বাজেট নিয়ে আ.লীগ বিএনপির বাগযুদ্ধ

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৪, ১১:০১ , অনলাইন ভার্সন
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট সংসদে ঘোষণা করা হয়েছে। ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।
বাজেট ঘোষণার পরপরই বরাবরের মতো এবারও এ নিয়ে শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের মধ্যে বাগযুদ্ধ। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, সংকটের এই সময়ে গণমুখী বাজেট হয়েছে। বাজেট প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির নেতারা বলছেন, বাজেটে লুটের নতুন পরিকল্পনা করা হয়েছে।
রাঘববোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করার জন্য এবারের বাজেট করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি আমলে যে লুটপাটের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছিল, দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল, তা থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লুটপাট করে কেউ এখানে পার পাবে না। নিজের লোকদের শায়েস্তা করার সাহস বিএনপির নেই। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাইফুর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া কালোটাকা সাদা করেছেন। তাহলে তারাও কি দুর্বৃত্ত?’
প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, লুটেরা সরকারের এই বাজেট কেবল দেশের গুটিকয়েক অরিগার্কেদের জন্য, যারা শুধু চুরিই করছে না, তারা ব্যবসা করছে, তারাই পলিসি প্রণয়ন করছে, আবার তারাই পুরো দেশ চালাচ্ছে। জবাবদিহিহীন এই সরকারের কাছ থেকে জনকল্যাণমূলক বাজেট আশা করাটাই বোকামি। আমরা এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করছি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, যেসব উন্নয়ন এর আগে হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে কোথায় যেতে চাই আমরা, তা ভেবেই বাজেট তৈরি হয়েছে। যারা প্রেসক্রিপশন নিয়ে বাজেট দিত, তারাই বিদেশি প্রেসক্রিপশনে বাজেট হয়েছে বলে সমালোচনা করছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, নতুন বাজেট প্রক্রিয়া হচ্ছে দেশের দরিদ্র মানুষকে শোষণের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সাজানো একটি হাতিয়ার। এই বাজেট সরকার কর্তৃক জনগণকে নিয়ে আরও একটি করুণ ও হৃদয়বিদারক প্রতারণা। আওয়ামী লীগ অন্যায়ভাবে গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে। কাজেই দেশের মানুষের ভাগ্য নির্ধারণে এই সরকারের কোনো নৈতিক অধিকার নেই।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, অনেক কিছুর ওপর থেকে ট্যাক্স কমানো হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের জন্য এই বাজেট বেশ উপকারী হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাজেট আর কী, যেখানে একটা অনির্বাচিত সরকার, যাদের কোনো ম্যান্ডেট নাই বাজেট দেওয়ার। কারণ তারা কোনো নির্বাচিত সরকার না, এই ব্যাপারে কারও মনে কোনো সন্দেহ নাই। আর বাজেট দেয় কী দিয়ে? একটা দেশের রিসোর্সের ওপর ভিত্তি করেই তো বাজেট দেওয়া হয়। বাংলাদেশের বর্তমান রিসোর্স কী আছে? ব্যাংক খালি, বাংলাদেশের দেনা বাড়তে বাড়তে কোন জায়গায় গিয়েছে এখন, এখানে দেনা শোধ করতে প্রিন্সিপাল এবং বাজেটের বড় একটা অংশ চলে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বাজেট ভালো হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভালো বাজেট। ব্যবসায়ীরা এতে কী প্রতিক্রিয়া দেয় তা দেখব।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে বাস্তবসম্মত ও গণমুখী বললেও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. একে আব্দুল মোমেন ‘না পাওয়ার আক্ষেপ’ জানিয়েছেন। মোমেন বলেছেন, সাধারণ মানুষ হিসেবে বাজেটে যা দেখতে চাই, তা এখনো পাইনি। তবে সংকটের এই সময়ে গণমুখী বাজেট হয়েছে। ডলার সংকট ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আরও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা উচিত ছিল।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041