
তুমি তো জানোই; আমি আছি ঠিক খাদের কিনারে খাড়া,
তবু যেতে কেন জেনে; বা না জেনে, দাও ছোঁয়া-দাও নাড়া?
আমি নিজে যদি পড়ে গিয়ে মরি; সেটা তো আত্মহত্যা,
তোমার ছোঁয়াতে পড়ি; বা না পড়ি, পৌঁছে যাবে সে বার্তা-
দশ কানে কানে; দোষী হবে তুমি, কে দেবে বিচারে সাক্ষী?
তার চেয়ে ভালো; দূর থেকে দেখো-এ পতন ময়ূরাক্ষী!
আমি একা দেখি; পাখির দু’চোখে-এই বনানীর রূপ,
পূর্ণিমা রাতে; জোছনার বানে-বিমুগ্ধ নিশ্চুপ।
আঙিনা; চালায়, বিছানা-বালিশে, জানালার সরু পথে-
বেপরোয়া চাঁদ ভাগ বসায়েছে; পরকীয়া বাসনাতে-
কারও অজান্তে; কারও উল্লাসে-অনুকূল সাড়া পেয়ে,
বিনোদন রাতে আবিলতা যত; যায় অনাবিল হয়ে।
তোমাকে ধরেছে; সেই নেশা বিষÑতারই প্রতিক্রিয়া,
রজনীগন্ধা; হাসনাহেনার অদূরে ম্যাগনোলিয়া-
যেই মতো কাঁপে; অনুরাগ বুকে-চাঁদের উপেক্ষায়,
পত্রবিহীন ফুলের অর্ঘ্য; শুধুই বিফলে যায়!
খুব বেশি দেরি হয়ে গেছে প্রিয়-স্বর্গের ছাড়পত্রে,
মাঝ এপ্রিলে একবারই আসো; সেখানে ফেরার শর্তে!
মাঠে-ঘাটে ফোটা জুঁই হেনা বেলি-বারবার ফোটে; ঝরে,
রঙে কাবু তাই; গন্ধ বিলায়-অনাদরে অকাতরে।
সেই মেঠো পথে; আদিম বনের পাশে কুঁড়েঘর বেঁধে,
রং নয়; ঘ্রাণে-প্রতি মরশুমে বারে বারে উঠি মেতে।
এই পূর্ণিমা রাতের প্রহরে; চিরপরিচিত স্বাদে-
কোমল রঙিন; পাপড়ি ছোঁয়ার মধুর বিসম্বাদে-
জড়াতে চাই না! দূর হতে দেখি-নগর পুষ্প প্রিয়া,
বড় অবেলার; চকিত চমক-বাহারি ম্যাগনোলিয়া।
তবু যেতে কেন জেনে; বা না জেনে, দাও ছোঁয়া-দাও নাড়া?
আমি নিজে যদি পড়ে গিয়ে মরি; সেটা তো আত্মহত্যা,
তোমার ছোঁয়াতে পড়ি; বা না পড়ি, পৌঁছে যাবে সে বার্তা-
দশ কানে কানে; দোষী হবে তুমি, কে দেবে বিচারে সাক্ষী?
তার চেয়ে ভালো; দূর থেকে দেখো-এ পতন ময়ূরাক্ষী!
আমি একা দেখি; পাখির দু’চোখে-এই বনানীর রূপ,
পূর্ণিমা রাতে; জোছনার বানে-বিমুগ্ধ নিশ্চুপ।
আঙিনা; চালায়, বিছানা-বালিশে, জানালার সরু পথে-
বেপরোয়া চাঁদ ভাগ বসায়েছে; পরকীয়া বাসনাতে-
কারও অজান্তে; কারও উল্লাসে-অনুকূল সাড়া পেয়ে,
বিনোদন রাতে আবিলতা যত; যায় অনাবিল হয়ে।
তোমাকে ধরেছে; সেই নেশা বিষÑতারই প্রতিক্রিয়া,
রজনীগন্ধা; হাসনাহেনার অদূরে ম্যাগনোলিয়া-
যেই মতো কাঁপে; অনুরাগ বুকে-চাঁদের উপেক্ষায়,
পত্রবিহীন ফুলের অর্ঘ্য; শুধুই বিফলে যায়!
খুব বেশি দেরি হয়ে গেছে প্রিয়-স্বর্গের ছাড়পত্রে,
মাঝ এপ্রিলে একবারই আসো; সেখানে ফেরার শর্তে!
মাঠে-ঘাটে ফোটা জুঁই হেনা বেলি-বারবার ফোটে; ঝরে,
রঙে কাবু তাই; গন্ধ বিলায়-অনাদরে অকাতরে।
সেই মেঠো পথে; আদিম বনের পাশে কুঁড়েঘর বেঁধে,
রং নয়; ঘ্রাণে-প্রতি মরশুমে বারে বারে উঠি মেতে।
এই পূর্ণিমা রাতের প্রহরে; চিরপরিচিত স্বাদে-
কোমল রঙিন; পাপড়ি ছোঁয়ার মধুর বিসম্বাদে-
জড়াতে চাই না! দূর হতে দেখি-নগর পুষ্প প্রিয়া,
বড় অবেলার; চকিত চমক-বাহারি ম্যাগনোলিয়া।