যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার অবশেষে গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। ৭ জুলাই (রবিবার) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় এই আহ্বান জানান স্টারমার। গাজায় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করার ‘অধিকার’ ইসরাইলের আছে - গত অক্টোবরে এমন কথা বলার পর স্টারমার ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন।
৮ জুলাই (সোমবার) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর পাশাপাশি জিম্মিদের মুক্তি এবং সেখানকার বেসামরিক মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা বাড়ানোর তাগিদ দেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বিরোধী নেতা হিসেবে, স্টারমারের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান না জানানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিরোধিতা করার কয়েক মাস পর তিনি জনসাধারণের তীব্র চাপের মুখে ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
তার বিরুদ্ধে সাবেক পার্টি প্রধান জেরেমি করবিনসহ লেবার পার্টির কয়েকজন ফিলিস্তিনিপন্থি সদস্যর প্রার্থিতা প্রত্যাখ্যান করার অভিযোগও ছিল। করবিনসহ অন্তত পাঁচজন ফিলিস্তিনপন্থি প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই শিশু এবং নারী। আহত হয়েছেন ৮৭,০০০ হাজার। নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি।
এদিকে যুক্তরাজ্যের নতুন সরকারের একটি বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদী শর্তগুলো গাজায় নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে স্টারমার নেতানিয়াহুকে আশ্বস্ত করেছেন যে, যুক্তরাজ্য ইসরাইলের সঙ্গে বিরোধে না জড়িয়ে সবসময় সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চায়। ৭ জুলাই (রবিবার) ফোনালাপের পর নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে কোনো বিবৃতি দেযো হয়নি।
স্টারমার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। আব্বাসকেও একই কথা বলেছেন তিনি।
ওয়াফা বার্তা সংস্থার মতে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন আব্বাস। নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়, স্টারমার ইসরাইল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে তীব্র সীমান্ত লড়াই নিয়েও আলোচনা করেছেন।
ঠিকানা/এএস
৮ জুলাই (সোমবার) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর পাশাপাশি জিম্মিদের মুক্তি এবং সেখানকার বেসামরিক মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা বাড়ানোর তাগিদ দেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বিরোধী নেতা হিসেবে, স্টারমারের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান না জানানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিরোধিতা করার কয়েক মাস পর তিনি জনসাধারণের তীব্র চাপের মুখে ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
তার বিরুদ্ধে সাবেক পার্টি প্রধান জেরেমি করবিনসহ লেবার পার্টির কয়েকজন ফিলিস্তিনিপন্থি সদস্যর প্রার্থিতা প্রত্যাখ্যান করার অভিযোগও ছিল। করবিনসহ অন্তত পাঁচজন ফিলিস্তিনপন্থি প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই শিশু এবং নারী। আহত হয়েছেন ৮৭,০০০ হাজার। নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি।
এদিকে যুক্তরাজ্যের নতুন সরকারের একটি বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদী শর্তগুলো গাজায় নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে স্টারমার নেতানিয়াহুকে আশ্বস্ত করেছেন যে, যুক্তরাজ্য ইসরাইলের সঙ্গে বিরোধে না জড়িয়ে সবসময় সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চায়। ৭ জুলাই (রবিবার) ফোনালাপের পর নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে কোনো বিবৃতি দেযো হয়নি।
স্টারমার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। আব্বাসকেও একই কথা বলেছেন তিনি।
ওয়াফা বার্তা সংস্থার মতে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন আব্বাস। নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়, স্টারমার ইসরাইল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে তীব্র সীমান্ত লড়াই নিয়েও আলোচনা করেছেন।
ঠিকানা/এএস