যুক্তরাষ্ট্র সফররত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সরকারি দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানকে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটে হেনস্তার চেষ্টা চালিয়েছে কতিপয় যুবক। তারা শামীম ওসমানকে দেখে তাকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে। এসময় শামীম ওসমান গাড়ি থেকে নেমে এসে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে তাদেরকে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি আমেরিকায় থেকে মনে কইরো না আমেরিকার সব তোমার।’
বাদল মির্জার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনার পর যুবকদের সঙ্গে শামীম ওসমানের সমর্থকদের ঠেলাধাক্কা ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। শামীম ওসমান নিজেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে, বিদেশের মাটিতে এ ধরনের ঘটনায় সাধারণ প্রবাসীরা উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এসব ঘটনায় বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে নিউইয়র্কে পেয়ে তাকে হেনস্তার চেষ্টা কী রাজনৈতিক নাকি কোনো মহল ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা চালিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রবাসীরা বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এমনটি করার কথা নয়। হেনস্তার চেষ্টাকারী যুবক জনৈক বাদল মির্জা বাংলাদেশে যুবদলের রাজনীতি করলেও তিনি প্রবাসে সক্রিয় ছিলেন না। ১০ বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার পর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তার আবেদন এখনো প্রক্রিয়াধীন। রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনের স্বপক্ষে কাগজপত্র জোরালো করতে এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। এর স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে অনেকে বলছেন, প্রবাসে আওয়ামী লীগ-বিএনপির রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও বাংলাদেশের কোনো নেতাকে প্রবাসে হেনস্তার চেষ্টা কখনো কেউ করেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যার পর বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের লিটল বাংলাদেশ (৭৩ স্ট্রিট) এলাকায় যান শামীম ওসমান। তিনি একটি কালো রঙের রেঞ্জ রোভার গাড়িতে ছিলেন। তাকে দেখামাত্র রাস্তার বিপরীতে থাকা কয়েকজন যুবক ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ বলে স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে তারা ‘শামীম ওসমান ভুয়া’, ‘ভোট চোর’, ‘হাসিনা ভোট চোর’, ‘শেখ হাসিনা ভোট চোর’, ‘শামীম ওসমান ভোট চোর’, ‘বোরকা শামীম’ প্রভৃতি স্লোগান দেয়। যুবকদের একজন রাব্বী এবং তিনি নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপির নেতা বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশিদের মুখে স্লোগান শুনে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তা পার হয়ে তাদের কাছে যান শামীম ওসমান। এসময় স্লোগান দেওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাকে লক্ষ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘মনে রাইখো, আমার নাম শামীম ওসমান।’ জবাবে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ওইটা জানি, আপনারে চিনি।’
এরপর শামীম ওসমান আরো বলেন, ‘তুমি আমেরিকায় থেকে মনে কইরো না আমেরিকার সব তোমার। তুমি আমেরিকা যখন চিনো না, তোমার ফোর্স যে পর্যন্ত নাই, তার চেয়ে হাজার গুণে ফোর্স কিন্তু আমার আছে।’ জবাবে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ওগুলো সব মানি, বিশ্বাস করি।’
এরপর শামীম ওসমানকে বারবার বলতে শোনা যায়, ‘কথা শেষ’। এরপরও ওই ব্যক্তি কথা বলতে থাকলে শামীম ওসমান বলেন, ‘তুমি খুশী হইছো?’। জবাবে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘জ্বি, খুশী হইছি।’ এরপর শামীম ওসমান বলেন, ‘তুমি খুশী হইছো, আমিও খুশি হইছি। আমি খুশী হইছি এই কারণে যে তোমার বাবা-মা তোমাকে প্রোপার শিক্ষা দেয় নাই।’ এ ঘটনার পরপরই শামীম ওসমানকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে এক যুবককে বলতে শোনা যায়, প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসিতে এসে আমাদের চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন। কিন্তু আমরা চা খেতে পারিনি। এসময় শামীম ওসমান তাদের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা পান করেন।
এদিকে ৭৩ স্ট্রিটে এ ঘটনার রেশ চলতে থাকে বেশকিছু সময়। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী সেখানে উপস্থিত হন। স্লোগান দেওয়া যুবকদের সঙ্গে তাদের ঠেলাধাক্কার ঘটনাও ঘটেছে। শামীম ওসমান এসময় পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি ওই যুবকদের শান্ত হতে বলেন। দলের নেতা-কর্মীদেরও শান্ত করেন।
জ্যাকসন হাইটসে উপস্থিত সাধারণ প্রবাসীরা এ ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেন। তাদের বলতে শোনা যায়, শামীম ওসমান কে এটা বড় কথা নয়। তিনি বেড়াতে এসেছেন। আমাদের মেহমান। তাকে হেনস্তার চেষ্টা করা মানে প্রবাসীদের ছোট করা। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়।
এখানে উল্লেখ্য, শামীম ওসমানকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে কিছু দিন ধরে প্রোপ্রাগাণ্ডা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু গত দুই বছর ধরে সপরিবারে নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। নিউইয়র্কে তার বেশকিছু কাছের আত্মীয় স্বজন রয়েছে। নিউইয়র্কের স্বনামধন্য বাংলাদেশি আমেরিকান চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ শামীম আহমেদ তার ভগ্নিপতি। এছাড়া অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব রয়েছে তার।
শামীম ওসমানকে হেনস্তার চেষ্টার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক প্রবাসী নিন্দা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি ও সাংবাদিক আশরাফুল আলম খোকন তার ফেসবুকে লিখেছেন - ‘শামীম ওসমান এমপি নিউইয়র্কে এসেছেন। যারাই আসেন তারা সাধারণত বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ব্রুকলিন ও ব্রঙ্কস ঘুরতে আসেন। তারা মেহমান। তিনিও এসেছেন। জ্যাকসন হাইটসে শামীম ওসমানকে হেনস্তা করার চেষ্টা করেছেন কিছু প্রবাসী। তারা রাজনৈতিকভাবে কোন মতাদর্শের, তা সবাই জানেন। তাদের দলের সিনিয়র নেতাদেরও ঐসব এলাকায় প্রায়ই পাওয়া যায়। ওইসব নেতাদের যদি এখন প্রতিপক্ষের তারা অপদস্ত করেন, তখন বিষয়টি কেমন হবে? রাজনীতি, পক্ষ-প্রতিপক্ষ সবখানেই থাকবে, কিন্তু কালচারটা নষ্ট করা উচিত না। তাহলে সবাইকেই এর খেসারত দিতে হবে।’
এদিকে এক ভিডিও বার্তায় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সেদিনের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, আমাকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছে। আমি কিছু মনে করিনি। কিন্তু যখন আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছে তখনই আমি প্রতিবাদ করেছি।
বাদল মির্জার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনার পর যুবকদের সঙ্গে শামীম ওসমানের সমর্থকদের ঠেলাধাক্কা ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। শামীম ওসমান নিজেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে, বিদেশের মাটিতে এ ধরনের ঘটনায় সাধারণ প্রবাসীরা উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এসব ঘটনায় বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে নিউইয়র্কে পেয়ে তাকে হেনস্তার চেষ্টা কী রাজনৈতিক নাকি কোনো মহল ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা চালিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রবাসীরা বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এমনটি করার কথা নয়। হেনস্তার চেষ্টাকারী যুবক জনৈক বাদল মির্জা বাংলাদেশে যুবদলের রাজনীতি করলেও তিনি প্রবাসে সক্রিয় ছিলেন না। ১০ বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার পর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তার আবেদন এখনো প্রক্রিয়াধীন। রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনের স্বপক্ষে কাগজপত্র জোরালো করতে এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। এর স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে অনেকে বলছেন, প্রবাসে আওয়ামী লীগ-বিএনপির রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও বাংলাদেশের কোনো নেতাকে প্রবাসে হেনস্তার চেষ্টা কখনো কেউ করেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যার পর বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের লিটল বাংলাদেশ (৭৩ স্ট্রিট) এলাকায় যান শামীম ওসমান। তিনি একটি কালো রঙের রেঞ্জ রোভার গাড়িতে ছিলেন। তাকে দেখামাত্র রাস্তার বিপরীতে থাকা কয়েকজন যুবক ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ বলে স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে তারা ‘শামীম ওসমান ভুয়া’, ‘ভোট চোর’, ‘হাসিনা ভোট চোর’, ‘শেখ হাসিনা ভোট চোর’, ‘শামীম ওসমান ভোট চোর’, ‘বোরকা শামীম’ প্রভৃতি স্লোগান দেয়। যুবকদের একজন রাব্বী এবং তিনি নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপির নেতা বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশিদের মুখে স্লোগান শুনে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তা পার হয়ে তাদের কাছে যান শামীম ওসমান। এসময় স্লোগান দেওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাকে লক্ষ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘মনে রাইখো, আমার নাম শামীম ওসমান।’ জবাবে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ওইটা জানি, আপনারে চিনি।’
এরপর শামীম ওসমান আরো বলেন, ‘তুমি আমেরিকায় থেকে মনে কইরো না আমেরিকার সব তোমার। তুমি আমেরিকা যখন চিনো না, তোমার ফোর্স যে পর্যন্ত নাই, তার চেয়ে হাজার গুণে ফোর্স কিন্তু আমার আছে।’ জবাবে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ওগুলো সব মানি, বিশ্বাস করি।’
এরপর শামীম ওসমানকে বারবার বলতে শোনা যায়, ‘কথা শেষ’। এরপরও ওই ব্যক্তি কথা বলতে থাকলে শামীম ওসমান বলেন, ‘তুমি খুশী হইছো?’। জবাবে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘জ্বি, খুশী হইছি।’ এরপর শামীম ওসমান বলেন, ‘তুমি খুশী হইছো, আমিও খুশি হইছি। আমি খুশী হইছি এই কারণে যে তোমার বাবা-মা তোমাকে প্রোপার শিক্ষা দেয় নাই।’ এ ঘটনার পরপরই শামীম ওসমানকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে এক যুবককে বলতে শোনা যায়, প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসিতে এসে আমাদের চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন। কিন্তু আমরা চা খেতে পারিনি। এসময় শামীম ওসমান তাদের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা পান করেন।
এদিকে ৭৩ স্ট্রিটে এ ঘটনার রেশ চলতে থাকে বেশকিছু সময়। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী সেখানে উপস্থিত হন। স্লোগান দেওয়া যুবকদের সঙ্গে তাদের ঠেলাধাক্কার ঘটনাও ঘটেছে। শামীম ওসমান এসময় পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি ওই যুবকদের শান্ত হতে বলেন। দলের নেতা-কর্মীদেরও শান্ত করেন।
জ্যাকসন হাইটসে উপস্থিত সাধারণ প্রবাসীরা এ ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেন। তাদের বলতে শোনা যায়, শামীম ওসমান কে এটা বড় কথা নয়। তিনি বেড়াতে এসেছেন। আমাদের মেহমান। তাকে হেনস্তার চেষ্টা করা মানে প্রবাসীদের ছোট করা। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়।
এখানে উল্লেখ্য, শামীম ওসমানকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে কিছু দিন ধরে প্রোপ্রাগাণ্ডা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু গত দুই বছর ধরে সপরিবারে নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। নিউইয়র্কে তার বেশকিছু কাছের আত্মীয় স্বজন রয়েছে। নিউইয়র্কের স্বনামধন্য বাংলাদেশি আমেরিকান চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ শামীম আহমেদ তার ভগ্নিপতি। এছাড়া অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব রয়েছে তার।
শামীম ওসমানকে হেনস্তার চেষ্টার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক প্রবাসী নিন্দা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি ও সাংবাদিক আশরাফুল আলম খোকন তার ফেসবুকে লিখেছেন - ‘শামীম ওসমান এমপি নিউইয়র্কে এসেছেন। যারাই আসেন তারা সাধারণত বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ব্রুকলিন ও ব্রঙ্কস ঘুরতে আসেন। তারা মেহমান। তিনিও এসেছেন। জ্যাকসন হাইটসে শামীম ওসমানকে হেনস্তা করার চেষ্টা করেছেন কিছু প্রবাসী। তারা রাজনৈতিকভাবে কোন মতাদর্শের, তা সবাই জানেন। তাদের দলের সিনিয়র নেতাদেরও ঐসব এলাকায় প্রায়ই পাওয়া যায়। ওইসব নেতাদের যদি এখন প্রতিপক্ষের তারা অপদস্ত করেন, তখন বিষয়টি কেমন হবে? রাজনীতি, পক্ষ-প্রতিপক্ষ সবখানেই থাকবে, কিন্তু কালচারটা নষ্ট করা উচিত না। তাহলে সবাইকেই এর খেসারত দিতে হবে।’
এদিকে এক ভিডিও বার্তায় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সেদিনের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, আমাকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছে। আমি কিছু মনে করিনি। কিন্তু যখন আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছে তখনই আমি প্রতিবাদ করেছি।