যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, একটি রুশ যুদ্ধ বিমানের সঙ্গে একটি মার্কিন মনুষ্যবিহীন ড্রোনের সংঘর্ষের পর তা কৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঘটনা ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনায় সরাসরি একে অন্যকে সামনাসামনি মোকাবিলার ঝুঁকি তৈরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ড্রোনটি রুটিন মিশনে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় থাকার সময় দুটি রুশ যুদ্ধবিমান এর পথ আটকাতে চেষ্টা করে।
অন্যদিকে রাশিয়া বলছে ‘জটিল কৌশল’ পরিচালনার সময় ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয় এবং পাশাপাশি তারা তাদের বিমানের সঙ্গে ড্রোনটির সরাসরি সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করে। খবর বিবিসির।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনটি উড়ার সময় এর ট্রান্সপন্ডার বন্ধ ছিল। ট্রান্সপন্ডার হলো একটি যোগাযোগ ডিভাইস যা বিমানকে শনাক্ত করতে সহায়তা করে। রিপার হচ্ছে ২০ মিটার (৬৬ ফুট) দীর্ঘ পাখা বিশিষ্ট পর্যবেক্ষণকারী ড্রোন।
মার্কিন সামরিক বাহিনী জানায় গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ইউরোপীয় সময় সকাল ৭টা ৩ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় রুটিন কার্যক্রমে অংশ নেওয়া আমাদের এমকিউ-৯ বিমানটির পথ আটকে দেওয়া হয় এবং রুশ বিমানের সঙ্গে এটির সংঘর্ষ হয়। এর ফলে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়।’
মার্কিন সামরিক বাহিনী আরও জানায়, রুশ এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষের আগে বেশ কয়েকবার ড্রোনের উপর তেল ছড়িয়ে দেওয়া হয় যা একটি ‘বেপরোয়া, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও অপেশাদার আচরণ’।
এ ঘটনায় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভকে তলব করা হয় ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
পরে আন্তোনভের উদ্ধৃতি দিয়ে রাশিয়ার সরকারি গণমাধ্যমগুলো জানায় ড্রোন উড়ার ঘটনা ‘একটি উসকানি।’
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেওয়ার পর থেকেই কৃষ্ণ সাগরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরপর ইউক্রেনে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক আকাশ সীমায় তাদের নজরদারি ফ্লাইট বাড়িয়ে দেয়।
তবে এখন প্রশ্ন হলো, মঙ্গলবারের ঘটনা কি মার্কিন ড্রোন ও তাদের তৎপরতায় বিঘ্ন সৃষ্টির একটি চেষ্টা নাকি ড্রোনটিকে ভূপাতিত করতে রাশিয়ার জোরালো প্রচেষ্টা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রুশ পাইলটদের তৎপরতা ছিল বিপদজনক।
এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যাতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সরাসরি কোনো শত্রুতার সৃষ্টি না করে সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আর কৃষ্ণ সাগরের এই ঘটনা তাদের সাড়া দেয়ার বিষয়টি কেমন হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র তার মূল্যায়ন করবে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর কমান্ডাররা তাদের বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যে, এই ধরনের ঘটনা ভুল হিসাব বয়ে আনতে পারে ও অনিচ্ছকৃতভাবে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ড্রোনটি রুটিন মিশনে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় থাকার সময় দুটি রুশ যুদ্ধবিমান এর পথ আটকাতে চেষ্টা করে।
অন্যদিকে রাশিয়া বলছে ‘জটিল কৌশল’ পরিচালনার সময় ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয় এবং পাশাপাশি তারা তাদের বিমানের সঙ্গে ড্রোনটির সরাসরি সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করে। খবর বিবিসির।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনটি উড়ার সময় এর ট্রান্সপন্ডার বন্ধ ছিল। ট্রান্সপন্ডার হলো একটি যোগাযোগ ডিভাইস যা বিমানকে শনাক্ত করতে সহায়তা করে। রিপার হচ্ছে ২০ মিটার (৬৬ ফুট) দীর্ঘ পাখা বিশিষ্ট পর্যবেক্ষণকারী ড্রোন।
মার্কিন সামরিক বাহিনী জানায় গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ইউরোপীয় সময় সকাল ৭টা ৩ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় রুটিন কার্যক্রমে অংশ নেওয়া আমাদের এমকিউ-৯ বিমানটির পথ আটকে দেওয়া হয় এবং রুশ বিমানের সঙ্গে এটির সংঘর্ষ হয়। এর ফলে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়।’
মার্কিন সামরিক বাহিনী আরও জানায়, রুশ এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষের আগে বেশ কয়েকবার ড্রোনের উপর তেল ছড়িয়ে দেওয়া হয় যা একটি ‘বেপরোয়া, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও অপেশাদার আচরণ’।
এ ঘটনায় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভকে তলব করা হয় ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
পরে আন্তোনভের উদ্ধৃতি দিয়ে রাশিয়ার সরকারি গণমাধ্যমগুলো জানায় ড্রোন উড়ার ঘটনা ‘একটি উসকানি।’
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেওয়ার পর থেকেই কৃষ্ণ সাগরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরপর ইউক্রেনে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক আকাশ সীমায় তাদের নজরদারি ফ্লাইট বাড়িয়ে দেয়।
তবে এখন প্রশ্ন হলো, মঙ্গলবারের ঘটনা কি মার্কিন ড্রোন ও তাদের তৎপরতায় বিঘ্ন সৃষ্টির একটি চেষ্টা নাকি ড্রোনটিকে ভূপাতিত করতে রাশিয়ার জোরালো প্রচেষ্টা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রুশ পাইলটদের তৎপরতা ছিল বিপদজনক।
এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যাতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সরাসরি কোনো শত্রুতার সৃষ্টি না করে সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আর কৃষ্ণ সাগরের এই ঘটনা তাদের সাড়া দেয়ার বিষয়টি কেমন হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র তার মূল্যায়ন করবে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর কমান্ডাররা তাদের বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যে, এই ধরনের ঘটনা ভুল হিসাব বয়ে আনতে পারে ও অনিচ্ছকৃতভাবে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।