রেমিট্যান্সে ভর করে বাড়ল রিজার্ভ

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৪, ০৩:৪০ , অনলাইন ভার্সন
ঈদুল আজহাকে ঘিরে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ওপর ভর করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। তবে গ্রস রিজার্ভ এখনো ২৫ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করতে পারেনি। বর্তমানে গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৪৭৮ কোটি বা ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৪৭৮ কোটি বা ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। নিট রিজার্ভ ১ হাজার ৯৫২ কোটি বা ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। ১২ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার, নিট রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ২১ বিলিয়ন। এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ বেড়েছে ২৬ কোটি ডলার এবং নিট রিজার্ভ বেড়েছে ৩১ কোটি ৮২ লাখ ডলার। চলতি মাসের শুরুতে ৫ জুন গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ২৩ বিলিয়ন এবং নিট রিজার্ভ ছিল ১৮ দশমিক ৬২ বিলিয়ন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। এরপর রিজার্ভ বাড়তে থাকে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেড়ে হয় ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। তার পরের অর্থবছরে (২০২০-২১) ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায় রিজার্ভ।

২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে (৪৮ বিলিয়ন), যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড। কিন্তু সেটি চার মাসও টেকেনি। ফের নিচে নামতে থাকে ধীরে ধীরে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ কমে ৩১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।

রপ্তানি আয় কমার পরও কোরবানির ঈদ উপলক্ষে প্রবাসীদের পাঠানো রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্সের কারণে ব্যাংকগুলোতে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। ঈদের আগে (জুন মাসের প্রথম) ১৪ দিনে ১৯ হাজার ৪৩২ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। অন্যদিকে রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয় কমায় ডলারের খরচে একটি ভারসাম্য এসেছে। রেমিট্যান্সের অর্থ উদ্বৃত্ত থেকেছে। যে কারণে ব্যাংকগুলোতে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। এ কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কিনেছে। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে নগদ টাকার জোগান দিয়েছে। ঈদের সময় গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলোর বাড়তি টাকার প্রয়োজন হয়। ফলে ডলার বিক্রি করে ব্যাংক টাকা নিয়ে সে চাহিদা মিটিয়েছে। ডলার কেনার কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।

এদিকে চলতি মাসের শেষ দিকে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ বাবদ ১১৫ কোটি ডলার পাওয়া যেতে পারে। এ অর্থ পেলে রিজার্ভ আরও বেড়ে যাবে।

ঠিকানা/এনআই
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078