সময়ের মূল্য অনেক বেশি। তাই ওজন কমানোর লক্ষ্য যদি পুরণ না হয় তবে সময়টাই মাটি। আর সুস্থ থাকার পাশাপাশি ব্যায়াম করে ওজন বা চর্বি ঝরানো যদি প্রধান উদ্দেশ্য হয় তবে করতে হবে সঠিক ব্যায়াম। আর এক্ষেত্রে প্রায়ই প্রশ্ন আসে দৌড়ানো নাকি হাঁটা বেশি কার্যকর?
চটজলদি উত্তর হল দৌড়ানো
“সাধারণভাবে যে কেউ বলতে পারে দৌড়ানে বেশি ক্যালরি খরচ হয়। কারণ ওজনের সাথে সমাঞ্জস্য রেখে দৌড়ানো হয়। অর্থাৎ ওজন যত কমবে দৌড়ানোর মাত্রাও বাড়বে”- ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক স্বাস্থ্য রক্ষার প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্রাইড ফিটনেস’য়ের জ্যেষ্ঠ প্রশিক্ষক অ্যাপ্রিল গ্যাটলিন।
যদি এর পরও কোনো ফলাফল পাওয়া না যায় তবে বুঝতে হবে দৌড়ের মাত্রা বাড়াতে হবে।
গ্যাটলিন বলেন, “একটি নির্দিষ্ট গতিতে দৌড়ানোতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে তখন আর চর্বি গলতে চায় না। এজন্য বাড়তি পরিশ্রমের প্রয়োজন পড়ে। যাতে হৃদপিণ্ডের গতি বাড়ে।”
কিছুক্ষণ জোড়ে দৌড়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে আস্তে দৌড় শুরু করা। তারপর আবার জোড়ে দৌড়ানো- এই পদ্ধতিতে আগালে দ্রুত ক্যালরি খরচ হয়। কারণ হৃদগতি এতে বৃদ্ধি পায়।
দৌড়ানোর উপকারিতা
যদি সার্বিকভাবে উপকারী ‘কার্ডিও’ ব্যায়ামের কথা চিন্তা করা হয় তবে স্নিকার্স পরে আজই দৌড় শুরু করে দেওয়া উচিত।
“সবাই এই কাজটা করতে পারে। এজন্য পয়সা খরচও করতে হয় না। পার্কে চলে গেলেই হল”- বলেন গ্যাটিলিন।
ওজন কমানো বা চর্বি ঝরাতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এই শারীরিক কর্মকাণ্ড পেশি শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে।
‘আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি’ পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে- এমনকি পাঁচ থেকে ১০ মিনিট দৌড়ানো সার্বিকভাবে অকাল মৃত্যু ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
তবে হাঁটাও উপকারী
সবাইকে যে দৌড়াতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আবার ভারী শরীর নিয়ে ব্যায়ামের শুরুতে দৌড়ানো সহজ নয়। আর হাঁটার মাধ্যমেও যে চর্বি গলে সে কথা সবাই জানে।
গ্যাটলিন বলেন, “সব চেয়ে ভালো হয় ঢালু রাস্তায় হেঁটে ওপরের দিকে উঠলে। যাকে বলে ‘ইনক্লাইন ওয়াক’। এই শারীরিক কসরতে বিশাল পরিমাণে পেশি-গোষ্ঠী জড়িত হয়।”
দেহের নিম্নাংশের পেছন দিকের প্রায় সব ধরনের পেশি থেকে শুরু করে গোড়ালি, পায়ের পেশিগুলো এজন্য শক্তিশালী হতে থাকে। ফলে শুধু চর্বি ঝরে না- পা, কোমড়, পায়ের পাতা শক্তিশালী হয়। এতে পক্ষাঘাতে পড়ার সম্ভাবনা কমে।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে যে কারণে ‘কার্ডিও’ ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ
ওজন কমানোর যাত্রায় ‘কার্ডিও’ করা ব্যায়ামের রুটিনে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া উচিত। আর হাঁটার সাথে দৌড়ানো মেলাতে পারলে উপকার মিলবে বেশি।
গ্যাটলিন বলেন, ‘সার্বিকভাবে কার্ডিও ব্যায়াম ওজন কমানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে হাঁটা আবার দৌড়ানো এভাবে অদল-বদল করে কসরত চালালে চর্বি ঝরে বেশি। তবে সঠিকমাপের জুতা ব্যবহার করতে হবে। না হলে1 ব্যায়াম করতে গিয়ে আঘাত পেলে সেরে উঠতে সময় নেবে। ফলে সময়ের সাথে সাথে ব্যায়ামের রুটিনে ফিরে আসাও কঠিন হয়ে যায়, বিশেষ করে মানসিকভাবে।’
ঠিকানা/এসআর
চটজলদি উত্তর হল দৌড়ানো
“সাধারণভাবে যে কেউ বলতে পারে দৌড়ানে বেশি ক্যালরি খরচ হয়। কারণ ওজনের সাথে সমাঞ্জস্য রেখে দৌড়ানো হয়। অর্থাৎ ওজন যত কমবে দৌড়ানোর মাত্রাও বাড়বে”- ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক স্বাস্থ্য রক্ষার প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্রাইড ফিটনেস’য়ের জ্যেষ্ঠ প্রশিক্ষক অ্যাপ্রিল গ্যাটলিন।
যদি এর পরও কোনো ফলাফল পাওয়া না যায় তবে বুঝতে হবে দৌড়ের মাত্রা বাড়াতে হবে।
গ্যাটলিন বলেন, “একটি নির্দিষ্ট গতিতে দৌড়ানোতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে তখন আর চর্বি গলতে চায় না। এজন্য বাড়তি পরিশ্রমের প্রয়োজন পড়ে। যাতে হৃদপিণ্ডের গতি বাড়ে।”
কিছুক্ষণ জোড়ে দৌড়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে আস্তে দৌড় শুরু করা। তারপর আবার জোড়ে দৌড়ানো- এই পদ্ধতিতে আগালে দ্রুত ক্যালরি খরচ হয়। কারণ হৃদগতি এতে বৃদ্ধি পায়।
দৌড়ানোর উপকারিতা
যদি সার্বিকভাবে উপকারী ‘কার্ডিও’ ব্যায়ামের কথা চিন্তা করা হয় তবে স্নিকার্স পরে আজই দৌড় শুরু করে দেওয়া উচিত।
“সবাই এই কাজটা করতে পারে। এজন্য পয়সা খরচও করতে হয় না। পার্কে চলে গেলেই হল”- বলেন গ্যাটিলিন।
ওজন কমানো বা চর্বি ঝরাতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এই শারীরিক কর্মকাণ্ড পেশি শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে।
‘আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি’ পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে- এমনকি পাঁচ থেকে ১০ মিনিট দৌড়ানো সার্বিকভাবে অকাল মৃত্যু ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
তবে হাঁটাও উপকারী
সবাইকে যে দৌড়াতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আবার ভারী শরীর নিয়ে ব্যায়ামের শুরুতে দৌড়ানো সহজ নয়। আর হাঁটার মাধ্যমেও যে চর্বি গলে সে কথা সবাই জানে।
গ্যাটলিন বলেন, “সব চেয়ে ভালো হয় ঢালু রাস্তায় হেঁটে ওপরের দিকে উঠলে। যাকে বলে ‘ইনক্লাইন ওয়াক’। এই শারীরিক কসরতে বিশাল পরিমাণে পেশি-গোষ্ঠী জড়িত হয়।”
দেহের নিম্নাংশের পেছন দিকের প্রায় সব ধরনের পেশি থেকে শুরু করে গোড়ালি, পায়ের পেশিগুলো এজন্য শক্তিশালী হতে থাকে। ফলে শুধু চর্বি ঝরে না- পা, কোমড়, পায়ের পাতা শক্তিশালী হয়। এতে পক্ষাঘাতে পড়ার সম্ভাবনা কমে।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে যে কারণে ‘কার্ডিও’ ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ
ওজন কমানোর যাত্রায় ‘কার্ডিও’ করা ব্যায়ামের রুটিনে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া উচিত। আর হাঁটার সাথে দৌড়ানো মেলাতে পারলে উপকার মিলবে বেশি।
গ্যাটলিন বলেন, ‘সার্বিকভাবে কার্ডিও ব্যায়াম ওজন কমানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে হাঁটা আবার দৌড়ানো এভাবে অদল-বদল করে কসরত চালালে চর্বি ঝরে বেশি। তবে সঠিকমাপের জুতা ব্যবহার করতে হবে। না হলে1 ব্যায়াম করতে গিয়ে আঘাত পেলে সেরে উঠতে সময় নেবে। ফলে সময়ের সাথে সাথে ব্যায়ামের রুটিনে ফিরে আসাও কঠিন হয়ে যায়, বিশেষ করে মানসিকভাবে।’
ঠিকানা/এসআর