ভবনের গাড়ির পার্কিংয়ে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হবে; ঈদের পরে অভিযান : ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৪, ২৩:৪১ , অনলাইন ভার্সন
'ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান বন্ধ করতে হবে। রাজউক থেকে নকশা অনুমোদনের সময় অনেক ভবনে পার্কিং দেখানো হয়। এসব পার্কিংয়ে গাড়ি পার্ক করতে হবে। দেখা যায় অনেক ভবনের পার্কিংয়ের জায়গায় দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তারপর গাড়িগুলো পার্কিং করা হচ্ছে রাস্তায়। গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান দেয়া যাবে না। রাজউককে সঙ্গে নিয়ে আমরা এগুলো বন্ধে অভিযান শুরু করবো। ঈদের পর থেকেই অভিযান শুরু হবে।'

৫ জুন (বুধবার) সকাল সাড়ে ১১টায় গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানস্থলে পৌছে ডিএনসিসি মেয়র গুলশান লেকে অবৈধ পয়োঃবর্জ্যের সংযোগ দেখতে পান। এসময় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কলাগাছ দিয়ে অবৈধ সংযোগ বন্ধের নির্দেশ দিলে সংযোগটি কলাগাছ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন,'শহরের প্রায় সকল ভবনেই এয়ার কন্ডিশন (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) লাগানো আছে, জেনেরেটর লাগানো আছে। সবাই হাজার হাজার টাকা খরচ করে ঘর ঠান্ডা করার জন্য এসি লাগাচ্ছে কিন্তু অনসাইটে সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা করার বিষয় কেউ চিন্তা করছে না। নির্বিচারে শহরের খালে, ড্রেনে সুয়ারেজের সংযোগ দিয়ে পানি, বায়ু দূষণ করছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। এসব অবৈধ সংযোগ বন্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিব। গতবছর আমরা গুলশান ও বারিধারায় একটা সার্ভে করেছিলাম। বেশিরভাগ বাড়িতেই সুয়ারেজ ব্যবস্থা নেই। মাত্র ৫ শতাংশ বাড়িতে কমপ্লায়েন্স পেয়েছি। বেশিরভাগ বাড়ির পয়োঃবর্জ্যের সংযোগ ড্রেনে, খালে দিয়ে রেখেছে। আমি অনেকগুলো ভবনে অবৈধ সংযোগ বন্ধে কলাগাছ দিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা এবছর আবারও অভিযান শুরু করবো।'

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'এই শহরকে ভালোবাসতে হবে। শহরের রাস্তা, খাল, ড্রেন যেন নোংরা না হয় এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। যার বাড়ির সামনের গাছ দেখে রাখতে হবে। আমরা দেখি দোকান সকালে শুরু করার সময় সবাই ঠিকই ঝাড়ু দেয়। কিন্তু ঝাড়ু দিয়ে ময়লাটা রাস্তায় ফেলে দেয়। এটা ঠিক না। আমি অনুরোধ করবো প্রতিটি দোকানের সামনে ময়লা ফেলার ঝুড়ি রাখবে। দোকানের ও মার্কেটের সামনের রাস্তা ও ফুটপাত পরিচ্ছন্ন রাখবেন।'

জনগণকে ছাদবাগান করার আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, 'শহরে গাছ লাগানোর জায়গা অপর্যাপ্ত তাই সবাইকে ছাদবাগান করার আহবান করছি। ছাদবাগান করলে ১০ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়া দেয়ার বিষয়টি ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। নীতিমালা প্রণয়ন হলে হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড় দেওয়া হবে।'

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, 'আমরা অবাক হয়ে যাই প্রতিনিয়ত নানা ধরনের ময়লা নির্বিচারে সবাই ফেলে দিচ্ছে খালে ও ড্রেনে। ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন খাল থেকে উদ্ধার করা পরিত্যক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিত্যক্ত লেপ, তোশক, সোফা, লাগেজ, খাট, ক্যাবল, টায়ার, কমোড, ফুলের টব, রিকশার অংশবিশেষ, টেবিল, চেয়ার, বেসিন, ব্যাগ, প্লাস্টিকের বিভিন্ন পাত্রসহ নানা পরিত্যক্ত পণ্য। গুলশান লেক থেকে বাথ ট্যাবও পেয়েছি। এমন কিছু নাই যা খালগুলোতে পাওয়া যায় না। সবাইকে ম্যাসেজ দেয়ার জন্যই এই আয়োজন করেছি। '

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র গুলশান বাড্ডা লিংক রোডে একটি গাছ রোপণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ডিএনসিসি, গুলশান সোসাইটি ও সিটি ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় গুলশান এলাকায় মোট ৫ হাজার গাছ রোপণ করা হবে।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব:), গুলশান সোসাইটির সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত, সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মফিজুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর মোছাঃ হাজেরা খাতুন এবং আমেনা বেগম প্রমুখ
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078