আমরা শুধু আমেরিকানরা নই, গোটা বিশ্বই জানে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে। এ নিয়ে বিশ্বজুড়েই মতামতে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। দেশের অর্থাৎ আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন মিডিয়াও বিভক্ত। ট্রাম্পের চলমান বিচার নিয়ে সব শ্রেণির মানুষ, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, মিডিয়া এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানও বিভক্ত। চলমান বিচার নিয়েই কেবল গোটা দেশের মানুষের মধ্যে বিভক্তি নয়: ২০২০ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার নিয়ে প্রাথমিক তৎপরতা যখন শুরু হয়, তখন থেকে এ-যাবৎকাল পর্যন্ত জাতিকে গভীর ও তীক্ষ্ণভাবে বিভক্ত করে রেখেছে। শুধু যে বিভক্ত করে রেখেছে তা নয়, আমেরিকান জাতিকে চরম অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ এমনকি হিংসাত্মক ঘটনাও দেখতে হয়েছে; যা আমেরিকার প্রায় ২৫০ বছরের ইতিহাসে কোনো নজির নেই।
সে কারণে আমেরিকার অনেক জটিল জটিল বিচারের রায় দেখা গেলেও ট্রাম্পের বিচার নিয়ে যে জটিলতা এবং গোটা জাতিকেই বিভক্ত করে দেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, অতীতে আর কোনো ইস্যু নিয়ে এমনটি দেখা যায়নি। অনেক জটিলতা, অনেক সংশয় দেখা দিয়েছিল ২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রচার নিয়ে। তারপর শুরু হয় ফল প্রকাশ নিয়ে। তবু শেষ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সেই ফল মেনে নেয় ঐক্যবদ্ধ আমেরিকার ঐক্যের স্বার্থে। আমেরিকার তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন প্রকৃত ভোটের সংখ্যায় এবং জনগণের মনের বিচারে জিতে গেলেও আদালতের রায়ে ট্রাম্পকে জয়ী ঘোষণা করা হলে আমেরিকার অস্তিত্ব রক্ষা এবং এমনকি গত শতকের ষাটের দশকের গৃহযুদ্ধকালেও আমেরিকার বহুমত ও বহুদলের ইতিহাসে কোনো নজির পাওয়া যায়নি।
ডেমোক্র্যাটরা সেই রায় মেনে নেয়। আমেরিকানরা ভেবেছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে হয়তো আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মতোই কাজ করে সবার মন জয় করে নেবেন, কিন্তু সামান্য নমুনাও রাখতে ব্যর্থ হলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই ট্রাম্প কেবল একজন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট হয়ে রয়ে গেলেন। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল পেন্সের বাইরে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো আর কোনো প্রার্থী নেই! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি আজ পর্যন্ত একটি দিনের জন্যও নিজেকে আমেরিকার জনবান্ধব প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো প্রমাণ দেখাতে পেরেছেন? এর এক কথায় জবাব-না! তাই তো ট্রাম্পের যখন বিচার চলছে-তখন আদালত, বিচারক, মিডিয়ার সবাইকেই বিভক্ত দেখা যাচ্ছে। আমেরিকার জন্য এ এক আমেরিকার ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে ভয়ংকর অবস্থা। এ বছরের ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনের রায় এবারও যদি বাইডেনের পক্ষে যায়, তবে তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য এই রায় যথেষ্ট না-ও হতে পারে। তবে নির্বাচনের রায় যা-ই হোক, প্রত্যেক বিচারকই ইঙ্গিত দিয়েছেন, ট্রাম্প ইচ্ছে করে তাদের আদেশ অমান্য করলে তাকে বাধ্য করা হবে। মার্কিন সংবাদপত্রের অন্যতম শীর্ষ পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, 'এই বিচার আগামী নির্বাচনের প্রধান ইস্যু হবে। প্রত্যেক বিচারক ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই রায়ই যুক্তরাষ্ট্রে আগামী দিনের গণতন্ত্রের নতুন রূপ দেবে। তবে একটি শঙ্কা সবার মনেই কাজ করছে, সেই রায় চরম অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে কি না। জনগণ গভীরভাবে তাকিয়ে আছে এই বিচারের রায় নিয়ে। অবশ্য ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে রায় হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
সে কারণে আমেরিকার অনেক জটিল জটিল বিচারের রায় দেখা গেলেও ট্রাম্পের বিচার নিয়ে যে জটিলতা এবং গোটা জাতিকেই বিভক্ত করে দেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, অতীতে আর কোনো ইস্যু নিয়ে এমনটি দেখা যায়নি। অনেক জটিলতা, অনেক সংশয় দেখা দিয়েছিল ২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রচার নিয়ে। তারপর শুরু হয় ফল প্রকাশ নিয়ে। তবু শেষ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সেই ফল মেনে নেয় ঐক্যবদ্ধ আমেরিকার ঐক্যের স্বার্থে। আমেরিকার তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন প্রকৃত ভোটের সংখ্যায় এবং জনগণের মনের বিচারে জিতে গেলেও আদালতের রায়ে ট্রাম্পকে জয়ী ঘোষণা করা হলে আমেরিকার অস্তিত্ব রক্ষা এবং এমনকি গত শতকের ষাটের দশকের গৃহযুদ্ধকালেও আমেরিকার বহুমত ও বহুদলের ইতিহাসে কোনো নজির পাওয়া যায়নি।
ডেমোক্র্যাটরা সেই রায় মেনে নেয়। আমেরিকানরা ভেবেছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে হয়তো আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মতোই কাজ করে সবার মন জয় করে নেবেন, কিন্তু সামান্য নমুনাও রাখতে ব্যর্থ হলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই ট্রাম্প কেবল একজন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট হয়ে রয়ে গেলেন। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল পেন্সের বাইরে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো আর কোনো প্রার্থী নেই! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি আজ পর্যন্ত একটি দিনের জন্যও নিজেকে আমেরিকার জনবান্ধব প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো প্রমাণ দেখাতে পেরেছেন? এর এক কথায় জবাব-না! তাই তো ট্রাম্পের যখন বিচার চলছে-তখন আদালত, বিচারক, মিডিয়ার সবাইকেই বিভক্ত দেখা যাচ্ছে। আমেরিকার জন্য এ এক আমেরিকার ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে ভয়ংকর অবস্থা। এ বছরের ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনের রায় এবারও যদি বাইডেনের পক্ষে যায়, তবে তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য এই রায় যথেষ্ট না-ও হতে পারে। তবে নির্বাচনের রায় যা-ই হোক, প্রত্যেক বিচারকই ইঙ্গিত দিয়েছেন, ট্রাম্প ইচ্ছে করে তাদের আদেশ অমান্য করলে তাকে বাধ্য করা হবে। মার্কিন সংবাদপত্রের অন্যতম শীর্ষ পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, 'এই বিচার আগামী নির্বাচনের প্রধান ইস্যু হবে। প্রত্যেক বিচারক ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই রায়ই যুক্তরাষ্ট্রে আগামী দিনের গণতন্ত্রের নতুন রূপ দেবে। তবে একটি শঙ্কা সবার মনেই কাজ করছে, সেই রায় চরম অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে কি না। জনগণ গভীরভাবে তাকিয়ে আছে এই বিচারের রায় নিয়ে। অবশ্য ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে রায় হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।