চারদিকে ষড়যন্ত্র : সরকার নির্বিকার

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৪, ১২:৫৬ , অনলাইন ভার্সন
দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র, ভেতরে তৃণমূলে অসন্তোষ-উত্তেজনা। পত্রপত্রিকায় দেশের এ রকম পরিস্থিতি প্রায়ই উঠে আসছে। তবু সরকার নির্বিকার থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছেন। সরকারের দৃষ্টি ডানে-বামে-পেছনে নয়, সামনের দিকে। সরকারের হাবভাবে মনে হয় অবস্থা নড়বড়ে। আর বিরোধীদলীয় সভা-সমাবেশে যেসব কথাবার্তা হচ্ছে, সেসব কথাবার্তা থেকে মনে হতে পারে, ‘সরকারের আয়ু হয়তো একটি রাতও কাটবে না। নতুন সূর্যোদয়ে সঙ্গে হয়তো নতুন সরকারও দেখা যাবে।’ এই আশা তাদের পূরণ হয়নি। ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন এবং মে থেকে সাত ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক মনে না হলেও সরকারের পক্ষে অজুহাত দেখানো হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ অনেকগুলো দলের নির্বাচনে যোগ না দেওয়া। স্থানীয় নির্বাচনে ধানকাটা এবং বৈরী আবহাওয়াকে কম ভোটার ভোটকেন্দ্রে আসার অজুহাত হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে অনেকেই ইসির এই যুক্তিকে খোঁড়া যুক্তি বলে মনে করছে। অনেকেই মনে করেন, ভোটের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। তাদের যুক্তি, যে নির্বাচনে ভোটের ফলাফল নির্বাচনের আগেই সাধারণ ভোটারদের কাছে জানাজানি হয়ে যায়, সে নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কোনো যুক্তি খুঁজে পান না তারা। তাই যুক্তিসংগতভাবেই ভোটার উপস্থিতি কম হয়। বাংলাদেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কথা প্রায়ই বাইরে শোনা যায় পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে। ভারত-চীন-রাশিয়ার বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রের কথাও শোনা যায়। ইলেকশনের সময় যখন ঘনিয়ে আসে, বাংলাদেশে তখন যেন ষড়যন্ত্রের বান বয়ে যায়। বর্তমান সময় ফিলিস্তিনি-ইসরায়েল যুদ্ধে বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্রই যেন পাল্টে যাচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে তিনটি ঘোষিত যুদ্ধ চলছে। একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন; অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়া-সৌদি আরব। এসব যুদ্ধে শিশু-নারী- বৃদ্ধদের প্রাণহানি ঘটছে অসহায়ের মতো। যুদ্ধ কখনো মানবকল্যাণে বা সভ্যতা রক্ষার কাজে সংঘটিত হয়নি। যুদ্ধ মানেই ধ্বংস। যুদ্ধ মানেই প্রাণহানি, রক্তপাত। যুদ্ধ মানেই ধ্বংস। মানবসভ্যতার সামনে দু-দুটি বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ স্মৃতি এখনো বিদ্যমান। মানুষের রক্তে বুঝি শান্তির চেয়ে প্রাণ সংহারের উপাদানই বেশি। তাই তো মানবসভ্যতার শত্রু যুদ্ধই বুঝি মানুষকে শান্তির চেয়ে যুদ্ধের দিকেই টানে বেশি। নইলে কমনওয়েলথ, জাতিসংঘ স্থাপন করা হলো শুধু শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। কিন্তু যুদ্ধ ঠেকানো গেল না। শান্তিময় একটি বিশ্বও গড়ে তোলা গেল না।
আমরা যে যতই শান্তির জন্য চোখের পানি ফেলি, কিন্তু সময়কালে আমরা দেশের মানুষের স্বার্থ দেখি না। তাদের কথা ভাবিও না। সব সময় আমরা বিবেচনা করি, কোন বন্দরে নাও ভেড়ালে ক্ষমতার আসন আমার পক্ষে শক্ত হবে, স্থায়ী হবে। রাজনীতিবিদেরা অহরহ যে সাধারণ মানুষের কথা বলেন, কার্যত তাদের কাছ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত তারা নেন না। বড় কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে একসময় গণমানুষের কাছ থেকে রেফারেন্ডাম গ্রহণ করা হতো। সেটাও তুলে দেওয়া হয়েছে। গণমানুষ এখন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় কোনো বিষয় নয়। তবে দেশে সাধারণ মানুষকে দূরে রেখে আখেরে কেউ কখনো লাভবান হয় না। বিষয়টা আমাদের রাজনীতিবিদেরা যত দ্রুত ভাববেন, তত দ্রুত লাভবান হবেন।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041