গুজবে ভাসছে দেশ

প্রকাশ : ০১ অগাস্ট ২০২৪, ০৯:৫১ , অনলাইন ভার্সন
‘ঢাকার হাতিরঝিলে শতাধিক লাশ পড়ে আছে।’ কোটা আন্দোলনে সৃষ্টি সহিংসতার পর ফেসবুকে এ ধরনের নানান গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এখনো গুজবে ভাসছে দেশ। এসব গুজবের মধে রয়েছে- ‘কারফিউ অমান্য করে ঢাকার রাজপথে ছাত্ররা, কারফিউ অমান্য করে মিরপুর দখলে নিয়েছে ছাত্ররা, কোটা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা, কারফিউর মেয়াদ বাড়ছে’ ইত্যাদি। 
অন্যদিকে দিনের বেলা ঢাকার রাস্তায় তীব্র যানজটের ছবি ছাপা হচ্ছে পত্রিকায়। এসব দেখে প্রবাসীদের উৎকণ্ঠা কমছে না। বরং কি ঘটছে, কি হচ্ছে দেশে এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে প্রবাসীদের মনে। 
দেশব্যাপী ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় বহির্বিশ্ব, এমনকি দেশের ভেতরের এক অংশের সাথে আরেক অংশের যোগাযোগ বন্ধ ছিল কয়েকদিন। এমনকি খোদ রাজধানীতে কোথায় কি ঘটছে, তাও সাধারণ মানুষ জানতে পারছিলেন না। ফলে মানুষ যে যার কাছ থেকে যা কিছু শুনেছেন, তা ভেরিফাই করতে পারেননি। সবাই সবাইকে মোবাইলে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করছেন, কিন্তু ঘটনার সত্যতা নিরূপণ করতে পারছেন না কেউ। 
‘রাজধানীর কোথাও কোথাও পুলিশ কর্তৃক বাড়ি ঘেরাও করা হচ্ছে। বাসা থেকে যাকে খুশী তুলে নিয়ে যাচ্ছে’ - এ ধরনের খবরে প্রবাসীদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি সত্যি ঘটনা নাকি গুজব তা জানার কোনো সুযোগ নেই। 
নিউইয়র্কে এ প্রতিবেদক কথা বলেছেন একাধিক প্রবাসীর সঙ্গে। তাদের অনেকে বলছেন, ইতোপূর্বে রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মোট কতজন নিহত বা আহত হয়েছেন, তার সঠিক পরিসংখ্যানও কেউ দিতে পারছেন না। সব মিলিয়ে তাই গুজবে ভাসছে দেশ। এসকল গুজবের হয়তো কোনোটি সত্যি, কোনোটি আংশিক আবার কোনোটি একদমই না। 
প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমান সুজন বলেন, একবার শোনা গিয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে মারা গেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে মেরে ফেলা হয়েছে। একইভাবে খবর আসে যে, নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু পরে দেখা গেল কোনোটিই সত্যি নয়। 
প্রবাসী রিয়াজ আহমেদ বলেন, দেশে ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক ও হোয়াটসআপ বন্ধ রয়েছে। দেশে মায়ের সঙ্গে এখনো ঠিকমত কথা বলতে পারছি না। ভিডিও কল হয় না। এ অবস্থার মাঝে এত গুজব ভালো লাগে না। 
শরীফ মিল্টন নামে একজন প্রবাসী বলেন, আমার দুই ভাগ্নে কলেজ পড়ুয়া। তাদের নিয়ে বাড়ির সবাই উদ্বিগ্ন। শুনেছি ছাত্রদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমার পুরো পরিবার আতঙ্কে রয়েছেন। এটা সত্যি নাকি গুচব তাও জানি না।  
তথ্যপ্রযুক্তিবিদ এবং সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের মাধ্যমে পুরো দেশের মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ইটিএমসহ সব ইউটিলিটি সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ মানুষ হতচকিত হয়ে যায়। এলাকায় এলাকায় মোবাইল রিচার্জ, বিদ্যুৎ, গ্যাসের কার্ড রিচার্জ দোকানগুলোয় মারাত্মক ভিড় পরিলক্ষিত হয়। যার ফলে মানুষের ভোগান্তির পাশাপাশি তৈরি হয় নানা সত্য-মিথ্যা গুজব। এটি নিরসন করা সরকারেরই দায়িত্ব বলে তারা মতামত ব্যক্ত করেন। আর যত তাড়াতাড়ি ইন্টারনেটসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু করা হবে, ততই সবার জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে তারা মনে করেন।
 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078