
বারবার হোঁচট খেয়ে পড়েছি আজীবন,
এলোমেলো পায়ে উঠে দাঁড়িয়ে
প্রাণপণে আগলে ধরেছি খড়কুটো;
এসেছে গাঢ় থেকে নিকষ কালো অন্ধকার
ঘেঁষেছে বিস্তীর্ণ বলয়ের অভিপ্রায়ে
আমি থেকেও নাই হয়ে গেছি নিজের ভেতর
সংকুচিত সন্ত্রস্ত পদে মুখোমুখি হয়ে
দেখেছি কি জীবনের প্রার্থিত প্রতীক
ক্ষয়ে যাওয়া সীমানার প্রাচীর?
আগুনের পরশমণিরা বোধ এভাবেই শুদ্ধ হয় নিজেকে চিতায় তুলে দিয়ে,
আমিও কি তাই বাবা-মায়ের কান্নার মাঝেই
তোকমার মতোই জলভরা চোখে তাকাই কেবলই! অথবা নিজেকে আবৃত করি
পিঙ্গল বর্ণের মতো ঝরে পড়া সূর্যাস্তের মতো?
ধ্বংসস্তূপের ভেতর এসে যখন দাঁড়িয়ে
চারিদিকে লন্ডভন্ড আমার ছোট্ট ঘরখানি পোড়া ইট কাঠ,
ভাঙা টুকরো কালো হীরক এলোমেলো পরিপাটি বিছানা, তৈজসপত্র! হেথায় হোথায় ছড়ানো ফলমূল
রুটির থালা, দুধের পেয়ালা,
চায়ের কাপের ভেতর চিনির মাসোরা।
বেগুন, পেঁয়াজ, নুনের বাটি
বাসনকাসন খুন্তি কড়াই,
ধুলোয় লুটানো জায়নামাজ তাসবিহখানা
আহা! আমার কত্ত শখের আবাসভূমি!
কোথাও কেউ নেই যেন হায়!
নিস্তব্ধ এক কবরখানা,
মধ্যরাতের নিঃশব্দ এক বিরানভূমি।
চারিদিকে কোলাহলের ভিড়ের মাঝে নিরুত্তর ক্লান্ত একা নৈঃশব্দ্য কোজাগরী।
গোলাপ বাগান, শিম, টমেটো, বেগুন
মরিচের ঝাড় পুড়ে ছাড়খার কেবল!
হয়তো একদিন দাঁড়িয়ে উঠে বলবে জীবন
এসো আবার শুরু করি নতুন করে
খুঁজে নিয়ে অজানা পথের বাঁকে
রেখে দিয়ে নীল বেদনার পদচিহ্ন
আহ্বানে ডেকে নিয়ে আলোকবর্তিকা
যাঁর নাম নিয়ে হয়েছি প্রেরিত এ ধরায়।
এলোমেলো পায়ে উঠে দাঁড়িয়ে
প্রাণপণে আগলে ধরেছি খড়কুটো;
এসেছে গাঢ় থেকে নিকষ কালো অন্ধকার
ঘেঁষেছে বিস্তীর্ণ বলয়ের অভিপ্রায়ে
আমি থেকেও নাই হয়ে গেছি নিজের ভেতর
সংকুচিত সন্ত্রস্ত পদে মুখোমুখি হয়ে
দেখেছি কি জীবনের প্রার্থিত প্রতীক
ক্ষয়ে যাওয়া সীমানার প্রাচীর?
আগুনের পরশমণিরা বোধ এভাবেই শুদ্ধ হয় নিজেকে চিতায় তুলে দিয়ে,
আমিও কি তাই বাবা-মায়ের কান্নার মাঝেই
তোকমার মতোই জলভরা চোখে তাকাই কেবলই! অথবা নিজেকে আবৃত করি
পিঙ্গল বর্ণের মতো ঝরে পড়া সূর্যাস্তের মতো?
ধ্বংসস্তূপের ভেতর এসে যখন দাঁড়িয়ে
চারিদিকে লন্ডভন্ড আমার ছোট্ট ঘরখানি পোড়া ইট কাঠ,
ভাঙা টুকরো কালো হীরক এলোমেলো পরিপাটি বিছানা, তৈজসপত্র! হেথায় হোথায় ছড়ানো ফলমূল
রুটির থালা, দুধের পেয়ালা,
চায়ের কাপের ভেতর চিনির মাসোরা।
বেগুন, পেঁয়াজ, নুনের বাটি
বাসনকাসন খুন্তি কড়াই,
ধুলোয় লুটানো জায়নামাজ তাসবিহখানা
আহা! আমার কত্ত শখের আবাসভূমি!
কোথাও কেউ নেই যেন হায়!
নিস্তব্ধ এক কবরখানা,
মধ্যরাতের নিঃশব্দ এক বিরানভূমি।
চারিদিকে কোলাহলের ভিড়ের মাঝে নিরুত্তর ক্লান্ত একা নৈঃশব্দ্য কোজাগরী।
গোলাপ বাগান, শিম, টমেটো, বেগুন
মরিচের ঝাড় পুড়ে ছাড়খার কেবল!
হয়তো একদিন দাঁড়িয়ে উঠে বলবে জীবন
এসো আবার শুরু করি নতুন করে
খুঁজে নিয়ে অজানা পথের বাঁকে
রেখে দিয়ে নীল বেদনার পদচিহ্ন
আহ্বানে ডেকে নিয়ে আলোকবর্তিকা
যাঁর নাম নিয়ে হয়েছি প্রেরিত এ ধরায়।