ৬৯০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বেড়েছে।
গত বছর বাস ভাড়া ফাঁকি দেওয়ার ফলে এমটিএ’র ৩১৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে, যা সাবওয়ে ভাড়া ফাঁকি দেওয়ার ২৮৫ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় বেশি। ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে, স্থানীয় বাসের যাত্রীদের ৪৫% তাদের ভাড়া পরিশোধ না করে উঠেছে, যা ২০১৯ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে ২১% ছিল। একই সময়ের মধ্যে সাবওয়ে যাত্রীদের ১৩% টার্নস্টাইল অতিক্রম করেছে, যা ২০১৯ সালের শেষে ৫% ছিল।
জরিমানা করছে পুলিশ। এই প্রবণতা বাড়ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও।
নিউইয়র্ক পুলিশের ট্রানজিট বিভাগে কর্মকর্তা একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকানাকে জানান, নিউইয়র্ক পুলিশের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশিদের আইন না মানার প্রবণতা বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে কুইন্সে এই প্রবণতা বেশী। তিনি বলেন, নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে বাংলাদেশিদের সুনাম রয়েছে। একজন বাংলাদেশি হিসাবে এ ঘটনা দুঃখজনক ও বিব্রতকর।
তিনি জানান, কুইন্সে রুজভেল্ট অ্যাভিনিউ ও জ্যাকসন হাইটস স্টেশনে প্রতিদিন অগণিত যাত্রী লাফিয়ে টার্নস্টাইল গেট অতিক্রম করছে। এ পর্যন্ত যত গ্রেপ্তার, তাদের মধ্যে প্রবাসী তরুণ বাংলাদেশিরাও রয়েছে। তিনি আরো জানান, সাবওয়েতে অপরাধের দায়ে পুলিশের সাইটেশন বা টিকেট যাকে দেওয়া হয় দীর্ঘদিন তাকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেকসময় আদালতেও যেতে হয়। আদালতে মীমাংসা হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সিটিজেনশিপ আবেদনে এই টিকেটের প্রভাব পড়ে। জরিমানা প্রদান ও শাস্তির পরও সিটিজেনশিপ আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে লম্বা সময় লাগে।
নিউইয়র্ক সিটিকে কর্মরত আরেকজন বাংলাদেশি কর্মকর্তা বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে বাস ও সাবওয়ের ভাড়া বেড়েছে। এজন্য অর্ধেক ভাড়ায় চড়ার জন্য নগরবাসীকে অনেক সুযোগ দিচ্ছে সিটি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ সিটির এসব সুযোগ না নিয়ে আইন অমান্য করছে। তিনি বলেন, আইন অমান্য করে বিনা ভাড়ায় চড়ার এ অভ্যাস গণপরিবহন ব্যবস্থার অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, কিছু মানুষ সত্যিই তাদের ভ্রমণের জন্য অর্থ দিতে পারেন না। কিছু লোক সম্ভবত চার বছর আগে মহামারীর শুরুতে বিনামূল্যে বাসে যাতায়াতের অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তারা মনে করেন, তাদের জন্য মেট্রোকার্ড ব্যবহার করা অস্বস্তিকর অথবা তারা শুধু বিনামূল্যে যাতায়াতের জন্য অধিকারী মনে করেন।
এদিকে মেট্রোপলিটান ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটি (এমটিএ) এই সামারে বিলিয়ন ডলারের নতুন রাজস্ব সংগ্রহ শুরু করার আশা করছে। কিন্তু যারা ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাদের অনীহার কারণে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।
একটি সূত্র জানায়, এমটিএ তার বার্ষিক ১৯ বিলিয়ন ডলার অপারেটিং বাজেটের ঘাটতি পূরণের জন্য ভাড়ার ওপর নির্ভরশীল। এখন পরিবহন যাত্রীদের সংখ্যা মহামারীর পূর্বের উচ্চতা থেকে মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ এবং ২০২০ সালের প্রথম কয়েক মাসের তুলনায় ভাড়া ২৬% কমে গেছে। মহামারীর আগে ভাড়া ফাঁকি দেওয়ার কারণে ট্রানজিট সিস্টেম ২০০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার হারিয়েছে। তবে ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা ৬৯০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বেড়েছে।
গত বছর বাস ভাড়া ফাঁকি দেওয়ার ফলে এমটিএ’র ৩১৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে, যা সাবওয়ে ভাড়া ফাঁকি দেওয়ার ২৮৫ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় বেশি। ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে, স্থানীয় বাসের যাত্রীদের ৪৫% তাদের ভাড়া পরিশোধ না করে উঠেছে, যা ২০১৯ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে ২১% ছিল। একই সময়ের মধ্যে সাবওয়ে যাত্রীদের ১৩% টার্নস্টাইল অতিক্রম করেছে, যা ২০১৯ সালের শেষে ৫% ছিল।