জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের বর্তমান পরিচালনা পরিষদের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হলো। আগামী বছরের (২০২৫ সাল) জুন মাসে সংগঠনের নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এটাও বলা হয়েছে, যদি এর মধ্যে মামলার জটিলতা নিরসন না হয়, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে আগামী বছর জেনারেল মিটিংয়ের সময় তারা সময় বাড়াতে পারবেন। তবে সদস্যদের কেউ কেউ বর্তমান কমিটির মেয়াদ একবারে দুই বছর বাড়ানোর কথা বললেও পরে সেটি এক বছর বাড়ানো হয়। গত ১৯ মে সন্ধ্যায় তাজমহল পার্টি হলে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) রোকন হাকিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি ও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির অন্যতম সদস্য আজিমুর রহমান বুরহান, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক সভাপতি বদরুন নাহার খান মিতা, কওছারুজ্জামান কয়েস, ছদরুন নূর, সৈয়দ নাজমুল হাসান কুবাদ প্রমুখ।
সভায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার সমিতির সভাপতিবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত নেতারা ঐক্যবদ্ধ জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি যাদের কারণে সংগঠনের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে ও যারা সংগঠনের স্বার্থহানি করছেন, তাদের প্রতি নিন্দা জানান। বক্তব্য রাখেন সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) রোকন হাকিম, সদরুন নূর, বদরুন খান মিতা, আজিমুর রহমান বুরহান, কাওছারুজ্জামান কয়েছ, সৈয়দ নাজমুল হাসান কুবাদ প্রমুখ।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে সন্ধ্যা সাতটায় সাধারণ সভা শুরু হয়। এরপর বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এ সময় সবাই দাঁড়িয়ে দুই দেশের প্রতি সম্মান জানান। এরপর সভার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমেই অনুষ্ঠানের অ্যাজেন্ডা সবাইকে অবহিত করেন রোকন হাকিম। এরপর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম তার এক বছরের রিপোর্ট পেশ করেন। তার রিপোর্ট পেশের পর এ নিয়ে অ্যাসোসিয়েশনে নেতারা আলোচনা করেন। এই সময় তারা জানতে চান, মামলার নিষ্পত্তি কত দিনের মধ্যে হবে। যদিও আইনি প্রক্রিয়া চলমান থাকায় নির্দিষ্ট কোনো সময় জানানো সম্ভব নয় বলে জানান দায়িত্বশীলরা। সেখানে কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টিও উঠে আসে।
সংগঠনের সংবিধান অনুযায়ী ১ জুন নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতির পাশাপাশি মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় জানানো হয়, সাধারণ সদস্যরা জেনারেল মিটিংয়ে যদি মনে করেন, নির্বাচন আগস্টে হতে হবে, তাহলে কমিটি নির্বাচন করবে। আর যদি মনে করেন, এখন নির্বাচন না করে বরং যারা কমিটিতে আছেন, তারাই আরও এক থেকে দুই বছর কমিটিতে থাকবেন, মামলা শেষ করেই নির্বাচন দেবেন, তাহলেও সমস্যা নেই। পরে এই ইস্যুতে সর্বসম্মতিক্রমে কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্টও সর্বসম্মতিতে পাস করা হয়।
সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্টে রোকন হাকিম উল্লেখ করেন, মাত্র ১২০০ ডলার হাতে নিয়ে আমরা বর্তমান কার্যকরী কমিটি ও আমি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর আপনাদের সহযোগিতায় অনেক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে। বিগত সাধারণ সভার পরপরই আমরা সংগঠনের আত্মসাৎকৃত ৩ লাখ ৩২ হাজার ডলারের বেশি উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি। সাবেক সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ এবং বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে অভিযোগ দায়ের করি, যা এখন তদন্তাধীন আছে। সেই সঙ্গে একজন আইনজীবী নিয়োগ করে আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলামের নিজস্ব নামে কেনা বাড়ির ওপর আমরা লিন বসিয়েছি। বাড়িটির মর্টগেজ কোম্পানির বিরুদ্ধেও সংগঠনের চেক নিয়ে অবৈধভাবে অন্যের নামে বাড়ি রেজিস্ট্রি করায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা এখনো চলমান। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে শুধু সুদ পরিশোধের শর্তে (এক বছরের মধ্যে পরিশোধ না করলে অতিরিক্ত পরিশোধের শর্তে) মর্টগেজ নিয়ে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বাড়ি ক্রয় করার সময় সংগঠনের অ্যাকাউন্ট থেকে তিন মাসের অগ্রিম পরিশোধ করেন। কিন্তু তার পর থেকেই ভাড়া বাবাদ ৬ হাজার ডলার সংগ্রহ করলেও জানুয়ারি ২০২৩ থেকে এক বছর পূর্ণ না হওয়া অর্থাৎ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত আর কোনো মাসিক সুদ পরিশোধ করেননি। এ অবস্থায় মর্টগেজ কোম্পানি তাদের পাওনা সুদ না দেওয়ায় ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বাড়িটি ফোর ক্লোজারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। কোর্ট আবেদন গ্রহণ করে বাড়ির মালিক বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলামকে নোটিশ পাঠায়। মঈনুল ইসলাম দুই দফায় নোটিশের উত্তর দিলেও তা মর্টগেজ কোম্পানি প্রত্যাখ্যান করে। গত ২৩ এপ্রিল বাড়িটি ফোরক্লোজারে মামলার তারিখ নির্ধারিত ছিল। সেদিন আমাদের আইনজীবীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন, যাতে বাড়িটির ব্যাপাওে কোনো সিদ্ধান্ত হলে আমাদের আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা হয়। মঈনুল ইসলামের আইনজীবী সেদিন আদালতের কাছে দীর্ঘ সময়ের জন্য আবেদন করলেও আদালত ১১ জুন নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন। আমরা আইনজীবীর মাধ্যমে এই অর্থ উদ্ধারের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখব।
নিজস্ব সম্পত্তি (কবরস্থান) রক্ষার উদ্যোগ সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদক বলেন, মঈনুল ইসলাম বহিষ্কার হওয়ার আগে ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল কবরস্থানে কয়েকটি কবর বিক্রি করে টাকা অ্যাকাউন্টে জমা দেননি। তাই আমরা তাকে বহিষ্কারের পরপরই কবরস্থানের অ্যাকাউন্ট থেকে তার নাম প্রত্যাহার করি। অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য আনসার হোসেন চৌধুরীর কবরের ব্যবস্থা করতে গিয়ে দেখা যায়, মঈনুল ইসলাম গংরা কবর ব্যবহার করতে না দেওয়ার জন্য কবরস্থান কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠিয়েছেন। আমরা সমস্যার সমাধানকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও সাবেক কর্মকর্তাদের সহযোগিতয় পুনরায় অধিকার আদায় করি। সংগঠনের একমাত্র নিজস্ব সম্পত্তি কবরস্থানের মধ্যে বর্তমানে নিউইয়র্কে লং আইল্যান্ড ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালে ১০০টি কবর রয়েছে। এর মধ্যে ৮৯টি ইতিমধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ১১টি কবর, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সেই বিবেচনায় বিগত কমিটি নিউজার্সির মালবরোতে আরও ১০৪টি কবর কিস্তিতে ক্রয় করেন। কিন্তু ক্রয়কৃত কবরের কোনো হিসাব, কোনো ধরনের কাগজপত্র এমনকি কতটি কবর ব্যবহার হয়েছে, তারও কোনো তালিকা বা হিসাব বর্তমান কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। এ ছাড়া কত টাকা কিস্তি বাকি রয়েছে, তা বুঝিয়ে না দেওয়ায় তা জানা যায়নি। এমনকি কিস্তি পরিশোধ করতেও আমাদের অনেক অসুবিধা হয়েছে। বিগত কমিটির রেখে যাওয়া কবরস্থানের বকেয়া ৩২ হাজার ডলারের বেশি কিস্তি বর্তমান কমিটি পরিশোধ করেছে। এ জন্য কমিটির পক্ষ থেকে অ্যাসোসিয়েশনের সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয়। ১০৪টি কবরের মধ্যে একটি ইতিমধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। অবশিষ্ট রয়েছে আরও ১০৩টি কবর। নিউজার্সির টটোয়ায় পাঁচটি কবরের মধ্যে তিনটি ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি কবর অবশিষ্ট রয়েছে।
তিনি তার রিপোর্টে অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে কনস্যুলেট সেবা প্রদান, মতবিনিময় সভা, মহান বিজয় দিবস উদ্্যাপন, অমর একুশে পালন, স্বাধীনতা দিবস পালন, ইফতার ও দোয়া মাহফিল, আজীবন সদস্য সংগ্রহের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি আগামী ছয় মাসের কর্মসূচির বিষয়ে বলেন, সংগঠনের অর্থ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা, নির্ধারিত সময়ে সংগঠনের নির্বাচনী কার্যক্রম সম্পন্ন করা এবং আগামী জুন/জুলাই মাসে নিউজার্সিতে কনস্যুলেট সেবা প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, জালালাবাদবাসীর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্যের বিকল্প নেই। আমাদের বিশ্বাস, সকল জটিলতা কাটিয়ে আপনাদের সহযোগিতায় জালালাবাদবাসীকে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করব, ইনশা আল্লাহ। এরপর তার রিপোর্টের ওপর আলোচনা হয়। সেটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।
সাধারণ সভায় কোষাধ্যক্ষ তার রিপোর্ট পেশ করেন। কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলীম তার লিখিত রিপোর্টে ১ জুন ২০২৩ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত সংগঠনের আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি তার হিসাব বিবরণীতে জানান, ২০২৩ সালে জেনারেল মিটিংয়ে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১১ হাজার ৬৫০ ডলার, ওই সভার জন্য আয় হয়েছিল ১১ হাজার ৭৫০ ডলার। ১০০ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। কনস্যুলেট সার্ভিসের জন্য খরচ হয়েছে ৪ হাজার ৮৫০ ডলার, শাহীন খালেক দিয়েছেন ৪ হাজার ৮৫০ ডলার।
তিনি আরও জানান, ডোনেশন আসে এক্সকিউটিভ কমিটি, ফর্মার কমিটি ও জালালাবাদের সদ্যদের কাছ থেকে মোট ১৫২৯৫.৩৩ ডলার। ১ জুন ২০২৩ এর বিগিনিং ব্যালেন্স ছিল ৯১৭.৪৭ ডলার, আয় হয়েছে লাইফ মেম্বার চাঁদা ১৭ হাজার, কবর খাতে ডোনেশন ৫০৪৫০, এক্সিকিউটিভ কমিটি কন্ট্রিবিউশন ১৪৭২০, এক্সিকিউটিভ কমিটি লোন ১৪ হাজার, অন্যান্য স্পন্সর ও ডোনেশন থেকে আয় ২৮৫৪৫.৩৩ ডলার। টোটাল ১,২৫,৬৩২.৮০ ডলার। জুন ২০২৩ থেকে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত খরচ সব ইভেন্টের জন্য ৪১৬৬০, কবরস্থানের জন্য পেমেন্ট ১৬৩৬৭.৬৬, লিগ্যাল ফি ৪৩৪৪৬, অন্যান্য ২২৫০ ডলার। সব মিলিয়ে খরচ ১০৩,৭২৩.৬৬ ডলার। মোট অ্যাসেটের হিসাবে ইনভেস্ট ছিল ১৫০,৭৫০ ডলার। এর বর্তমান মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৩৭,৪২২ ডলার। ব্যাংকে আছে ২১৯০৯.১৪ ডলার। আর এক্সিকিউটিভ কমিটির লোন আছে ১৪ হাজার ডলার।
সভায় উপস্থিত দুই শতাধিক সদস্য সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের রিপোর্টের ওপর মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। তারা হলেন সাবেক ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন, আব্দুস শহীদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, আব্দুল হাসিব মামুন ও আহমেদ জিলু, সাবেক সহসভাপতি জোসেফ চৌধুরী, সাব্বির হোসেন, সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক জামিল আনসারী, মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনার আনোয়ার হোসেন, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি মকবুল রহীম চুনুই, রাজনীতিবিদ শেখ আতিক, মিসবাহ আহমেদ, মূলধারার রাজনীতিবিদ সাইফুর খান হারুন, সাইকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিজান, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট সোসাইটি অব ইউএসএ ইনকের সভাপতি সোহান আহমেদ টুটুল, সাবেক সভাপতি মো. তজমুন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রুহুল আলী, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান রুহুল ও নাজমুল হক মাহবুব, শমস উদ্দিন, হারুন মিয়া, আমিনুল ইসলাম চুন্নু, বিল্লাহ উদ্দিন, খাইরুল ইসলাম খোকন, গোলাপগঞ্জ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারবেজ আহমেদ, আতিকুল ইসলাম আহাদ, কিনু চৌধুরী, নর্থ ব্রঙ্কস কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মুক্তাদির হোসেন, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, আশফাকুল হক চৌধুরী, আব্দুল খালেক, ফারুক আহমেদ, হবিগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতি যুক্তরাষ্ট্র ইনকের সভাপতি আজদু মিয়া তালুকদার, উপদেষ্টা তাজুল ইসলাম তালুকদার চেয়ারম্যান, রুবেল মিয়া প্রমুখ।
সভায় গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে :
১. সংগঠনের পাওনা টাকা উদ্ধারে গৃহীত ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা। ২. প্রবাসের সর্ববৃহৎ আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় বর্তমান প্রতিকূল অবস্থা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং সংগঠনের নির্বাচন এখন থেকে গঠনতান্ত্রিকভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ আরও এক বছর বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে অর্থাৎ আগামী ২০২৫ সালের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৩. সাবেক সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলালের আজীবন সদস্যপদ পুনর্বহাল করা এবং ৪. গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটি আগামী তিন মাসের মধ্যে গঠনতন্ত্র সংশোধনী খসড়া কার্যকরী পরিষদের নিকট হস্তান্তর করবে।
সভায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার সমিতির সভাপতিবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত নেতারা ঐক্যবদ্ধ জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি যাদের কারণে সংগঠনের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে ও যারা সংগঠনের স্বার্থহানি করছেন, তাদের প্রতি নিন্দা জানান। বক্তব্য রাখেন সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) রোকন হাকিম, সদরুন নূর, বদরুন খান মিতা, আজিমুর রহমান বুরহান, কাওছারুজ্জামান কয়েছ, সৈয়দ নাজমুল হাসান কুবাদ প্রমুখ।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে সন্ধ্যা সাতটায় সাধারণ সভা শুরু হয়। এরপর বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এ সময় সবাই দাঁড়িয়ে দুই দেশের প্রতি সম্মান জানান। এরপর সভার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমেই অনুষ্ঠানের অ্যাজেন্ডা সবাইকে অবহিত করেন রোকন হাকিম। এরপর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম তার এক বছরের রিপোর্ট পেশ করেন। তার রিপোর্ট পেশের পর এ নিয়ে অ্যাসোসিয়েশনে নেতারা আলোচনা করেন। এই সময় তারা জানতে চান, মামলার নিষ্পত্তি কত দিনের মধ্যে হবে। যদিও আইনি প্রক্রিয়া চলমান থাকায় নির্দিষ্ট কোনো সময় জানানো সম্ভব নয় বলে জানান দায়িত্বশীলরা। সেখানে কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টিও উঠে আসে।
সংগঠনের সংবিধান অনুযায়ী ১ জুন নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতির পাশাপাশি মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় জানানো হয়, সাধারণ সদস্যরা জেনারেল মিটিংয়ে যদি মনে করেন, নির্বাচন আগস্টে হতে হবে, তাহলে কমিটি নির্বাচন করবে। আর যদি মনে করেন, এখন নির্বাচন না করে বরং যারা কমিটিতে আছেন, তারাই আরও এক থেকে দুই বছর কমিটিতে থাকবেন, মামলা শেষ করেই নির্বাচন দেবেন, তাহলেও সমস্যা নেই। পরে এই ইস্যুতে সর্বসম্মতিক্রমে কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্টও সর্বসম্মতিতে পাস করা হয়।
সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্টে রোকন হাকিম উল্লেখ করেন, মাত্র ১২০০ ডলার হাতে নিয়ে আমরা বর্তমান কার্যকরী কমিটি ও আমি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর আপনাদের সহযোগিতায় অনেক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে। বিগত সাধারণ সভার পরপরই আমরা সংগঠনের আত্মসাৎকৃত ৩ লাখ ৩২ হাজার ডলারের বেশি উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি। সাবেক সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ এবং বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে অভিযোগ দায়ের করি, যা এখন তদন্তাধীন আছে। সেই সঙ্গে একজন আইনজীবী নিয়োগ করে আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলামের নিজস্ব নামে কেনা বাড়ির ওপর আমরা লিন বসিয়েছি। বাড়িটির মর্টগেজ কোম্পানির বিরুদ্ধেও সংগঠনের চেক নিয়ে অবৈধভাবে অন্যের নামে বাড়ি রেজিস্ট্রি করায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা এখনো চলমান। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে শুধু সুদ পরিশোধের শর্তে (এক বছরের মধ্যে পরিশোধ না করলে অতিরিক্ত পরিশোধের শর্তে) মর্টগেজ নিয়ে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বাড়ি ক্রয় করার সময় সংগঠনের অ্যাকাউন্ট থেকে তিন মাসের অগ্রিম পরিশোধ করেন। কিন্তু তার পর থেকেই ভাড়া বাবাদ ৬ হাজার ডলার সংগ্রহ করলেও জানুয়ারি ২০২৩ থেকে এক বছর পূর্ণ না হওয়া অর্থাৎ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত আর কোনো মাসিক সুদ পরিশোধ করেননি। এ অবস্থায় মর্টগেজ কোম্পানি তাদের পাওনা সুদ না দেওয়ায় ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বাড়িটি ফোর ক্লোজারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। কোর্ট আবেদন গ্রহণ করে বাড়ির মালিক বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলামকে নোটিশ পাঠায়। মঈনুল ইসলাম দুই দফায় নোটিশের উত্তর দিলেও তা মর্টগেজ কোম্পানি প্রত্যাখ্যান করে। গত ২৩ এপ্রিল বাড়িটি ফোরক্লোজারে মামলার তারিখ নির্ধারিত ছিল। সেদিন আমাদের আইনজীবীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন, যাতে বাড়িটির ব্যাপাওে কোনো সিদ্ধান্ত হলে আমাদের আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা হয়। মঈনুল ইসলামের আইনজীবী সেদিন আদালতের কাছে দীর্ঘ সময়ের জন্য আবেদন করলেও আদালত ১১ জুন নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন। আমরা আইনজীবীর মাধ্যমে এই অর্থ উদ্ধারের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখব।
নিজস্ব সম্পত্তি (কবরস্থান) রক্ষার উদ্যোগ সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদক বলেন, মঈনুল ইসলাম বহিষ্কার হওয়ার আগে ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল কবরস্থানে কয়েকটি কবর বিক্রি করে টাকা অ্যাকাউন্টে জমা দেননি। তাই আমরা তাকে বহিষ্কারের পরপরই কবরস্থানের অ্যাকাউন্ট থেকে তার নাম প্রত্যাহার করি। অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য আনসার হোসেন চৌধুরীর কবরের ব্যবস্থা করতে গিয়ে দেখা যায়, মঈনুল ইসলাম গংরা কবর ব্যবহার করতে না দেওয়ার জন্য কবরস্থান কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠিয়েছেন। আমরা সমস্যার সমাধানকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও সাবেক কর্মকর্তাদের সহযোগিতয় পুনরায় অধিকার আদায় করি। সংগঠনের একমাত্র নিজস্ব সম্পত্তি কবরস্থানের মধ্যে বর্তমানে নিউইয়র্কে লং আইল্যান্ড ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালে ১০০টি কবর রয়েছে। এর মধ্যে ৮৯টি ইতিমধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ১১টি কবর, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সেই বিবেচনায় বিগত কমিটি নিউজার্সির মালবরোতে আরও ১০৪টি কবর কিস্তিতে ক্রয় করেন। কিন্তু ক্রয়কৃত কবরের কোনো হিসাব, কোনো ধরনের কাগজপত্র এমনকি কতটি কবর ব্যবহার হয়েছে, তারও কোনো তালিকা বা হিসাব বর্তমান কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। এ ছাড়া কত টাকা কিস্তি বাকি রয়েছে, তা বুঝিয়ে না দেওয়ায় তা জানা যায়নি। এমনকি কিস্তি পরিশোধ করতেও আমাদের অনেক অসুবিধা হয়েছে। বিগত কমিটির রেখে যাওয়া কবরস্থানের বকেয়া ৩২ হাজার ডলারের বেশি কিস্তি বর্তমান কমিটি পরিশোধ করেছে। এ জন্য কমিটির পক্ষ থেকে অ্যাসোসিয়েশনের সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয়। ১০৪টি কবরের মধ্যে একটি ইতিমধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। অবশিষ্ট রয়েছে আরও ১০৩টি কবর। নিউজার্সির টটোয়ায় পাঁচটি কবরের মধ্যে তিনটি ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি কবর অবশিষ্ট রয়েছে।
তিনি তার রিপোর্টে অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে কনস্যুলেট সেবা প্রদান, মতবিনিময় সভা, মহান বিজয় দিবস উদ্্যাপন, অমর একুশে পালন, স্বাধীনতা দিবস পালন, ইফতার ও দোয়া মাহফিল, আজীবন সদস্য সংগ্রহের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি আগামী ছয় মাসের কর্মসূচির বিষয়ে বলেন, সংগঠনের অর্থ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা, নির্ধারিত সময়ে সংগঠনের নির্বাচনী কার্যক্রম সম্পন্ন করা এবং আগামী জুন/জুলাই মাসে নিউজার্সিতে কনস্যুলেট সেবা প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, জালালাবাদবাসীর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্যের বিকল্প নেই। আমাদের বিশ্বাস, সকল জটিলতা কাটিয়ে আপনাদের সহযোগিতায় জালালাবাদবাসীকে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করব, ইনশা আল্লাহ। এরপর তার রিপোর্টের ওপর আলোচনা হয়। সেটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।
সাধারণ সভায় কোষাধ্যক্ষ তার রিপোর্ট পেশ করেন। কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলীম তার লিখিত রিপোর্টে ১ জুন ২০২৩ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত সংগঠনের আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি তার হিসাব বিবরণীতে জানান, ২০২৩ সালে জেনারেল মিটিংয়ে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১১ হাজার ৬৫০ ডলার, ওই সভার জন্য আয় হয়েছিল ১১ হাজার ৭৫০ ডলার। ১০০ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। কনস্যুলেট সার্ভিসের জন্য খরচ হয়েছে ৪ হাজার ৮৫০ ডলার, শাহীন খালেক দিয়েছেন ৪ হাজার ৮৫০ ডলার।
তিনি আরও জানান, ডোনেশন আসে এক্সকিউটিভ কমিটি, ফর্মার কমিটি ও জালালাবাদের সদ্যদের কাছ থেকে মোট ১৫২৯৫.৩৩ ডলার। ১ জুন ২০২৩ এর বিগিনিং ব্যালেন্স ছিল ৯১৭.৪৭ ডলার, আয় হয়েছে লাইফ মেম্বার চাঁদা ১৭ হাজার, কবর খাতে ডোনেশন ৫০৪৫০, এক্সিকিউটিভ কমিটি কন্ট্রিবিউশন ১৪৭২০, এক্সিকিউটিভ কমিটি লোন ১৪ হাজার, অন্যান্য স্পন্সর ও ডোনেশন থেকে আয় ২৮৫৪৫.৩৩ ডলার। টোটাল ১,২৫,৬৩২.৮০ ডলার। জুন ২০২৩ থেকে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত খরচ সব ইভেন্টের জন্য ৪১৬৬০, কবরস্থানের জন্য পেমেন্ট ১৬৩৬৭.৬৬, লিগ্যাল ফি ৪৩৪৪৬, অন্যান্য ২২৫০ ডলার। সব মিলিয়ে খরচ ১০৩,৭২৩.৬৬ ডলার। মোট অ্যাসেটের হিসাবে ইনভেস্ট ছিল ১৫০,৭৫০ ডলার। এর বর্তমান মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৩৭,৪২২ ডলার। ব্যাংকে আছে ২১৯০৯.১৪ ডলার। আর এক্সিকিউটিভ কমিটির লোন আছে ১৪ হাজার ডলার।
সভায় উপস্থিত দুই শতাধিক সদস্য সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের রিপোর্টের ওপর মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। তারা হলেন সাবেক ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন, আব্দুস শহীদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, আব্দুল হাসিব মামুন ও আহমেদ জিলু, সাবেক সহসভাপতি জোসেফ চৌধুরী, সাব্বির হোসেন, সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক জামিল আনসারী, মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনার আনোয়ার হোসেন, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি মকবুল রহীম চুনুই, রাজনীতিবিদ শেখ আতিক, মিসবাহ আহমেদ, মূলধারার রাজনীতিবিদ সাইফুর খান হারুন, সাইকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিজান, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট সোসাইটি অব ইউএসএ ইনকের সভাপতি সোহান আহমেদ টুটুল, সাবেক সভাপতি মো. তজমুন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রুহুল আলী, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান রুহুল ও নাজমুল হক মাহবুব, শমস উদ্দিন, হারুন মিয়া, আমিনুল ইসলাম চুন্নু, বিল্লাহ উদ্দিন, খাইরুল ইসলাম খোকন, গোলাপগঞ্জ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারবেজ আহমেদ, আতিকুল ইসলাম আহাদ, কিনু চৌধুরী, নর্থ ব্রঙ্কস কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মুক্তাদির হোসেন, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, আশফাকুল হক চৌধুরী, আব্দুল খালেক, ফারুক আহমেদ, হবিগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতি যুক্তরাষ্ট্র ইনকের সভাপতি আজদু মিয়া তালুকদার, উপদেষ্টা তাজুল ইসলাম তালুকদার চেয়ারম্যান, রুবেল মিয়া প্রমুখ।
সভায় গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে :
১. সংগঠনের পাওনা টাকা উদ্ধারে গৃহীত ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা। ২. প্রবাসের সর্ববৃহৎ আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় বর্তমান প্রতিকূল অবস্থা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং সংগঠনের নির্বাচন এখন থেকে গঠনতান্ত্রিকভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ আরও এক বছর বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে অর্থাৎ আগামী ২০২৫ সালের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৩. সাবেক সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলালের আজীবন সদস্যপদ পুনর্বহাল করা এবং ৪. গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটি আগামী তিন মাসের মধ্যে গঠনতন্ত্র সংশোধনী খসড়া কার্যকরী পরিষদের নিকট হস্তান্তর করবে।