যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এখন ‘বেওয়ারিশ’ সংগঠন। যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি আছে, নেতা আছেন, আছেন কর্মীও। কিন্তু সংগঠনটি অভিভাবকহীন। কোনো কমিটি নেই, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কোনো পরিচয় নেই। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি স্টেট বিএনপির ৩৪জন নেতা যুক্তরাজ্যে গেছেন। তারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়েছেন। সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি গঠনের ব্যাপারে কোনো উচ্চবাচ্য নেই।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীরা বলছেন, অতীতে যে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। দলের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। অথচ প্রায় এক দশক আগে কমিটি বিলুপ্ত করলেও এখনো কমিটি দেওয়ার নাম-নিশানা নেই। ফলে নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। প্রথমে হতাশায় ভুগলেও এখন তারা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা ঠিকানাকে বলেন, দলের চেয়ারপারসনকে ভুল বুঝিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল স্টেট কমিটি নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছে। তারা ব্যক্তিগত ফায়দা লুটছে। অথচ এই স্টেট কমিটির অনেক নেতা আছেন, যাদের শুধু নিউইয়র্কে নয়, ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভে কখনো দেখা যায়নি। দলের চেয়ারপারসন যখন জেলে ছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতারা প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে জাতিসংঘ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভ করে সফল হয়েছেন। অথচ আজ নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করছে না দলের হাইকমান্ড।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণ করছে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা। এটা অত্যন্তু দুঃখজনক। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ১৮টি স্টেটের নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে, অথচ লন্ডন বিএনপির নেতারা মঞ্চে বসেছেন। আর দর্শক সারিতে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা। তিনি বলেন, একইভাবে দলের চেয়ারপারসনকে ভুল বুঝিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে একটি মহল যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি না দেওয়া হয় সেই চেষ্টা করছেন। এর ফলে ত্যাগী নেতা-কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন।
আরেকজন নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি স্টেট কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাদের অপমান করা হয়েছে। অথচ এসব নেতারা বছরের পর বছর নিঃস্বার্থভাবে বিএনপির রাজনীতি করে আসছেন। একসময় নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা ছিলেন। তারা যে কোনো আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। তিনি বলেন, ফাজলামোর চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করছেন লন্ডনে বিএনপির চামচা টাইপের কিছু নেতা। অচিরে কমিটির ব্যাপারে সুরাহা না হলে সিনিয়র নেতারা একেবারেই চুপ হয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, শুনেছি ১৮টি স্টেট কমিটিকে জেলা কমিটির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। যদি তাই হবে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি নয় কেন? এর আগে তিনজনকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া হয়েছে। এটা চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। কেন্দ্র থেকে কোনো সিদ্ধান্ত এলে লিখিতভাবে আসতে হবে। এটাই সাংগঠনিক রীতি।
আবদুল লতিফ সম্রাট ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুলের নেতৃত্বাধীন কমিটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে ভেঙে দেওয়ার পর আর নতুন কমিটি গঠন করা হয়নি। দলের যুক্তরাষ্ট্র শাখার কমিটি গঠনের দাবির পাশাপাশি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমানের নির্দেশে কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্র শাখা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহছানুল হক মিলন কয়েক বছর আগে এ দেশে সফরে এসে জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র শাখা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি নয়, কেন্দ্রের নির্দেশে স্টেট কমিটির মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতি পরিচালিত হবে। সেই লক্ষ্যে তিনি সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি স্টেট ভ্রমণ করে কমিটিও গঠন করেন।
দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কমিটি গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীরা বলছেন, অতীতে যে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। দলের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। অথচ প্রায় এক দশক আগে কমিটি বিলুপ্ত করলেও এখনো কমিটি দেওয়ার নাম-নিশানা নেই। ফলে নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। প্রথমে হতাশায় ভুগলেও এখন তারা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা ঠিকানাকে বলেন, দলের চেয়ারপারসনকে ভুল বুঝিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল স্টেট কমিটি নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছে। তারা ব্যক্তিগত ফায়দা লুটছে। অথচ এই স্টেট কমিটির অনেক নেতা আছেন, যাদের শুধু নিউইয়র্কে নয়, ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভে কখনো দেখা যায়নি। দলের চেয়ারপারসন যখন জেলে ছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতারা প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে জাতিসংঘ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভ করে সফল হয়েছেন। অথচ আজ নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করছে না দলের হাইকমান্ড।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণ করছে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা। এটা অত্যন্তু দুঃখজনক। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ১৮টি স্টেটের নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে, অথচ লন্ডন বিএনপির নেতারা মঞ্চে বসেছেন। আর দর্শক সারিতে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা। তিনি বলেন, একইভাবে দলের চেয়ারপারসনকে ভুল বুঝিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে একটি মহল যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি না দেওয়া হয় সেই চেষ্টা করছেন। এর ফলে ত্যাগী নেতা-কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন।
আরেকজন নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি স্টেট কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাদের অপমান করা হয়েছে। অথচ এসব নেতারা বছরের পর বছর নিঃস্বার্থভাবে বিএনপির রাজনীতি করে আসছেন। একসময় নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা ছিলেন। তারা যে কোনো আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। তিনি বলেন, ফাজলামোর চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করছেন লন্ডনে বিএনপির চামচা টাইপের কিছু নেতা। অচিরে কমিটির ব্যাপারে সুরাহা না হলে সিনিয়র নেতারা একেবারেই চুপ হয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, শুনেছি ১৮টি স্টেট কমিটিকে জেলা কমিটির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। যদি তাই হবে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি নয় কেন? এর আগে তিনজনকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া হয়েছে। এটা চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। কেন্দ্র থেকে কোনো সিদ্ধান্ত এলে লিখিতভাবে আসতে হবে। এটাই সাংগঠনিক রীতি।
আবদুল লতিফ সম্রাট ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুলের নেতৃত্বাধীন কমিটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে ভেঙে দেওয়ার পর আর নতুন কমিটি গঠন করা হয়নি। দলের যুক্তরাষ্ট্র শাখার কমিটি গঠনের দাবির পাশাপাশি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমানের নির্দেশে কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্র শাখা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহছানুল হক মিলন কয়েক বছর আগে এ দেশে সফরে এসে জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র শাখা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি নয়, কেন্দ্রের নির্দেশে স্টেট কমিটির মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতি পরিচালিত হবে। সেই লক্ষ্যে তিনি সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি স্টেট ভ্রমণ করে কমিটিও গঠন করেন।
দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কমিটি গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে।