যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে বাহাস শুরু হয়েছে। অন্যদিকে সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বিরোধী অবস্থান জোরালো হচ্ছে। যারা এতদিন বিরুদ্ধে ছিলেন তারা হয়েছেন সিদ্দিকুর রহমানের আপনজন। আর যারা কাছের মানুষ ছিলেন তারা দূরে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন। তাদের সংখ্যা বাড়ছে।
বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলে থাকেন- তার নেতৃত্বাধীন কমিটিই দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার দেওয়া। যতদিন তিনি পরিবর্তন না করবেন দায়িত্ব পালন করে যাবেন। বড় একটি দলের নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা তার বিপক্ষে কাজ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে সভাপতি হিসাবে তার কাছে সবাই সমান। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে গত ৮ জুলাই সোমবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছেন। অর্থাৎ তিনি বলেছেন, কমিটি দিয়েছেন শেখ হাসিনা। নতুন কমিটি তিনি যতদিন না দিবেন, বর্তমান কমিটির নেতৃত্ব মানতে হবে।
তবে, কারো কথা মানতে নারাজ সিদ্দিকুর রহমান বিরোধীরা। তারা বলছেন, সিদ্দিকুর রহমান নেতৃত্বদানের অযোগ্য। তিনি সারাক্ষণ গ্রুপিং করেন। যারা বিরোধিতা করেছেন, তাকে অপমান করেছেন, তারাই এখন আপনজন। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদের কেউই সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে নেই। তাদের মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র বেশ কয়েকজন সহ-সভাপতি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, প্রায় সব সাংগঠনিক সম্পাদক, অন্যান্য বেশ কয়েকজন সম্পাদক। এ বিষয়গুলো সাধারণ কর্মীদের ভাবিয়ে তুলছে।
সিদ্দিকুর রহমানের পক্ষে এবং বিরোধীরা সাম্প্রতিককালে বাহাসেও লিপ্ত হয়েছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাছিব মামুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্রেকিং নিউজ শিরোনামে লিখেছেন- ‘ইতিমধ্যে খবরটি মোটামুটি সবাই জেনে গেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। আমাকে দয়া করে কেউ কি বুঝিয়ে বলবেন নেত্রী স্বয়ং যেখানে কমিটি করছেন সেখানে শূন্য পদ পূরণ বাণিজ্যের কি কোন সুযোগ আছে? সিদ্দিক সাহেব এত দিন বড় বড় পদ-পদবী যাদেরকে দিয়ে তাঁর বলয় বৃদ্ধি করার অপচেষ্টা করেছিলেন তাদের এখন কি হবে?’
আব্দুল হাছিব মামুনের এই স্ট্যাটাসে কমপক্ষে ৩৫ জন মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রেজাউল করিম চৌধুরী লিখেছেন, ‘ভিক্ষুককে ভিক্ষা দিতে দেখেছি, কিন্তু রাজনীতিতে পদ ভিক্ষা দিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিদ্দিক সাহেবকেই দেখলাম। ভিক্ষুকের মত পদ নিতেও দেখলাম।’
এদিকে এই সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি হবে বলে নেতা-কর্মীগণের সাথে কুশল বিনিময়কালে উল্লেখ করেছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তা অঞ্চলভিত্তিক হতে পারে। পূর্ব এবং পশ্চিম কিংবা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম এভাবেও হতে পারে।
গত ৪ জুলাই ঢাকায় গণভবনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, ফ্লোরিডা স্টেট আওয়ামী লীগের নুরল মোমেন, তৌহিদুল ইসলাম এবং আমিনুল ইসলাম ও ডেমোক্রেট নাসিম আলী।
উল্লেখ্য, দু’সপ্তাহের ব্যবধানে এটি হচ্ছে এম ফজলুর রহমানের গণভবনে শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতের দ্বিতীয় ঘটনা। আরো উল্লেখ্য, তিন বছরের জন্যে গঠিত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির বয়স এক দশক পেরিয়ে গেছে অনেক আগে। তাই দীর্ঘদিন থেকেই নয়া কমিটির দাবি রয়েছে।
এম ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, নেতা-কর্মীগণের প্রত্যাশার ব্যাপারে সবকিছুই জানেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। সে আলোকেই এবার জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগদানকালে নয়া কমিটি গঠিত হবে বলে আশা করছি। পুরো যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে একটি কমিটি নাও হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চল এবং ওয়াশিংটন ডিসিসহ নিউইয়র্ক অঞ্চলের স্টেটগুলোর সমন্বয়ে দুটি অথবা ৪টি শাখা কমিটি হতে পারে।
বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলে থাকেন- তার নেতৃত্বাধীন কমিটিই দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার দেওয়া। যতদিন তিনি পরিবর্তন না করবেন দায়িত্ব পালন করে যাবেন। বড় একটি দলের নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা তার বিপক্ষে কাজ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে সভাপতি হিসাবে তার কাছে সবাই সমান। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে গত ৮ জুলাই সোমবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছেন। অর্থাৎ তিনি বলেছেন, কমিটি দিয়েছেন শেখ হাসিনা। নতুন কমিটি তিনি যতদিন না দিবেন, বর্তমান কমিটির নেতৃত্ব মানতে হবে।
তবে, কারো কথা মানতে নারাজ সিদ্দিকুর রহমান বিরোধীরা। তারা বলছেন, সিদ্দিকুর রহমান নেতৃত্বদানের অযোগ্য। তিনি সারাক্ষণ গ্রুপিং করেন। যারা বিরোধিতা করেছেন, তাকে অপমান করেছেন, তারাই এখন আপনজন। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদের কেউই সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে নেই। তাদের মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র বেশ কয়েকজন সহ-সভাপতি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, প্রায় সব সাংগঠনিক সম্পাদক, অন্যান্য বেশ কয়েকজন সম্পাদক। এ বিষয়গুলো সাধারণ কর্মীদের ভাবিয়ে তুলছে।
সিদ্দিকুর রহমানের পক্ষে এবং বিরোধীরা সাম্প্রতিককালে বাহাসেও লিপ্ত হয়েছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাছিব মামুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্রেকিং নিউজ শিরোনামে লিখেছেন- ‘ইতিমধ্যে খবরটি মোটামুটি সবাই জেনে গেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। আমাকে দয়া করে কেউ কি বুঝিয়ে বলবেন নেত্রী স্বয়ং যেখানে কমিটি করছেন সেখানে শূন্য পদ পূরণ বাণিজ্যের কি কোন সুযোগ আছে? সিদ্দিক সাহেব এত দিন বড় বড় পদ-পদবী যাদেরকে দিয়ে তাঁর বলয় বৃদ্ধি করার অপচেষ্টা করেছিলেন তাদের এখন কি হবে?’
আব্দুল হাছিব মামুনের এই স্ট্যাটাসে কমপক্ষে ৩৫ জন মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রেজাউল করিম চৌধুরী লিখেছেন, ‘ভিক্ষুককে ভিক্ষা দিতে দেখেছি, কিন্তু রাজনীতিতে পদ ভিক্ষা দিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিদ্দিক সাহেবকেই দেখলাম। ভিক্ষুকের মত পদ নিতেও দেখলাম।’
এদিকে এই সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি হবে বলে নেতা-কর্মীগণের সাথে কুশল বিনিময়কালে উল্লেখ করেছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তা অঞ্চলভিত্তিক হতে পারে। পূর্ব এবং পশ্চিম কিংবা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম এভাবেও হতে পারে।
গত ৪ জুলাই ঢাকায় গণভবনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, ফ্লোরিডা স্টেট আওয়ামী লীগের নুরল মোমেন, তৌহিদুল ইসলাম এবং আমিনুল ইসলাম ও ডেমোক্রেট নাসিম আলী।
উল্লেখ্য, দু’সপ্তাহের ব্যবধানে এটি হচ্ছে এম ফজলুর রহমানের গণভবনে শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতের দ্বিতীয় ঘটনা। আরো উল্লেখ্য, তিন বছরের জন্যে গঠিত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির বয়স এক দশক পেরিয়ে গেছে অনেক আগে। তাই দীর্ঘদিন থেকেই নয়া কমিটির দাবি রয়েছে।
এম ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, নেতা-কর্মীগণের প্রত্যাশার ব্যাপারে সবকিছুই জানেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। সে আলোকেই এবার জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগদানকালে নয়া কমিটি গঠিত হবে বলে আশা করছি। পুরো যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে একটি কমিটি নাও হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চল এবং ওয়াশিংটন ডিসিসহ নিউইয়র্ক অঞ্চলের স্টেটগুলোর সমন্বয়ে দুটি অথবা ৪টি শাখা কমিটি হতে পারে।