দেশের ব্যবসায়ীদের কল্যাণে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে গতি বাড়াতে রফতানির গন্তব্যে যেমন বৈচিত্র্য আনতে হবে, তেমনি আমদানির উৎসের ক্ষেত্রেও বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
১৪ মে (মঙ্গলবার) রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রধান কার্যালয়ে ‘ডায়ালগ অন বিজনেস রিলেটেড ব্যারিয়ার্স অ্যান্ড পসিবল ওয়ে আউট’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ব্যবসা শুরুর আগে উদ্যোক্তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রের ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য হতে হবে। গুটিকয়েক অসৎ ব্যবসায়ীর অপকর্মের দায় দেশের সাধারণ ব্যবসায়ীরা নেবে না। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে এ ব্যাপারে নজরদারি করতে হবে।
এ ব্যাপারে রানা প্লাজার উদাহরণ টেনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের গার্মেন্টস খাতে অনেক সাফল্যের গল্প রয়েছে, দেশের শত শত কারখানা আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন। অনেক কারখানা বিশ্বের মধ্যে সেরা মান অর্জন করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গার্মেন্টস রফতানিকারক, কিন্তু এত সাফল্য স্বত্বেও বারবার উঠে আসে রানা প্লাজার নাম। রানা প্লাজার অসৎ উদ্যোক্তাদের জন্য আজও পোশাক খাত নিয়ে কথা শুনতে হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশের অনেক উন্নতি হয়েছে। দেশের ব্যবসায়ী সংগঠন ও উন্নয়ন অংশীদাররা যদি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে তবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ আরও উন্নত হবে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর যেকোনো সমস্যার ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুয়ার সব সময়ই খোলা। তবে তাদের শুধু সমস্যা নিয়ে আসলেই হবে না, সমাধানের উপায়ের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে হবে।
রফতানি গন্তব্যের পাশাপাশি আমদানির উৎসেও বৈচিত্র্য আনার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের আমদানি রফতানি বাণিজ্যে আরও গতি আসবে।
দেশের ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি নেয়ার প্রবণতার প্রশংসা করে আহসানুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা জানেন কীভাবে কঠিন পরিস্থিতির মুখে টিকে থাকতে হয়। তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে জানেন। এজন্যই তারা আজ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ব্যবসা-বাণিজ্যে ভালো করছেন।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির উপরাষ্ট্রদূত জ্যান জেনস্কি, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
ঠিকানা/এএস
১৪ মে (মঙ্গলবার) রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রধান কার্যালয়ে ‘ডায়ালগ অন বিজনেস রিলেটেড ব্যারিয়ার্স অ্যান্ড পসিবল ওয়ে আউট’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ব্যবসা শুরুর আগে উদ্যোক্তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রের ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য হতে হবে। গুটিকয়েক অসৎ ব্যবসায়ীর অপকর্মের দায় দেশের সাধারণ ব্যবসায়ীরা নেবে না। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে এ ব্যাপারে নজরদারি করতে হবে।
এ ব্যাপারে রানা প্লাজার উদাহরণ টেনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের গার্মেন্টস খাতে অনেক সাফল্যের গল্প রয়েছে, দেশের শত শত কারখানা আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন। অনেক কারখানা বিশ্বের মধ্যে সেরা মান অর্জন করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গার্মেন্টস রফতানিকারক, কিন্তু এত সাফল্য স্বত্বেও বারবার উঠে আসে রানা প্লাজার নাম। রানা প্লাজার অসৎ উদ্যোক্তাদের জন্য আজও পোশাক খাত নিয়ে কথা শুনতে হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশের অনেক উন্নতি হয়েছে। দেশের ব্যবসায়ী সংগঠন ও উন্নয়ন অংশীদাররা যদি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে তবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ আরও উন্নত হবে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর যেকোনো সমস্যার ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুয়ার সব সময়ই খোলা। তবে তাদের শুধু সমস্যা নিয়ে আসলেই হবে না, সমাধানের উপায়ের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে হবে।
রফতানি গন্তব্যের পাশাপাশি আমদানির উৎসেও বৈচিত্র্য আনার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের আমদানি রফতানি বাণিজ্যে আরও গতি আসবে।
দেশের ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি নেয়ার প্রবণতার প্রশংসা করে আহসানুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা জানেন কীভাবে কঠিন পরিস্থিতির মুখে টিকে থাকতে হয়। তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে জানেন। এজন্যই তারা আজ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ব্যবসা-বাণিজ্যে ভালো করছেন।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির উপরাষ্ট্রদূত জ্যান জেনস্কি, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
ঠিকানা/এএস