যেসব খাবার ৪০-এও দেবে তারুণ্যের ছোঁয়া

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ১৩:০৮ , অনলাইন ভার্সন
মানুষের বয়সের প্রত্যেক ধাপে প্রয়োজন হয় খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের। ৪০ বছর বয়সীদের তুলনায় ২০-৩০ বছর বয়সীদের বিপাক ক্রিয়া দ্রুত হয়। আর যদি আপনি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন তবে তা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। ৪০ বছরের পর বিশেষ করে নারীদের বাড়তি পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

কেননা, এই সময় তাদের ঋতুস্রাব বন্ধের দিকে যায়। এই বয়সে হরমোন পরিবর্তন তাদের মেজাজ, ওজন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভারতের পুষ্টিবিদ ডা. নেহা ধুল্লা চল্লিশোর্ধদের জন্য নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামের সুপারিশ করেছেন। সঠিক সময় আশানুরূপ ফল পেতে নির্ধারিত খাবার এবং ফিটনেস পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা বলেছেন তাদের জন্য।

তিনি বলেন, ৪০ বছর বয়সে সামগ্রিক সুস্থতার ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। এই সময় আপনাকে সক্রিয় থাকতে হবে, সঠিক পুষ্টি গ্রহণ করতে হবে, প্রচুর পানি পান করতে হবে এবং সুস্থ ও সুখী জীবনের জন্য ছুটি কাটাতে হবে।

চল্লিশোর্ধদের স্বাস্থ্যকর জীবনধারার জন্য কয়েকটি টিপস-

সক্রিয় থাকুন: আপনার প্রতিদিনের রুটিনে খেলাধুলা বা শারীরিক ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করুন এবং সপ্তাহে অন্তত চার দিন এটি অনুসরণ করুন। এটি আপনার শরীরকে ফিট ও সক্রিয় রাখতে সাহায্য করবে।

পুষ্টি: ৪০ বছর বয়সের পর পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সময় সংযম প্রদর্শন করতে হবে জাঙ্ক ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অ্যালকোহল, ধূমপান ইত্যাদির বিষয়ে।

পানি পান: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন কারণ ৪০ বছর বয়সের পর প্রস্রাবের সংক্রমণ বেশি হয়।

ভ্রমণ ও ছুটি: মাঝেমধ্যে নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনাদের অনেকেই এই বয়সে এসব বিষয়ে এগিয়ে রয়েছেন।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা: প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই ভালো। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত বয়স ৪০ বছর। নিশ্চিত হতে হবে যে আপনি এই সময় কোনো রোগে ভুগছেন না। 

৪০ বছর বয়সে এবং পরবর্তীতে সুস্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর জীবন পেতে নিম্নলিখিত খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন-

অ্যালমন্ড: ফলটিতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি। এটি দিয়ে এমন স্ন্যাকস তৈরি করুন যা কটমট করে চিবিয়ে খেতে পারেন।

ফাইবার: বাঁধাকপি, ব্রোকলি, মটরশুটি, গাজর ইত্যাদি ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। এসব খাবার রক্তে ​​শর্করা মাত্রা স্থিতিশীল রাখে।

গাজর: ভিটামিন এ-এর বড় উৎসগুলোর মধ্যে গাজর অন্যতম। এটি আপনার ত্বক এবং দৃষ্টিশক্তির জন্য চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা ব্রণ এবং বলিরেখা হ্রাস করতে সাহায্য করে।

চিয়া বীজ: ফাইবারের সর্বোচ্চ উৎসের মধ্যে চিয়া বীজ অন্যতম। এতে থাকা ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদযন্ত্রের জন্য দারুন উপকারী। তাই চল্লিশোর্ধদের নিয়মিত চিয়া বীজ খাওয়া উচিত।

বেরি: রাস্পবেরি এবং ব্লুবেরির মতো বেরি ফলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে।

ওটস: ওটস ফাইবারের একটি বড় উৎস। এতে গ্লাইসেমিক সূচক অনেক কম। এটি রক্তে চিনি ও ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

কুইনো: কুইনো একটি প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ শস্য। এটি হজম ও স্বাদের জন্য চমৎকার। এ ছাড়া এটি গ্লুটোনমুক্ত। এই শস্যটিতেও রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা। 
সূত্র: এনডিটিভি 

ঠিকানা/এএস 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078