বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পেন্টাগনের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪, ১১:৩০ , অনলাইন ভার্সন
বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর গত মাসেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত থাকার দায়ে তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় বলে সেসময় জানিয়েছিল দেশটি।
 
এদিকে জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। দপ্তরটি বলেছে, আজিজের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা পুনঃনিশ্চিত করেছে।

এছাড়া দুর্নীতি রোধে বাংলাদেশে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে পেন্টাগন সেগুলোকেও সমর্থন করে বলেও জানানো হয়েছে। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় ২৫ জুন (মঙ্গলবার) সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার।
 
এদিনের ব্রিফিংয়ে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়।

তিনি বলেন, পেন্টাগন কীভাবে বাংলাদেশের সাথে তার সামরিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব এগিয়ে নিচ্ছে, বিষয়টা কী জানতে পারি? উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন করে দেশটি ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ এবং র‌্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং বর্তমান সরকার যেকোনও উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করছে।
 
জবাবে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, প্রশ্নের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং এখানে ব্রিফিং রুমেও আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আপনি যেমনটা জানেন এবং আপনার প্রশ্নেও উল্লেখ করেছেন– ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জেনারেল (আজিজ) আহমেদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত মে মাসে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটিকে পুনঃনিশ্চিত করছে এবং দুর্নীতি রোধে সেখানে (বাংলাদেশে) যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোকে সমর্থন করে বিভাগটি (পেন্টাগন)।

তিনি আরও বলেন, আমি এই বলে শেষ করতে চাই– বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। অবাধ এবং মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সামুদ্রিক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ ও মুল্যবোধের ভিত্তিতে সেখানে অংশীদারিত্ব বিরাজমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত থাকার দায়ে তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে জেনারেল আজিজ আহমেদের পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সেসময় এক বিবৃতিতে বলেন, দুর্নীতিতে উল্লেখযোগ্য সম্পৃক্ততার কারণে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। তার (জেনারেল আজিজ) কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করতে ভূমিকা রেখেছে।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য জবাবদিহিতা এড়াতে সাহায্য করেছেন। আর এটা করতে গিয়ে তিনি সরকারি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত হয়েছেন। এছাড়া অন্যায়ভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। একইসঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন।

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041