বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন আগামী অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে যারা ভোট দিতে আগ্রহী, তাদেরকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ২০ ডলার দিয়ে ভোটার হতে হবে। গত বছর ২৭ হাজার ৫০০ জনের বেশি ভোটার হয়েছিলেন। এবার কত ভোটার হবেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ সোসাইটির নির্বাচন নিয়ে গতবার অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। যে কারণে সেবার ভোট কাস্টও কম হয়।
এদিকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য গত ১৪ এপ্রিল সোসাইটির কার্যালয়ে নিয়মিত সভায় সাত সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। এই কমিশনের প্রধান হলেন অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি। তিনি সোসাইটির সাবেক ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। কমিশনে আরও আছেন বিগত কমিশনের দুই সদস্য। তারা হলেন আব্দুল হাকিম মিয়া ও মো. আনোয়ার হোসেন। কমিশনে নতুন মুখ এসেছে চারজন। তারা হলেন আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান বাদল ও আহবাব চৌধুরী খোকন। এই কমিশনের অধীনে আগামী ২০২৫-২০২৬ সালের জন্য বাংলাদেশ সোসাইটির দুই বছর মেয়াদি কমিটি গঠন করা হবে।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন গঠন করার পরপরই যারা সোসাইটির নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তারা নড়েচড়ে বসেছেন। এর মধ্যে আসন্ন নির্বাচনে কারা কারা প্রার্থী হতে পারেন, তাদের নামও আসতে শুরু করেছে সামনে। যারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান সভাপতি মো. আব্দুর রব মিয়া ও আতাউর রহমান সেলিম। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সবার আগে নাম রয়েছে মোহাম্মদ আলীর। তিনি সাবেক কোষাধ্যক্ষ এবং গত নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। এবার তিনি প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে তাকে এবার রব মিয়ার প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক কিংবা আতাউর রহমান সেলিমের প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখা যেতে পারে। মোহাম্মদ আলীকে ইতিমধ্যে আব্দুর রব প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক হতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আবার সেলিমের প্যানেল থেকেও প্রার্থী করার বিষয়ে বিবেচনায় রয়েছে তার নাম। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী পরপর দুবার সাধারণ সম্পাদক থাকার কারণে তিনি আর সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করতে পারবেন না। এ কারণে তিনি সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচন করতে পারেন বলে জানা গেছে। এদিকে মোহাম্মদ আলী যদি রব মিয়া প্যানেলে নির্বাচন না করেন, তাহলে বর্তমান কোষাধ্যক্ষ নওশেদ হোসেন ওই প্যানেল থেকে নির্বাচন করতে পারেন। আর যদি মোহাম্মদ আলী রব মিয়ার প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হন, তাহলে নওশেদ হোসেন কোষাধ্যক্ষ পদেই নির্বাচন করতে পারেন। এসব হিসাব-নিকাশ মেলাতে আরও সময় লাগবে।
এদিকে গত নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন। এবার তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না। এ বিষয়ে কাজী নয়ন বলেন, আমি নির্বাচনে প্রার্থী হব কীভাবে? গতবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনাররা আমার প্রতি বৈরী আচরণ করেছেন। তারা একজন প্রার্থীকে বেশি সুবিধা দিয়েছেন। তার নাম নিয়ে আপত্তি ছিল। আইডির সঙ্গে নামের মিল না থাকার পরও তিনি ওই প্রার্থীকে নির্বাচনে সুযোগ দেন। আমার অভিযোগ আমলে নেননি। কেবল তা-ই নয়, ব্রুকলিন সেন্টারে ভোট গ্রহণের আগেই সেখানে ভোট পড়েছিল। মেশিনে ত্রুটি ছিল। জ্যামাইকায় ভোট শুরুর পর মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। আধঘণ্টা ভোট বন্ধ থাকার কারণে অনেক ভোটার চলে যান। এ ছাড়া ওই সময়ে নির্বাচন কমিশন একটি প্যানেলেকে বিশেষভাবে সহায়তা করেছে। এবারও একই রকম কমিশন গঠন করা হয়েছে। তাই আমি এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাব না। তিনি এই কমিশন ভেঙে দিয়ে নতুন কমিশন গঠন করার দাবি জানান।
সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। একক প্রার্থী থাকায় সিলেকশনের মাধ্যমে কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী এই কমিশন গতবারের মতোই স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুু নির্বাচন করবে।
সোসাইটির একাধিক নেতা বলেন, একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন হওয়া উচিত, যাতে কেউ অভিযোগ তুলতে না পারে। কমিশন যদি তাদের আর্থিক বিষয়ে সিপিএ সার্টিফায়েড হিসাব দিতে না পারে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। কারণ এই অর্থ ভোটাররা দেন। ভোটারদের অধিকার আছে তাদের দেওয়া অর্থ কোন খাতে কেমন করে কত খরচ হয়েছে, এর সার্টিফায়েড হিসাব জানার।
বাংলাদেশ সোসাইটি একটি আমব্রেলা সংগঠন। সংগঠনটি যাতে আমব্রেলার মতোই ভূমিকা রাখতে পারে, সেটিই চাইছেন কমিউনিটির বেশির ভাগ মানুষ। তারা একে আরও জোরালো ও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে দেখতে চান। মেইন স্ট্রিমে এর আরও কর্মকাণ্ড দেখতে চান।
এদিকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য গত ১৪ এপ্রিল সোসাইটির কার্যালয়ে নিয়মিত সভায় সাত সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। এই কমিশনের প্রধান হলেন অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি। তিনি সোসাইটির সাবেক ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। কমিশনে আরও আছেন বিগত কমিশনের দুই সদস্য। তারা হলেন আব্দুল হাকিম মিয়া ও মো. আনোয়ার হোসেন। কমিশনে নতুন মুখ এসেছে চারজন। তারা হলেন আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান বাদল ও আহবাব চৌধুরী খোকন। এই কমিশনের অধীনে আগামী ২০২৫-২০২৬ সালের জন্য বাংলাদেশ সোসাইটির দুই বছর মেয়াদি কমিটি গঠন করা হবে।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন গঠন করার পরপরই যারা সোসাইটির নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তারা নড়েচড়ে বসেছেন। এর মধ্যে আসন্ন নির্বাচনে কারা কারা প্রার্থী হতে পারেন, তাদের নামও আসতে শুরু করেছে সামনে। যারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান সভাপতি মো. আব্দুর রব মিয়া ও আতাউর রহমান সেলিম। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সবার আগে নাম রয়েছে মোহাম্মদ আলীর। তিনি সাবেক কোষাধ্যক্ষ এবং গত নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। এবার তিনি প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে তাকে এবার রব মিয়ার প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক কিংবা আতাউর রহমান সেলিমের প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখা যেতে পারে। মোহাম্মদ আলীকে ইতিমধ্যে আব্দুর রব প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক হতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আবার সেলিমের প্যানেল থেকেও প্রার্থী করার বিষয়ে বিবেচনায় রয়েছে তার নাম। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী পরপর দুবার সাধারণ সম্পাদক থাকার কারণে তিনি আর সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করতে পারবেন না। এ কারণে তিনি সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচন করতে পারেন বলে জানা গেছে। এদিকে মোহাম্মদ আলী যদি রব মিয়া প্যানেলে নির্বাচন না করেন, তাহলে বর্তমান কোষাধ্যক্ষ নওশেদ হোসেন ওই প্যানেল থেকে নির্বাচন করতে পারেন। আর যদি মোহাম্মদ আলী রব মিয়ার প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হন, তাহলে নওশেদ হোসেন কোষাধ্যক্ষ পদেই নির্বাচন করতে পারেন। এসব হিসাব-নিকাশ মেলাতে আরও সময় লাগবে।
এদিকে গত নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন। এবার তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না। এ বিষয়ে কাজী নয়ন বলেন, আমি নির্বাচনে প্রার্থী হব কীভাবে? গতবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনাররা আমার প্রতি বৈরী আচরণ করেছেন। তারা একজন প্রার্থীকে বেশি সুবিধা দিয়েছেন। তার নাম নিয়ে আপত্তি ছিল। আইডির সঙ্গে নামের মিল না থাকার পরও তিনি ওই প্রার্থীকে নির্বাচনে সুযোগ দেন। আমার অভিযোগ আমলে নেননি। কেবল তা-ই নয়, ব্রুকলিন সেন্টারে ভোট গ্রহণের আগেই সেখানে ভোট পড়েছিল। মেশিনে ত্রুটি ছিল। জ্যামাইকায় ভোট শুরুর পর মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। আধঘণ্টা ভোট বন্ধ থাকার কারণে অনেক ভোটার চলে যান। এ ছাড়া ওই সময়ে নির্বাচন কমিশন একটি প্যানেলেকে বিশেষভাবে সহায়তা করেছে। এবারও একই রকম কমিশন গঠন করা হয়েছে। তাই আমি এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাব না। তিনি এই কমিশন ভেঙে দিয়ে নতুন কমিশন গঠন করার দাবি জানান।
সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। একক প্রার্থী থাকায় সিলেকশনের মাধ্যমে কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী এই কমিশন গতবারের মতোই স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুু নির্বাচন করবে।
সোসাইটির একাধিক নেতা বলেন, একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন হওয়া উচিত, যাতে কেউ অভিযোগ তুলতে না পারে। কমিশন যদি তাদের আর্থিক বিষয়ে সিপিএ সার্টিফায়েড হিসাব দিতে না পারে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। কারণ এই অর্থ ভোটাররা দেন। ভোটারদের অধিকার আছে তাদের দেওয়া অর্থ কোন খাতে কেমন করে কত খরচ হয়েছে, এর সার্টিফায়েড হিসাব জানার।
বাংলাদেশ সোসাইটি একটি আমব্রেলা সংগঠন। সংগঠনটি যাতে আমব্রেলার মতোই ভূমিকা রাখতে পারে, সেটিই চাইছেন কমিউনিটির বেশির ভাগ মানুষ। তারা একে আরও জোরালো ও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে দেখতে চান। মেইন স্ট্রিমে এর আরও কর্মকাণ্ড দেখতে চান।