অনেকেই বাসাবাড়ি কিনতে গিয়ে নিজের পছন্দকে এত বেশি প্রাধান্য দেন এবং মনে করেন যে এর চেয়ে ভালো বাড়ি তিনি আর পাবেন না। তাই যেকোনোভাবেই হোক বা বেশি দামে হলেও বাড়িটা তাকে নিতেই হবে। পছন্দের বাড়িটা তিনি আস্কিং প্রাইসের চেয়ে বেশি দামে তো কিনবেনই, অ্যাপ্রাইজাল প্রাইস যদি কম আসে, তাও তিনি নেবেন। কোনো ক্রেতা যখন বাড়ি কেনার জন্য এমন আগ্রাসী হয়ে যান, তখন তার ঠকার শঙ্কা তৈরি হয়। কারণ তিনি বাসাবাড়ি কিনতে চাইছেন, এটা যখন বাড়ির মালিক বিক্রেতা বুঝে যান, সেই সঙ্গে রিয়েলটরও বুঝে যান যে এই বাড়ি তিনি নেবেনই, তখন তারা দাম ছাড়তে চান না মানে কমাতে চান না। আবার অ্যাপ্রাইজাল প্রাইস কম এলেও দেখা যায়, তারা সেখানে নেগোসিয়েশন করার চেষ্টা করেন না। ফলে যে দাম তার চেয়ে অনেক সময় বেশি দামেই বাড়ি কিনতে হয়। একজন ক্রেতা যত দামেই বাড়ি কিনুক না কেন ব্যাংক কিন্তু তার অ্যাপ্রাইজ করা দামই ঠিক করবে। বেশি দাম তারা ধরবে না। ওই দাম ধরেই তারা মূল্য পরিশোধ করবে।
এ বিষয়ে এক্সিট রিয়েলটি প্রাইমের কর্ণধার জামান মজুমদার বলেন, আমি সব সময় প্রেফার করি, কোনো বাসাবাড়ি ব্যাংকের লোন নেওয়ার সময় অ্যাপ্রাইজাল প্রাইস যা আসে, সে দামেই কিনতে হবে। কারও বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে তিনি তার সাধ্য ও বাজেটের মধ্যে বাড়ি কিনবেন। কারণ কেউ যদি বেশি দামে বাড়ি কেনেন, তাহলে অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসের বেশি দামটি তার পকেট থেকে দিতে হবে বা লোন বেশি নিতে হবে। ওই লোন দিতে গেলে এর ওপর ইন্টারেস্ট দিতে হবে। সেই ইন্টারেস্টের পরিমাণ ৩০ বছরে শোধ করতেও অনেক সময় লাগবে। অর্থও বেশি দিতে হবে। আমি ক্রেতাদের বলি, বাসা কিংবা বাড়ি অনেক পছন্দ হলেও অ্যাপ্রাইজাল প্রাইস থেকে বেশি দামে কিনতে যাবেন না।
তিনি বলেন, ক্রেতাকে মনে রাখতে হবে, অ্যাপ্রাইজাল প্রাইস করা হয় বাড়ির মার্কেট ভেল্যু অনুযায়ী। মার্কেটে একই রকমের বাসা ও বাড়ি কী দামে বিক্রি হচ্ছে, সেই দাম বিবেচনা করা হয়। বাসা বা বাড়ির বর্তমান অবস্থা দেখা হয়। কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে দামের তুলনা করা হয়। ফলে থার্ড পার্টি হিসেবে যেহেতু অ্যাপ্রাইজাল কোম্পানি একটি বাসা-বাড়ির অ্যাপ্রাইজাল করে, তাই এখানে কারও প্রতি পক্ষপাত করার সুযোগ থাকে না। কারও যদি ইনভেস্টমেন্ট প্রপার্টি হয়, তাহলে অবশ্যই অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রাইমারি হাউস হলে কিছুুটা ছাড় দেওয়া যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসে যদি কোনো বাসা-বাড়ির দাম কম আসে আস্কিং প্রাইস কিংবা কন্ট্রাক্ট প্রাইসের চেয়ে, তখন নিয়ম হলো বাড়ির মালিক অর্ধেক ছাড় দেবেন আর বিক্রেতা অর্ধেক ছাড় দেবেন। দুজনে মিলে অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসে কন্ট্রাক্ট প্রাইসের চেয়ে যে দাম কম এসেছে, এর মধ্যে যে ব্যবধান, সেই ব্যবধানে ছাড় দেবেন। বিক্রেতা যদি মনে করেন তিনি অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসে বিক্রি করবেন না, কন্ট্রাক্ট প্রাইসেই বিক্রি করবেন, তাহলে ডিল কিল করে দিতে হবে। এতে করে অ্যাটর্নিকে খেয়াল রাখতে হবে, ক্রেতা যাতে ডাউন পেমেন্টের অ্যাডভান্সড কন্ট্রাক্ট সাইনিং মানি দিয়েছেন, সেটা অবশ্যই ফেরত পান।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেউ কেউ আছেন রিয়েলটররা চাপ তৈরি করে বলেন, বাড়ি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তিনি না নিলে ক্যাশ বায়ার আছে। এমন হলেও সেই ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। ক্যাশ বায়ার থাকলে অন্য ক্রেতা যদি বাড়ি কিনতে চান কিনুন। আপনি আপনার সিদ্ধান্তে অটল থাকুন। অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসেই কিনুন। না হলে কিছুটা বেশিতে কিনুন। তবে অনেক বেশিতে অবশ্যই নয়। বাজার দামই হচ্ছে মূল দাম।
এ বিষয়ে এক্সিট রিয়েলটি প্রাইমের কর্ণধার জামান মজুমদার বলেন, আমি সব সময় প্রেফার করি, কোনো বাসাবাড়ি ব্যাংকের লোন নেওয়ার সময় অ্যাপ্রাইজাল প্রাইস যা আসে, সে দামেই কিনতে হবে। কারও বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে তিনি তার সাধ্য ও বাজেটের মধ্যে বাড়ি কিনবেন। কারণ কেউ যদি বেশি দামে বাড়ি কেনেন, তাহলে অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসের বেশি দামটি তার পকেট থেকে দিতে হবে বা লোন বেশি নিতে হবে। ওই লোন দিতে গেলে এর ওপর ইন্টারেস্ট দিতে হবে। সেই ইন্টারেস্টের পরিমাণ ৩০ বছরে শোধ করতেও অনেক সময় লাগবে। অর্থও বেশি দিতে হবে। আমি ক্রেতাদের বলি, বাসা কিংবা বাড়ি অনেক পছন্দ হলেও অ্যাপ্রাইজাল প্রাইস থেকে বেশি দামে কিনতে যাবেন না।
তিনি বলেন, ক্রেতাকে মনে রাখতে হবে, অ্যাপ্রাইজাল প্রাইস করা হয় বাড়ির মার্কেট ভেল্যু অনুযায়ী। মার্কেটে একই রকমের বাসা ও বাড়ি কী দামে বিক্রি হচ্ছে, সেই দাম বিবেচনা করা হয়। বাসা বা বাড়ির বর্তমান অবস্থা দেখা হয়। কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে দামের তুলনা করা হয়। ফলে থার্ড পার্টি হিসেবে যেহেতু অ্যাপ্রাইজাল কোম্পানি একটি বাসা-বাড়ির অ্যাপ্রাইজাল করে, তাই এখানে কারও প্রতি পক্ষপাত করার সুযোগ থাকে না। কারও যদি ইনভেস্টমেন্ট প্রপার্টি হয়, তাহলে অবশ্যই অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রাইমারি হাউস হলে কিছুুটা ছাড় দেওয়া যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসে যদি কোনো বাসা-বাড়ির দাম কম আসে আস্কিং প্রাইস কিংবা কন্ট্রাক্ট প্রাইসের চেয়ে, তখন নিয়ম হলো বাড়ির মালিক অর্ধেক ছাড় দেবেন আর বিক্রেতা অর্ধেক ছাড় দেবেন। দুজনে মিলে অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসে কন্ট্রাক্ট প্রাইসের চেয়ে যে দাম কম এসেছে, এর মধ্যে যে ব্যবধান, সেই ব্যবধানে ছাড় দেবেন। বিক্রেতা যদি মনে করেন তিনি অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসে বিক্রি করবেন না, কন্ট্রাক্ট প্রাইসেই বিক্রি করবেন, তাহলে ডিল কিল করে দিতে হবে। এতে করে অ্যাটর্নিকে খেয়াল রাখতে হবে, ক্রেতা যাতে ডাউন পেমেন্টের অ্যাডভান্সড কন্ট্রাক্ট সাইনিং মানি দিয়েছেন, সেটা অবশ্যই ফেরত পান।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেউ কেউ আছেন রিয়েলটররা চাপ তৈরি করে বলেন, বাড়ি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তিনি না নিলে ক্যাশ বায়ার আছে। এমন হলেও সেই ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। ক্যাশ বায়ার থাকলে অন্য ক্রেতা যদি বাড়ি কিনতে চান কিনুন। আপনি আপনার সিদ্ধান্তে অটল থাকুন। অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসেই কিনুন। না হলে কিছুটা বেশিতে কিনুন। তবে অনেক বেশিতে অবশ্যই নয়। বাজার দামই হচ্ছে মূল দাম।