সিয়েরা লিওনে জরুরি অবস্থা জারি

মানুষের হাড় চুরির হিড়িক

প্রকাশ : ১১ মে ২০২৪, ১৪:৩০ , অনলাইন ভার্সন
কবর থেকে মৃত মানুষের হাড় চুরির হিড়িক পড়েছে আটলান্টিক মহাসাগরীয় দেশ সিয়েরা লিওনে। মাদক ‘কুশ’ তৈরির জন্য মাদকসেবীরা হাড় সংগ্রহ করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মাদকসেবীদের কবল থেকে মৃত মানুষের হাড়গোড় রক্ষার জন্য রীতিমতো কবরস্থান পাহাড়া দিচ্ছে পুলিশ। কোলাহলপূর্ণ পশ্চিম আফ্রিকান বন্দর শহর ফ্রিটাঊনে এ ঘটনা ঘটছে। 
সিয়েরা লিওনের রাজধানী শহরে এই ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই শহরের মৃত ব্যক্তিরাও বিশ্রাম নিতে পারে না। কবর খোঁড়ার কাজে নিয়োজিতরা শক্তিশালী সিন্থেটিক ওষুধ তৈরির জন্য মানুষের হাড় চুরি করায় শহরের কবরস্থানগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। 
সিয়েরা লিওন কর্তৃপক্ষ ‘কুশ’ মাদকের বিস্তারের কারণে সিন্থেটিক ড্রাগ অপব্যবহারের ক্রমবর্ধমান ঘটনার জন্য এপ্রিল মাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
৪ এপ্রিল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো বলেন, ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের মারাত্মক প্রভাব, বিশেষ করে ভয়াবহ সিন্থেটিক ড্রাগ কুশ এর কারণে  দেশ এখন হুমকির সম্মুখীন।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফেন্টানাইল সংকটের মতো বিশ্বের অন্যান্য অংশে সিন্থেটিক ওষুধের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়তে পারে কুশ।
ফ্রিটাউনের রাস্তায় রাস্তায় বিনোদনকালে যুবক-যুবতীরা প্রায়শই মাদক সেবনের পরে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে থাকে।
কয়েক বছর ধরে সিয়েরা লিওনে ছড়িয়ে পড়ে কুশ। স্থানীয়রা জানান, মৃত মানুষের হাড় দিয়ে কুশ তৈরি করা হয়। তবে এর সঠিক উৎস ও বানানোর পদ্ধতি এখনো অস্পষ্ট।
জানা যায়, কুশ ছিল তামাক, গাঁজা, ট্রামাডল ও ফেন্টানাইলের মিশ্রণ। কিন্তু কেউ কেউ বিশ্বাস করেন এতে ফর্মালডিহাইডও থাকতে পারে, যা মৃতদেহের তরল শুষ্ক করার কাজে ব্যবহৃত একটি প্রিজারভেটিভ। ফর্মালডিহাইডেরও ইউফরিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। 
তবে কুশ ব্যবহারকারীরা দাবি করেন, এ ওষুধে প্রকৃতপক্ষে হাড় রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে ‘পুরুষদের কবরস্থান ও সমাধি ভেঙ্গে মৃতদেহের হাড় বের করার এবং কুশ তৈরির জন্য পিষে ফেলার গল্প’ প্রচলিত রয়েছে। 
স্থানীয় মিডিয়া আউটলেটগুলো ফর্মালডিহাইড নিষ্কাশন এবং ড্রাগ তৈরি করার জন্য হাড় সংগ্রহ করতে কবর খোঁড়ার ঘটনার রিপোর্ট করেছে। এর পর থেকে ফ্রিটাউনের বিভিন্ন কবরস্থানে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে।
মিডিয়া সূত্র জানায়, বেশিরভাগ কুশ ব্যবহারকারীর বয়স ‘২০ থেকে ৩৪ বছর।’ তাদের অনেকেই বেকারত্ব, চাপ ও সহকর্মীদের চাপ মাদক সেবনের কারণ বলে জানান।
কর্তৃপক্ষ কুশকে কৃত্রিম ক্যানাবিনয়েডের সাথে তুলনা করেছে।
সিন্থেটিক ক্যানাবিনোয়েডগুলো রাসায়নিকভাবে তৈরি পদার্থ যা গাঁজার প্রভাবকে অনুকরণ করে তবে অনেক বেশি ক্ষতিকারক এবং অপ্রত্যাশিত হতে পারে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সতর্ক করে যে বিষাক্ত সিন্থেটিক ক্যানাবিনয়েড দ্রুত হৃদস্পন্দন, বমি, আন্দোলন, বিভ্রান্তি এবং হ্যালুসিনেশনের কারণ হতে পারে।
‘সিন্থেটিক মারিজুয়ানা’ ঐতিহ্যবাহী গাঁজার থেকে ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী হতে পারে, যা খিঁচুনি, সাইকোসিস এমনকি মৃত্যুর মতো চরম শারীরিক প্রভাবকে প্ররোচিত করে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী সিন্থেটিক ওষুধের বৃদ্ধি দেখা গেছে, যা ‘মসলা’, ‘কে২’, ‘ব্ল্যাক মাম্বা’ বা ‘ক্রেজি ক্লাউন’ নামে বাজারজাত করা হয়।
 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041