
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে যুগে যুগে বহু কবি-লেখক-সাহিত্যিক ও সাংবাদিকের পদচারণা ঘটেছে। যাদের হাত ধরে বিকশিত হয়েছে বাংলা সাহিত্য ও সাংবাদিকতা। এপার, ওপার ও তৃতীয় বাংলায় বসে তারা বাংলা সাহিত্যের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। এবং করে চলেছেন। পঞ্চাশ, ষাট, সত্তর ও আশির দশকে এপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক, কবি, লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, চিত্রপরিচালক, নৃত্যশিল্পী, গায়ক, অভিনেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রিয় বসতি হয়ে উঠেছিল পুরান ঢাকা। যেখানে রচিত হয়েছে অজস্র কালজয়ী কবিতা, উপন্যাস, গল্প, চলচ্চিত্র, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কিংবা অন্যান্য সাহিত্যকর্ম। যার প্রমাণ আমরা পাই দেশের কিংবদন্তি সব লেখকের লেখায়, স্মৃতিচারণায় ও আত্মজীবনীতে। সময়ের পরিক্রমায় আজ ঢাকার অভিজাত এলাকাসহ সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন গুণী কবি, লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকেরা। এদিকে ওপার বাংলা অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের কবি-লেখকদের বসতি গড়ে ওঠে কলকাতার কলেজ স্ট্রিট ও এর আশপাশের এলাকাকে ঘিরে। মধ্য কলকাতায় এর অবস্থান। কলেজ স্ট্রিট মানে পৃথিবীর বাংলা বইয়ের বৃহত্তম বাজার।
অন্যদিকে তৃতীয় বাংলা হলো বিশে^র রাজধানীখ্যাত নিউইয়র্ক। আর কুইন্সের জ্যামাইকায় বসবাস করেন বাংলাদেশের বিখ্যাত অধিকাংশ কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, রাজনীতিক, সাংবাদিক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তাদের পদচারণায় বর্তমানে মুখর জ্যামাইকা। কুইন্সের জ্যামাইকার হিলসাইডে হঠাৎ করে কোনো বাংলাদেশি প্রবেশ করলে তার কাছে মনে হবে, তিনি যেন ঢাকার কোনো জনাকীর্ণ এলাকায় অবস্থান করছেন! তবে দুই বাংলার শিল্প-সাহিত্যের দুটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র ছিলো বিউটি বোর্ডিং ও কফি হাউজ।
যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকজন লেখক-সাহিত্যিক বাস করেন, যারা বাংলা একাডেমি ও একুশে পুরস্কারপ্রাপ্ত। নিউইয়র্কে সাহিত্য-সংস্কৃতি-শিল্পের চর্চায় গড়ে উঠেছে বহুমুখী উদ্যোগ। জন্ম নিয়েছে অনেক সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিত্ব। স্বনামধন্য এই ব্যক্তিদের উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবস, ফোবানা সম্মেলন, এবিসি সম্মেলন, কবিতা সম্মেলন, উত্তর আমেরিকা সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্মেলন, রবীন্দ্র সম্মেলন, নজরুল সম্মেলন, বইমেলা, বৈশাখী উৎসব, চলচ্চিত্র উৎসব, গ্রীষ্ম মৌসুমে বড় বড় পথমেলা, সাংস্কৃতিক অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের মতো সুবৃহৎ আকারের ও সুপ্রশংসিত আয়োজন হচ্ছে প্রতিবছর। আর জ্যামাইকায় বসবাসরত বাংলাদেশি সাংবাদিকরা দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তথা সারা বিশে^র সেতুবন্ধ গড়তে অবিরাম প্রয়াস চালাচ্ছেন। নিউইয়র্কের বিভিন্ন বাংলা সংবাদপত্র, টেলিভিশনসহ মূলধারার মিডিয়ায় লেখালেখির মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে তুলে ধরছেন নানা দেশের, নানা ভাষার, নানা সংস্কৃতির মানুষের কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশিদের কাছেও তুলে ধরছেন প্রিয় বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাকে।
জ্যামাইকায় নীড় গড়ে বাংলাদেশের মূলধারার সাহিত্য এবং সাংবাদিকতার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে যারা সাহিত্যকর্ম বা সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন- ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান, সম্পাদক-সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, লেখক-কলামিস্ট হাসান ফেরদৌস, লেখক-সাংবাদিক অধ্যাপক সিরাজুল হক, লেখক-কথা সাহিত্যিক ফেরদৌস সাজেদীন, লেখক মুতালিব বিশ্বাস, কবি শামস আল মমীন, কবি রওশন হাসান, কবি তমিজ উদদীন লুদী, কবি-লেখক কাজী জহিরুল ইসলাম, কবি ও কলামিস্ট এবিএম সালেহ উদ্দীন, লেখক আহমেদ মাযহার, ঠিকানার সহযোগী সম্পাদক শামসুল হক, কবি-ছড়াকার মঞ্জুর কাদের, বাঙালি সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, লেখক ও চিত্রশিল্পী মাতলুব আলী, লেখক ও সাহিত্য সমালোচক ড. আবেদিন কাদের, সাংবাদিক-কলামিস্ট মাহমুদ খান তাসের, লেখক লিজি রহমান, লেখক ড. দিলীপ নাথ, ঠিকানার বার্তা সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, আজকাল সম্পাদক শাহ নেওয়াজ, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ খান, লেখক-সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ঠিকানার সিনিয়র সাংবাদিক নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী, লেখক ও সাহিত্য বিশ্লেষক নীরা কাদরী, জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, প্রবাস পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, সাংবাদিক দর্পণ কবির, লেখক মাহমুদ রেজা চৌধুরী, কবি জেবুন্নেছা জোৎস্না, সাংবাদিক ও আবৃত্তিকার আবীর আলমগীর, দেশ পত্রিকার সাংবাদিক মিজানুর রহমান, দেশচিন্তা সম্পাদক ফরিদ আলম, লেখক বাহারুল আলম, লেখক মিলি সুলতানা, লেখক কামাল হোসেন মিঠু, লেখক অধ্যাপিকা হুসনে আরা, লেখক মুনিয়া মাহমুদ, লেখক তাহমিনা খান, সাংবাদিক দিমা নেফারতিতি, ছড়াকার ডা. সজল আশফাক, লেখক নুরুল হক, লেখক ও সংগঠক সৈয়দ টিপু সুলতান, লেখক মাহমুদ রেজা চৌধুরী, সুরকার-গীতিকার নাদিম আহমেদ, লেখক কানিজ ফাতেমা, লেখক রওশন হক, লেখক মফিজুল হক, লেখক মোজাম্মেল হক, কবি ও ছড়াকার মতলব সিদ্দিকী, কবি-ছড়াকার ইশতিয়াক রুপু, লেখক ও অভিনেত্রী শিরীন বকুল, কবি ও শিল্পী শামীম আরা আফিয়া, আবৃত্তিকার মুমু আনসারী, লেখক রুপা খানম, লেখক সীমু আফরোজ, লেখক রাজিনা চৌধুরী, সাংবাদিক ইমরান আনসারী, কবি মৃদুল আহমেদ, কবি মিশুক সেলিম, কবি শাহীন দেলওয়ার, লেখক মিনাজ আহমেদ, কবি হাসান আল আব্দুল্লাহ, লেখক আদিত্য শাহীন, কবি আদনান সৈয়দ, কবি খালেদ শরফুদ্দীন, লেখক এইচ বি রিতা, লেখক-আবৃত্তিকার সাবিনা নিরু, লেখক পপি চৌধুরী, বাঙালির সহযোগী সম্পাদক আফরোজা আশরাফ, সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকি, সাংবাদিক শামীম আল আমিন, সাংবাদিক পিনাকী তালুকদার, সাংবাদিক হাসান মাহমুদ, সাংবাদিক শেখ সিরাজ, সাংবাদিক এস এম সোলায়মান, সাংবাদিক শিবলী সাদিক, সাংবাদিক শাহ জে চৌধুরী, কবি মোহাম্মদ আবদুল মজীদ, কবি ফাতেমা পলাশ, ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকী এবং ঠিকানার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও বর্তমানে সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এম এম শাহীন প্রমুখ।
এ তালিকা এখানেই শেষ নয়। এর বাইরেও অনেকে রয়েছেন, ইচ্ছে থাকা স্বত্ত্বেও তথ্য স্বল্পতার কারণে উল্লেখ করা সম্ভব হলো না।
একজন প্রকৃত লেখকের কর্মকাণ্ডকে অভিবাসন কখনোই বিপন্ন বা বাধাগ্রস্ত করতে পারে না, এর বড় প্রমাণ উপরিউক্ত গুণী লেখক-সাংবাদিকেরা। বরং অভিবাসী লেখক-সাংবাদিকদের সুবিধা হচ্ছে, তারা একাধারে জন্মভূমির ফেলে আসা স্মৃতি আর ও বেশি বেশি গ্রহণ করা অভিবাসী সমাজের আবহের বাস্তবতা দুটিই পাশাপাশি পরখ করতে পারেন। ফলে তাদের লেখার প্রেক্ষাপট শুধু সমৃদ্ধই হয় না, বরং খুলে দেয় দেখার তৃতীয় নয়ন।
একজন মেধাবী সাংবাদিককে প্রতিষ্ঠিত করতে বড় বড় মিডিয়া হাউসের ভূমিকা অনস্বীকার্য। নিউইয়র্কে পুরোনো-নতুন অনেক প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন বাংলা মিডিয়া রয়েছে। এসব মিডিয়ার প্রাণ প্রবাসের লেখক-সাংবাদিকেরাই।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই রয়েছেন বাংলাদেশি প্রখ্যাত কবি-লেখক-সাংবাদিকেরা। কিন্তু কুইন্সের জ্যামাইকার মতো ছোট্ট একটি এলাকায় বাংলার কবি-লেখক-সাংবাদিকদের যে বাসস্থান গড়ে তুলেছেন, পৃথিবীর আর কোনো শহর বা এলাকায় এমনটা সম্ভবত আর নেই। জ্যামাইকায় বসবাসকারী কলমযোদ্ধাদের মধ্যে আবার সাংবাদিকের সংখ্যাই বেশি। এই গুণী ব্যক্তিরা কেবল যে প্রবাসে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তা-ই নয়; প্রবাসেও তারা বাংলাদেশি কমিউনিটি বিনির্মাণে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। সাংবাদিকতা-লেখালেখির পাশাপাশি প্রবাসে সামনের সারিতে থেকে তারা বাঙালি সমাজ গঠন, বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, বাঙালি উৎসব-পার্বণ উদ্যাপনের মতো কাজও করে চলেছেন নিরলসভাবে। তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতায় এখানে গড়ে উঠেছে স্কুল, মসজিদ, মন্দির, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাজার, বিভিন্ন সংগঠনসহ বাঙালি সমাজ। তাদের লেখনী ও কর্মের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
দিন যত যাচ্ছে, জ্যামাইকা ততই বাংলাদেশি অভিবাসীদের এলাকা হিসেবে বিশেষ পরিচিতি পাচ্ছে। তার ওপর এখানে বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক, কবি, লেখক, সাহিত্যিকের আবাসস্থল গড়ে ওঠায় এলাকাটিকে মূলধারার রাজনীতিক ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও সুনজরে দেখছেন। পুরান ঢাকা কিংবা কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের মতো একদিন নিউইয়র্কের জ্যামাইকাও বাংলার কবি-লেখক-সাহিত্যিক-সাংবাদিকদের আঁতুড়ঘর হিসেবে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেবে বলে বোদ্ধামহলের বিশ্বাস।
অন্যদিকে তৃতীয় বাংলা হলো বিশে^র রাজধানীখ্যাত নিউইয়র্ক। আর কুইন্সের জ্যামাইকায় বসবাস করেন বাংলাদেশের বিখ্যাত অধিকাংশ কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, রাজনীতিক, সাংবাদিক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তাদের পদচারণায় বর্তমানে মুখর জ্যামাইকা। কুইন্সের জ্যামাইকার হিলসাইডে হঠাৎ করে কোনো বাংলাদেশি প্রবেশ করলে তার কাছে মনে হবে, তিনি যেন ঢাকার কোনো জনাকীর্ণ এলাকায় অবস্থান করছেন! তবে দুই বাংলার শিল্প-সাহিত্যের দুটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র ছিলো বিউটি বোর্ডিং ও কফি হাউজ।
যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকজন লেখক-সাহিত্যিক বাস করেন, যারা বাংলা একাডেমি ও একুশে পুরস্কারপ্রাপ্ত। নিউইয়র্কে সাহিত্য-সংস্কৃতি-শিল্পের চর্চায় গড়ে উঠেছে বহুমুখী উদ্যোগ। জন্ম নিয়েছে অনেক সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিত্ব। স্বনামধন্য এই ব্যক্তিদের উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবস, ফোবানা সম্মেলন, এবিসি সম্মেলন, কবিতা সম্মেলন, উত্তর আমেরিকা সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্মেলন, রবীন্দ্র সম্মেলন, নজরুল সম্মেলন, বইমেলা, বৈশাখী উৎসব, চলচ্চিত্র উৎসব, গ্রীষ্ম মৌসুমে বড় বড় পথমেলা, সাংস্কৃতিক অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের মতো সুবৃহৎ আকারের ও সুপ্রশংসিত আয়োজন হচ্ছে প্রতিবছর। আর জ্যামাইকায় বসবাসরত বাংলাদেশি সাংবাদিকরা দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তথা সারা বিশে^র সেতুবন্ধ গড়তে অবিরাম প্রয়াস চালাচ্ছেন। নিউইয়র্কের বিভিন্ন বাংলা সংবাদপত্র, টেলিভিশনসহ মূলধারার মিডিয়ায় লেখালেখির মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে তুলে ধরছেন নানা দেশের, নানা ভাষার, নানা সংস্কৃতির মানুষের কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশিদের কাছেও তুলে ধরছেন প্রিয় বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাকে।
জ্যামাইকায় নীড় গড়ে বাংলাদেশের মূলধারার সাহিত্য এবং সাংবাদিকতার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে যারা সাহিত্যকর্ম বা সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন- ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান, সম্পাদক-সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, লেখক-কলামিস্ট হাসান ফেরদৌস, লেখক-সাংবাদিক অধ্যাপক সিরাজুল হক, লেখক-কথা সাহিত্যিক ফেরদৌস সাজেদীন, লেখক মুতালিব বিশ্বাস, কবি শামস আল মমীন, কবি রওশন হাসান, কবি তমিজ উদদীন লুদী, কবি-লেখক কাজী জহিরুল ইসলাম, কবি ও কলামিস্ট এবিএম সালেহ উদ্দীন, লেখক আহমেদ মাযহার, ঠিকানার সহযোগী সম্পাদক শামসুল হক, কবি-ছড়াকার মঞ্জুর কাদের, বাঙালি সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, লেখক ও চিত্রশিল্পী মাতলুব আলী, লেখক ও সাহিত্য সমালোচক ড. আবেদিন কাদের, সাংবাদিক-কলামিস্ট মাহমুদ খান তাসের, লেখক লিজি রহমান, লেখক ড. দিলীপ নাথ, ঠিকানার বার্তা সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, আজকাল সম্পাদক শাহ নেওয়াজ, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ খান, লেখক-সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ঠিকানার সিনিয়র সাংবাদিক নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী, লেখক ও সাহিত্য বিশ্লেষক নীরা কাদরী, জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, প্রবাস পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, সাংবাদিক দর্পণ কবির, লেখক মাহমুদ রেজা চৌধুরী, কবি জেবুন্নেছা জোৎস্না, সাংবাদিক ও আবৃত্তিকার আবীর আলমগীর, দেশ পত্রিকার সাংবাদিক মিজানুর রহমান, দেশচিন্তা সম্পাদক ফরিদ আলম, লেখক বাহারুল আলম, লেখক মিলি সুলতানা, লেখক কামাল হোসেন মিঠু, লেখক অধ্যাপিকা হুসনে আরা, লেখক মুনিয়া মাহমুদ, লেখক তাহমিনা খান, সাংবাদিক দিমা নেফারতিতি, ছড়াকার ডা. সজল আশফাক, লেখক নুরুল হক, লেখক ও সংগঠক সৈয়দ টিপু সুলতান, লেখক মাহমুদ রেজা চৌধুরী, সুরকার-গীতিকার নাদিম আহমেদ, লেখক কানিজ ফাতেমা, লেখক রওশন হক, লেখক মফিজুল হক, লেখক মোজাম্মেল হক, কবি ও ছড়াকার মতলব সিদ্দিকী, কবি-ছড়াকার ইশতিয়াক রুপু, লেখক ও অভিনেত্রী শিরীন বকুল, কবি ও শিল্পী শামীম আরা আফিয়া, আবৃত্তিকার মুমু আনসারী, লেখক রুপা খানম, লেখক সীমু আফরোজ, লেখক রাজিনা চৌধুরী, সাংবাদিক ইমরান আনসারী, কবি মৃদুল আহমেদ, কবি মিশুক সেলিম, কবি শাহীন দেলওয়ার, লেখক মিনাজ আহমেদ, কবি হাসান আল আব্দুল্লাহ, লেখক আদিত্য শাহীন, কবি আদনান সৈয়দ, কবি খালেদ শরফুদ্দীন, লেখক এইচ বি রিতা, লেখক-আবৃত্তিকার সাবিনা নিরু, লেখক পপি চৌধুরী, বাঙালির সহযোগী সম্পাদক আফরোজা আশরাফ, সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকি, সাংবাদিক শামীম আল আমিন, সাংবাদিক পিনাকী তালুকদার, সাংবাদিক হাসান মাহমুদ, সাংবাদিক শেখ সিরাজ, সাংবাদিক এস এম সোলায়মান, সাংবাদিক শিবলী সাদিক, সাংবাদিক শাহ জে চৌধুরী, কবি মোহাম্মদ আবদুল মজীদ, কবি ফাতেমা পলাশ, ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকী এবং ঠিকানার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও বর্তমানে সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এম এম শাহীন প্রমুখ।
এ তালিকা এখানেই শেষ নয়। এর বাইরেও অনেকে রয়েছেন, ইচ্ছে থাকা স্বত্ত্বেও তথ্য স্বল্পতার কারণে উল্লেখ করা সম্ভব হলো না।
একজন প্রকৃত লেখকের কর্মকাণ্ডকে অভিবাসন কখনোই বিপন্ন বা বাধাগ্রস্ত করতে পারে না, এর বড় প্রমাণ উপরিউক্ত গুণী লেখক-সাংবাদিকেরা। বরং অভিবাসী লেখক-সাংবাদিকদের সুবিধা হচ্ছে, তারা একাধারে জন্মভূমির ফেলে আসা স্মৃতি আর ও বেশি বেশি গ্রহণ করা অভিবাসী সমাজের আবহের বাস্তবতা দুটিই পাশাপাশি পরখ করতে পারেন। ফলে তাদের লেখার প্রেক্ষাপট শুধু সমৃদ্ধই হয় না, বরং খুলে দেয় দেখার তৃতীয় নয়ন।
একজন মেধাবী সাংবাদিককে প্রতিষ্ঠিত করতে বড় বড় মিডিয়া হাউসের ভূমিকা অনস্বীকার্য। নিউইয়র্কে পুরোনো-নতুন অনেক প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন বাংলা মিডিয়া রয়েছে। এসব মিডিয়ার প্রাণ প্রবাসের লেখক-সাংবাদিকেরাই।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই রয়েছেন বাংলাদেশি প্রখ্যাত কবি-লেখক-সাংবাদিকেরা। কিন্তু কুইন্সের জ্যামাইকার মতো ছোট্ট একটি এলাকায় বাংলার কবি-লেখক-সাংবাদিকদের যে বাসস্থান গড়ে তুলেছেন, পৃথিবীর আর কোনো শহর বা এলাকায় এমনটা সম্ভবত আর নেই। জ্যামাইকায় বসবাসকারী কলমযোদ্ধাদের মধ্যে আবার সাংবাদিকের সংখ্যাই বেশি। এই গুণী ব্যক্তিরা কেবল যে প্রবাসে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তা-ই নয়; প্রবাসেও তারা বাংলাদেশি কমিউনিটি বিনির্মাণে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। সাংবাদিকতা-লেখালেখির পাশাপাশি প্রবাসে সামনের সারিতে থেকে তারা বাঙালি সমাজ গঠন, বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, বাঙালি উৎসব-পার্বণ উদ্যাপনের মতো কাজও করে চলেছেন নিরলসভাবে। তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতায় এখানে গড়ে উঠেছে স্কুল, মসজিদ, মন্দির, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাজার, বিভিন্ন সংগঠনসহ বাঙালি সমাজ। তাদের লেখনী ও কর্মের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
দিন যত যাচ্ছে, জ্যামাইকা ততই বাংলাদেশি অভিবাসীদের এলাকা হিসেবে বিশেষ পরিচিতি পাচ্ছে। তার ওপর এখানে বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক, কবি, লেখক, সাহিত্যিকের আবাসস্থল গড়ে ওঠায় এলাকাটিকে মূলধারার রাজনীতিক ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও সুনজরে দেখছেন। পুরান ঢাকা কিংবা কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের মতো একদিন নিউইয়র্কের জ্যামাইকাও বাংলার কবি-লেখক-সাহিত্যিক-সাংবাদিকদের আঁতুড়ঘর হিসেবে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেবে বলে বোদ্ধামহলের বিশ্বাস।