যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র তাপদাহে ব্যাপকহারে অসুখ-বিসুখ বাড়ছে। শিশু থেকে বয়স্ক, সব বয়সীরা নানান রোগে ভুগছেন। বিশেষ করে অ্যালার্জি, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও পেটের পীড়ার উপদ্রব বাড়ছে। এসব সমস্যা দীর্ঘমেয়াদে ভোগাচ্ছে রোগীদের।
নিউইয়র্কে বিভিন্ন ডাক্তার অফিসে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আসছেন অ্যালার্জি, কাশি ও পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে। ভূক্তরোগীরা বলছেন, আগে এ ধরনের সমস্যা সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যেত। কিন্তু এখন এক মাসেও সুস্থ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে চিকিৎসকেরা বুকের এক্সরেসহ রক্ত পরীক্ষার জন্য রোগীদের ল্যাবে পাঠাচ্ছেন।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিনের বেলায় তাপদাহ এবং সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। ফলে ঠাণ্ডা-গরমে অনেকেই সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি ও পেটের পীড়ার ভুগছেন। এক থেকে দেড় মাস লাগছে একজন রোগীর সুস্থ হতে। বয়স্ক ও শিশুদের সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচণ্ড তাপদাহে অন্তত ১৩ কোটি মানুষের জীবনযাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া সংশ্লিষ্টদের বরাতে বলা হয়েছে, আগামী কয়েকদিন দেশটির পূর্ব থেকে পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাগুলোয় তীব্র তাপপ্রবাহ অনুভূত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিম, মধ্য-আটলান্টিক এবং উত্তর-পূর্বের কিছু এলাকায় তাপ ও আর্দ্রতা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করতে পারে। উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকাগুলোর মধ্যে ওরেগন স্টেটের ইউজিন, পোর্টল্যান্ড ও সালেম শহরে তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আরো অন্তত কয়েক ডজন শহর অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে এ তালিকায়।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস আরো জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে দেশটির বেশকিছু অঞ্চলে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমের এলাকাগুলোয় এ সতর্কতা আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। আর দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের গড় তাপমাত্রা আগামী সপ্তাহে বাড়তে পারে স্থানভেদে ৪৮ থেকে ৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৮-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। গড়ের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকতে পারে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতেও। ওইসব এলাকার মধ্যে বাল্টিমোর ও মেরিল্যান্ডে তাপমাত্রার পারদ উঠতে পারে ১০৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
এদিকে গত জুন থেকেই তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মিডওয়েস্টার্ন এলাকাগুলো। ওইসব এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছ্ুঁই। পরিস্থিতি বিবেচনায় নাগরিকদের প্রচুর পানি পান করাসহ রোদ এড়িয়ে চলা ও সম্ভব হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে অবস্থানের পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির আবহাওয়া অফিসসংশ্লিষ্টরা।
এদিকে তাপপ্রবাহের মধ্যে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকাগুলোয় দাবানলের ঝুঁকির কথা জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস। এরইমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের দু’টি এলাকায় বিচ্ছিন্ন দু’টি দাবানলে সাড়ে ৪ হাজার একরের বেশি বনাঞ্চল ভস্ম হয়ে গেছে। এসব দাবানল দেশটির তীব্র তাপপ্রবাহকে প্রভাবিত করছে।
এছাড়া দক্ষিণ টেক্সাসে আগামী সপ্তাহে বেরিল নামে একটি হারিকেন আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছে। এর প্রভাবে টেক্সাস ও আশপাশের এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
নিউইয়র্কে বিভিন্ন ডাক্তার অফিসে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আসছেন অ্যালার্জি, কাশি ও পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে। ভূক্তরোগীরা বলছেন, আগে এ ধরনের সমস্যা সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যেত। কিন্তু এখন এক মাসেও সুস্থ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে চিকিৎসকেরা বুকের এক্সরেসহ রক্ত পরীক্ষার জন্য রোগীদের ল্যাবে পাঠাচ্ছেন।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিনের বেলায় তাপদাহ এবং সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। ফলে ঠাণ্ডা-গরমে অনেকেই সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি ও পেটের পীড়ার ভুগছেন। এক থেকে দেড় মাস লাগছে একজন রোগীর সুস্থ হতে। বয়স্ক ও শিশুদের সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচণ্ড তাপদাহে অন্তত ১৩ কোটি মানুষের জীবনযাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া সংশ্লিষ্টদের বরাতে বলা হয়েছে, আগামী কয়েকদিন দেশটির পূর্ব থেকে পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাগুলোয় তীব্র তাপপ্রবাহ অনুভূত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিম, মধ্য-আটলান্টিক এবং উত্তর-পূর্বের কিছু এলাকায় তাপ ও আর্দ্রতা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করতে পারে। উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকাগুলোর মধ্যে ওরেগন স্টেটের ইউজিন, পোর্টল্যান্ড ও সালেম শহরে তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আরো অন্তত কয়েক ডজন শহর অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে এ তালিকায়।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস আরো জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে দেশটির বেশকিছু অঞ্চলে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমের এলাকাগুলোয় এ সতর্কতা আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। আর দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের গড় তাপমাত্রা আগামী সপ্তাহে বাড়তে পারে স্থানভেদে ৪৮ থেকে ৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৮-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। গড়ের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকতে পারে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতেও। ওইসব এলাকার মধ্যে বাল্টিমোর ও মেরিল্যান্ডে তাপমাত্রার পারদ উঠতে পারে ১০৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
এদিকে গত জুন থেকেই তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মিডওয়েস্টার্ন এলাকাগুলো। ওইসব এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছ্ুঁই। পরিস্থিতি বিবেচনায় নাগরিকদের প্রচুর পানি পান করাসহ রোদ এড়িয়ে চলা ও সম্ভব হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে অবস্থানের পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির আবহাওয়া অফিসসংশ্লিষ্টরা।
এদিকে তাপপ্রবাহের মধ্যে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকাগুলোয় দাবানলের ঝুঁকির কথা জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস। এরইমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের দু’টি এলাকায় বিচ্ছিন্ন দু’টি দাবানলে সাড়ে ৪ হাজার একরের বেশি বনাঞ্চল ভস্ম হয়ে গেছে। এসব দাবানল দেশটির তীব্র তাপপ্রবাহকে প্রভাবিত করছে।
এছাড়া দক্ষিণ টেক্সাসে আগামী সপ্তাহে বেরিল নামে একটি হারিকেন আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছে। এর প্রভাবে টেক্সাস ও আশপাশের এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।