শ্রীলঙ্কান স্টাইলে গণভবন দখলের টার্গেট ছিল : কাদের

প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৪, ১৮:৫৬ , অনলাইন ভার্সন
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ওই রাতে (১৯ জুলাই) শ্রীলঙ্কান স্টাইলে গণভবন দখলের টার্গেট ছিল। ২৮ জুলাই (ররিবার) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের (বিএনপি) নৃশংসতা হানাদার বাহিনীকে হার মানিয়েছে। ক্ষমতার জন্য লন্ডনে পলাতক... গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে শ্রীলঙ্কার স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি দখল করার টার্গেটও ছিল সেই রাতে। যদি কারফিউ জারি না হতো, এই প্ল্যান তাদের ছিল। শ্রীলঙ্কার ঘটনার মতো প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি আক্রমণ করা, অভ্যুত্থানের ওপর ভর করে হাওয়া ভবনের যুবরাজ ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল। এটাই তো ছিল তাদের পরিকল্পনা।

তিনি বলেন, বিএনপি এখন স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী, উন্নয়নবিরোধী অপশক্তিকে নিয়ে নতুন প্ল্যাটফর্ম করার কথা জানান দিচ্ছে। তাদের আহ্বানে তাদের দোসররা সাড়া দেবে এটাই স্বাভাবিক। মাথা যেদিকে যাবে লেজও সেদিকে অনুসরণ... এতে নতুনত্ব কিছু নাই। তবে তাদের ঐক্য আগুনসন্ত্রাসের ঐক্য। দেশ ও দেশের উন্নয়ন ধ্বংসের ঐক্য।

সেনাবাহিনী কোথাও গুলি করেনি দাবি করে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন কারফিউ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিলেন তখন সেনাবাহিনী নামলো। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, সেনাবাহিনী কোথাও একটা গুলিও ছুড়েনি। অথচ অপবাদ দেওয়া হচ্ছে আমরা হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলেছি।

চলমান সহিংসতা নিয়ে বিদেশিদের বিবৃতি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, বিদেশ থেকে অনেকেই বিবৃতি দিচ্ছেন। অনেক সংস্থা, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও আছেন। কারা সমন্বয় করছেন আমরা জানি। তাদের বলবো কারও প্ররোচনায় বিবৃতি না দিয়ে এখানে এসে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়, বিআরটি’র ধ্বংসলীলা দেখুন। বিআরটিসির ৪৪টি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে তা দেখুন। সাংবাদিক বন্ধুরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। বিবৃতিযুদ্ধ চলছে দেশে-বিদেশে। যেখানে ওয়ান/ইলেভেনের কুশীলব ড. ইউনূসও যোগ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই আমরা আক্রান্ত, আক্রমণকারী না। এখন বিবৃতি আসছে আক্রান্তদের বিরুদ্ধে। আক্রমণকারী আমরা নয়।

ড. ইউনূস সরকারবিরোধী হিসেবে মাঠে নেমেছেন বলে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতে তিনি রাজনৈতিক দল খুলে ওয়ান ইলেভেনে সাড়া পাননি। যার বিরুদ্ধে মামলা চলমান। যিনি পদ্মা সেতু নির্মাণে বিরোধিতা করেছেন। তিনি আবার সক্রিয়। আগে গোপনে করেছেন। এবার তিনিও এসেছেন। বাইরে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। আমাদের বিবেক আমাদের চালাই। কোনো বিদেশি শক্তি নয়।

তিনি বলেন, আজ ইউনূস কত নির্লজ্জ, তিনি ভারতকে অনুরোধ করে শেখ হাসিনাকে থামাতে। শেখ হাসিনা আক্রান্ত, আমক্রণকারী নয়। তাকে থামাবে কেন? আক্রমণকারীদের থামান। যাদের সঙ্গে আপনি আছেন। বিবৃতি দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপের জন্য বিদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান ড. ইউনূস। তিনি সাক্ষাৎকারে নতুন নির্বাচন দাবি করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীকে থামাতে ভারতের প্রতি অনুরোধ জানানোর বক্তব্য আপত্তিকর বলেও উল্লেখ করেন কাদের। তিনি বলেন, এই দেশ স্বাধীন। স্বাধীন সার্বভৌম দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানো! কি বোঝাতে তিনি ভারতকে বলেছেন। খোলাসা করে ইউনূস সাহেব বলবেন কি?

ঠিকানা/এএস 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078