অর্থনীতির বেহাল দশা : বাংলাদেশকে কোথায় নিচ্ছে!

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৪, ১৬:২৪ , অনলাইন ভার্সন
বিশ্বজুড়েই অর্থনীতির বেহাল দশা। দেশে দেশে যুদ্ধ; সরবরাহের সংকট, উৎপাদনেও অনেক সংকট। এসব সংকট বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য সংকট অবধারিত করে তুলছে। অনেক দিন থেকেই যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন থেকেই বাংলাদেশে সরবরাহ সংকট জ্বালানিসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশের দিকে ছুটতে থাকে। জনজীবনে নেমে আসতে থাকে দুর্ভোগ। সংসার চালিয়ে নেওয়া, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের সংসার চালিয়ে নেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠতে থাকে।
এরপর শুরু হয়ে যায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। যে যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রাণ দিয়েছে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এবং কয়েক লাখ মানুষ আহত। আসলে যখন যুদ্ধ চলমান, সে সময়ে হতাহতের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা খুব কঠিন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও অসংখ্য মানুষ হতাহত হয়। যার সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করা এখনই অসম্ভব। বিশ্ব এই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে খুব বেশি করে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ফলে বাংলাদেশ বা তেমন অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য কালো মেঘের মতো অর্থনীতি অন্ধকারে ডুবতে শুরু করে। ঠিকানা পত্রিকার একটি সংখ্যার একটি পাতায় চোখ মেললেই বাংলাদেশের অর্থনীতির অর্থনীতি কোন দিকে ধেয়ে চলেছে, বুঝতে কষ্ট হবে না। ঠিকানার সর্বশেষ সংখ্যা অর্থাৎ ১৫ মে’র একটি সংখ্যাতেই বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা বুঝে নিতে যথেষ্ট। মাত্র একটি পৃষ্ঠাতেই অর্থনীতির বেহাল অবস্থা নিয়ে চারটি নিউজ। প্রধান খবরটি শেষেই বলি। তার আগে অন্য তিনটি নিউজের কথা বলে নেই। ১. ‘ডলার সংকটে অস্থির অর্থনীতি’; ২. ‘উদার নৈতিক বিশ্বব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে’; ৩. ‘রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে’। শেষ সংবাদটি হচ্ছে ৪. ‘ফের বিলিয়ন ডলার চুরি!/ বাংলাদেশ ব্যাংকের অস্বীকার।’
আমরা সাধারণভাবে বলে থাকি, ‘যার সংসারে অর্থের আকাল, তার সংসারে সচ্ছলতার কথা ভাবা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।’ যার অর্থ নেই, প্রকৃত অর্থে তার কিছুই নেই। বাংলাদেশেরও আজ সেই অবস্থা। অর্থনীতির সংকট অথবা সংকটের আশঙ্কা। একটি দেশের অর্থের অভাব মানে মুদ্রা হিসেবে টাকার অভাব নয়। অভাব হচ্ছে স্বর্ণের অভাব বৈদেশিক মুদ্রায়। যাকে আমরা ডলার বলে থাকি। ডলার সংকট মানেই আমাদের ভাঁড়ারে শনির দশা। ঠিকানার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘ডলার সংকটে অস্থির অর্থনীতি’ শীর্ষক শিরোনামের সংবাদে বলা হয়েছে, ‘হঠাৎ করেই ডলারের দাম বাড়ার কারণে অস্থির হচ্ছে দেশের অর্থনীতির সব খাত। ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমেছে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ডলারের দর বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে বিদেশি ঋণ পরিশোধ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পণ্যের দামের ওপর। এতে আমদানিতে বাড়বে ক্যাপাসিটি চার্জের বোঝা। এলসি সমন্বয় ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। আসলে প্রকাশিত খবরগুলো পৃথকভাবে ব্যাখ্যা করে না বললেও বাংলাদেশের ব্যাংক-ব্যবস্থাপনার যে একেবারেই বেহাল অবস্থা, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। যে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়, সেখানে আর বলার কিছু থাকে না। দুর্ঘটনাও একবার নয়, একাধিকবার ঘটে। কর্তৃপক্ষ হয়তো অস্বীকার করে, কিন্তু ‘যা রটে, তা কিছুটাও হলেও ঘটে’। এ অবস্থায় যারা চতুর এবং যাদের সুযোগ আছে, তারা তাদের অর্থ দেশে রাখার ঝুঁকি না নিয়ে বাইরে রাখাই ঝুঁকিহীন ভাববেন। একমাত্র শেখের বেটিকে বাঘের মুখে দিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার সুযোগ নিয়ে লাভ কী? দেশটাই যদি অর্থশূন্য হয়ে পড়ে, তাহলে তারা তাদের ‘ন্যায়-অন্যায়’ পথে অর্জনের সুযোগই পাবেন কি না, সেটাও তো খুব বড় একটা প্রশ্ন? তখন পত্রপত্রিকায় লিখেই-বা কী হবে?
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041