প্রতিভাবান বিদেশি কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে দিচ্ছে আমেরিকা

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৪, ১৬:২৩ , অনলাইন ভার্সন
খবরটি বড়ই স্পর্শকাতর। দুনিয়ার সব দেশ, এমন কি আমেরিকা নিজেও মনে করে তাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে সুদক্ষ প্রবাসী কর্মীদের জন্য। সেই অভিজ্ঞ ও প্রতিভাবান কর্মীরা নিজেদের মতো করে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে আমেরিকাকে গড়ে তুলেছেন, তাদেরকে আমেরিকা থেকে বের করে দেয়া- কারো কাছেই ভালো কোনো সিদ্ধান্ত বলে মেনে নিতে পারছে না। সাম্প্রতিক সময়ে হাজার হাজার প্রতিভাবান শ্রমিককে আমেরিকা থেকে বের করে দেবে- এমন সিদ্ধান্তকে কেউ স্বাভাবিক কোনো সিদ্ধান্ত বলে মেনে নিতে পারবে না বলেই মনে করছেন। ইমোশনাল সিদ্ধান্ত সবসময় সুফল দেয় না। আরও একটা কথা, পজিটিভ ইমোশন অধিক সুফল দেয়। তেমন কথাই বলে থাকেন সুধীজন। সুতরাং এখানেও নেগেটিভ সিদ্ধান্ত সুফল দেবে না বলে মনে করা যায়। যে শিরোনাম নিয়ে এই সম্পাদকীয়। ঠিকানা’র ১৫ মে’র ৭০ পৃষ্ঠার লিড নিউজ ‘হাজার হাজার প্রতিভাবান বিদেশি কর্মীকে ফিরিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র’। তাতে বলা হয়েছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে হাজার হাজার প্রতিভাবান বিদেশি কর্মীকে যুক্তরাষ্ট্র ফিরিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে অনেকে তাদের ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর আমেরিকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকছে না। সংবাদে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো ভালো ফল অর্জন করেও নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। তারা পুনরায় আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো ফল অর্জনকারী স্নাতক ডিগ্রিধারী আবারও প্রতিযোগিতামূলক আবেদনের ফলাফলের জন্য দুর্ভাবনার অপেক্ষা করেছিলেন। তবু বার্ষিক এইচ-১বি ভিসা লটারির ফলাফল সম্পূর্ণভাবে তাদের হার নাগালের বাইরে। 
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছরই বিশেষ পেশার জন্য জনপ্রিয় কাজের ভিসা কে পাবে তার সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেয়। গত বছর এইচ-১বি ভিসা অনুমোদনের হার হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের চেয়ে কম ছিল। আমেরিকার অস্বাভাবিকভাবে অভঙ্গুর অবস্থা অভিবাসন প্রক্রিয়ায় তেমন ত্রুটির আশঙ্কা ছিল না। সেই ত্রুটিপূর্ণ অভিবাসন ব্যবস্থা এখন ঠিক করতে চায়। ৭৩ শতাংশ মানুষ মনে করে যে, একটি ভিসা ব্যবস্থা সব দেশের, বিশেষ করে অভিবাসন প্রক্রিয়া যে দেশে শিথিল, সেসব দেশে থাকা একটি অতি জরুরি বিষয়। যে বিষয়টি স্টেট গ্র্যাজুয়েটদের দেশের ভেতরেই কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এমন কি ৬০ শতাংশ রিপাবলিকান ভোটার দক্ষ অভিবাসন বাড়ানোর পক্ষে। এ অবস্থাতেও অভিবাসন নীতি পরিবর্তন অধরাই হতে চলেছে। যা আমেরিকার মতো একটি অভিবাসনবান্ধব দেশের জন্য কতটা বাস্তবতাঘনিষ্ঠ, সেটি আইন প্রণেতাদের অবশ্যই ভালোভাবে দেখা খুব জরুরি। কেননা অভিজ্ঞ সবার মুখেই শুনতে পাওয়া যায়।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041