বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরি নিয়ে হলিউডের তথ্যচিত্র ‘বিলিয়ন ডলার হাইস্ট’

প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩, ০০:১৩ , অনলাইন ভার্সন
হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৮১ মিলিয়ন বা ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনা সারা বিশ্বে আলোড়ন ফেলেছিল। ২০১৬ সালের আলোচিত সেই ঘটনা নিয়ে তথ্যচিত্র বা ডকুমেন্টারি বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সাল পিকচার্স হোম এন্টারটেইনমেন্ট।

আগামী ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে ‘বিলিয়ন ডলার হাইস্ট’ নামের তথ্যচিত্রটি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জ। তবে এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার তথ্যচিত্রটির ট্রেলার প্রকাশ করেছে ইউনিভার্সাল পিকচার্স হোম এন্টারটেইনমেন্ট।

দ্য ভার্জের খবরে বলা হয়েছে, একদল হ্যাকার কীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তাব্যবস্থা ভেঙে ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করতে সক্ষম হয় এবং হ্যাকারদেরই সামান্য একটি ভুল টাইপের কারণে আরও ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি ডলার হাতিয়ে নেওয়া থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক রক্ষা পায় - বাস্তব এই গল্পই দেখানো হয়েছে তথ্যচিত্রে।

তথ্যচিত্রটির পরিচালক ডেনিয়েল গর্ডন। তথ্যচিত্রটিতে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও লেখক মিশা গ্লেনির সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার বিভিন্ন দিক তুলে আনা হয়েছে।

পাশাপাশি এই তথ্যচিত্রের মাধ্যমে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ঘটা সাইবার অপরাধগুলোর ধরন সম্পর্কেও একটি ধারণা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনার পর হ্যাকাররা তাদের কার্যক্রম কীভাবে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, সেটিরও বিস্তারিত ব্যবচ্ছেদ করা হয়েছে ‘বিলিয়ন ডলার হাইস্টে’।

তথ্যচিত্রটির ট্রেলারে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মিশা গ্লেনি বলেছেন, করোনা মহামারি বা গণবিধ্বংসী অস্ত্র কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন যেমন মানবতার জন্য হুমকি তৈরি করে, সমন্বিত সাইবার আক্রমণগুলোও মানবতার জন্য একই ধরনের হুমকি তৈরি করে।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়। হ্যাকারদের লক্ষ্য ছিল ১ বিলিয়ন ডলার বা ১০০ কোটি ডলার চুরি করা। কিন্তু সেটি শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।

পরে বিভিন্ন সময়ে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়। কিন্তু এখনো ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ঠিকানা/এনআই
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041