মাথার ভেতর পিংক ফ্লয়েডের সুর দেখতে কেমন?

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৪, ১১:৩৪ , অনলাইন ভার্সন
শিল্প ও বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মানব মস্তিষ্কে মুগ্ধতা ছড়িয়ে আসছে জনপ্রিয় ব্রিটিশ সাইকিডেলিক ব্যান্ড পিংক ফ্লয়েড।
সম্প্রতি এ দুটি বিষয়ের সংমিশ্রণে যুক্তরাজ্যে চালু হয়েছে ‘ব্রেইনস্টর্মস: এ গ্রেট গিগ ইন দ্য স্কাই’ নামের নতুন এক ভার্চুয়াল প্রদর্শনী, যেখানে পিংক ফ্লয়েডের বিভিন্ন টিউন মানব মস্তিষ্কে কীভাবে কাজ করে তা দেখার সুযোগ মিলবে।

প্রযুক্তি সাইট টেকক্রাঞ্চ বলছে, এর প্রতিক্রিয়া ঐচ্ছিক হলেও স্মরণীয়। আর এতে আসা দর্শনার্থীরা চাইলে পিংক ফ্লয়েডের ক্লাসিক অ্যালবাম ‘দ্য ডার্ক সাইড অফ দ্য মুন’ শোনার সময় তাদের মস্তিষ্কের গতিবিধি রেকর্ডও করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্য কিছু বাড়তি অর্থ গুনতে হবে। সে রেকর্ডটি পরবর্তীতে একটি ‘রোমাঞ্চকর মেঘ’ হিসেবে দেখার সুযোগ মিলবে লন্ডনের ইমার্সিভ আর্ট গ্যালারি ‘ফ্রেইমলেস’-এর বড় এক কক্ষে, যেখানে মস্তিষ্কের গতিবিধির সঙ্গে মিল রেখে একই সাউন্ডট্র্যাক বাজবে।

সাম্প্রতিককালে গোটা বিশ্বেই এই ধরনের ইমার্সিভ আর্ট ভেন্যু গড়ে উঠছে, যেখানে দর্শনার্থীরা প্রায়শই জনপ্রিয় চিত্রশিল্পীদের কাজ দেখতে পান বিভিন্ন দেয়াল, সিলিং ও মেঝেতে। এর উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, ‘ব্রেইনস্ট্রর্মস’-এ মিউজিকের সঙ্গে সমন্বয় করে লাইভ এলিমেন্ট দেখানোর এ ধারণাটি ‘অ্যাবা ভয়েজ’ নামের ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতার অনেকটা কাছাকাছি।

শুধু তাই নয়, দুটো আয়োজনেই প্রযুক্তিকে সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যেখানে মূল মনযোগ শিল্পের ওপর।

তবে, ‘ব্রেইনস্টর্মস’ আয়োজনটি গত বছরের যুগান্তকারী উদ্ভাবন থেকে বেশ আলাদা, যেখানে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মস্তিষ্কের গতিবিধি থেকে পিংক ফ্লয়েডের ‘অ্যানাদার ব্রিক ইন দ্য ওয়াল, পার্ট ওয়ান’ গানটি সফলভাবে নতুন করে বানাতে পেরেছিলেন স্নায়ুবিজ্ঞানীরা। সে সময় বেশ সাড়াও ফেলেছিল এ আয়োজন।

এ প্রকল্পের পর্দার আড়ালে উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়াও রয়েছে, যেখানে ইমোটিভের ‘ইইজি’ হেডসেট ও স্পাশিয়াল অডিও থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অবাস্তব দৃশ্যও দেখা যায়। শুরুতে ব্রেইনস্টর্মস প্রকল্পটি শুধু সংগীতকেন্দ্রিক ছিল। আরও স্পষ্ট করে বললে, পিংক ফ্লয়েডের প্রয়াত কিবোর্ডিস্ট রিচার্ড রাইটের সুরগুলো।

‘ডার্ক সাইড অফ দ্য মুন’ অ্যালবামটির ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিশেষ কিছু করতে চেয়েছিলেন রাইটের কন্যা গালা। এর মধ্যে ছিল ‘গ্রেট গিগ ইন দ্য স্কাই’ নামের গানটিও, যেটির আইকনিক সুর বাজিয়েছিলেন রাইট। এমনকি ব্রিটিশ গায়িকা ক্লেয়ার টরি’র কণ্ঠস্বরও বেশ স্মরণীয় হয়ে আছে গানটিতে।

“তাই আমরা বিভিন্ন ধারণা সমন্বয় করতে শুরু করি,” শো’র প্রিমিয়ার চলার সময় টেকক্রাঞ্চকে বলেন সুরকার ও সংগীত প্রযুক্তিবিদ জেজে উইসলার।

এ ছাড়া, স্যান ফ্রানসিসকোভিত্তিক ক্রিয়েটিভ আউটলেট ‘পোলেন মিউজিক গ্রুপ’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতাও তিনি, যারা নিজেদের মিউজিক স্কোরিং ও সাউন্ড ডিজাইনিংয়ের জন্য সুপরিচিত।

কোম্পানিটির মিউজিক স্টুডিও ও ল্যাব দুটোই থাকায় তাদের বিভিন্ন কাজ ভিআর/এক্সআর হেডসেট, ফোন, হোম ডিভাইস’সহ অনেক কিছুতেই কাজ করে। এমনকি মিউজিক নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করাও পোলেনের কাছে নতুন কিছু নয়। তবে, নিজেদের কাজকে প্রদর্শনীর জগতে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে ‘কিছুটা আলাদা’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন উইসলার।

তবে, স্নায়ুবিজ্ঞান ও মানব মস্তিষ্কে মিউজিকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করার ধারণাটি প্রথম এসেছিল গালা রাইটের কাছ থেকেই। এর ফলে, পরবর্তীতে তিনি ও পোলেন ব্রিটিশ সফটওয়্যার কোম্পানি ‘ডলবি’র সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেন, যেখানে ১২৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে ‘গ্রেইট গিগ ইন দ্য স্কাই’ গান শুনিয়ে তাদের মস্তিষ্কের গতিবিধি রেকর্ড করা হয়েছিল। ওয়েসলার বলেছেন, সেইসব রেকর্ড পরবর্তীতে সিংক করা হয়েছিল ‘অ্যাড হক’ নামের সফটওয়্যার দিয়ে।

গত বছর পরিচালিত ওই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের গতিবিধি অনেকটা ‘অরোরা’র রূপ নিয়েছিল, যা বিভিন্ন মেরু অঞ্চল ও ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশগুলোর আকাশে সবুজ রঙের আভা হিসেবে দেখা যায়।

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041