বাংলাদেশের রিজার্ভ কমে ২২ বিলিয়নে

প্রকাশ : ০৬-০৩-২০২৩ ০৩:৪২:০৬ পিএম , অনলাইন ভার্সন

ঠিকানা অনলাইন : এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ করার কারণে আরও ১ বিলিয়ন ডলার কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গত বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

আজ ৫ মার্চ (রবিবার) আকুর বিল পরিশোধ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সমন্বয়ের পর বাংলাদেশের রিজার্ভ কমে ৩১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ড অনুযায়ী ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ আরও ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন কম।

সংস্থাটির হিসাবে, বাংলাদেশের ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়াবে ২২ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলারে।

আকু হলো আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর সুদসহ আমদানির অর্থ পরিশোধ করে।

ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। দায় পরিশোধের মতো রিজার্ভ না থাকায় গত অক্টোবরে আকু থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে চরম আর্থিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা।

ব্যাংকারদের মতে, বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফেরাতে আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগের মধ্যেও সংকট কটেনি। নতুন এলসি কমলেও আগের দায় পরিশোধের চাপ রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে। বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন কারণে বিশ্ববাজারে ডলার অনেক শক্তিশালী হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে প্রচুর ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত ডলার বিক্রি ১০ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। রিজার্ভ কমে নেমেছে ৩২ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল বাংলাদেশ।

এ রকম অবস্থায় রিজার্ভ যেন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় না নামে সে জন্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া দ্রুত রপ্তানি বিল ফেরত আনতে বলা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

পণ্য রপ্তানির এ হালনাগাদ পরিসংখ্যান গত বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশ করেছে। তথ্যানুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা দেশীয় মুদ্রায় ৩ লাখ ৩৪ হাজার ২০৯ কোটি টাকার সমান। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যানুযায়ী চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পণ্য আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৩৮৩ কোটি ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫ হাজার ৭৩২ কোটি ডলার। অর্থাৎ ৩৪৯ কোটি ডলারের আমদানি ব্যয় কমেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। যেখানে জানুয়ারিতে এসেছিল প্রায় ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। সে হিসাবে মাসের ব্যবধানে প্রবাসী আয় কমেছে ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ কোটি ৬৭ লাখ ডলার বেশি এসেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বাড়লেও আমরা এখনও নিরাপদ অবস্থানে যেতে পারিনি। সার্বিক ডলার সংকট থেকে উত্তরণের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের অন্যতম দুটি পথের মধ্যে একটি রেমিট্যান্স এবং অপরটি রপ্তানি আয়। রপ্তানি আয় বাড়াতে ডলারের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। তাহলে ব্যবসায়ীরা দেশে ডলার আনতে আগ্রহী হবেন। প্রবাসীরাও ডলারের মূল্য বেশি পাবেন।

ডলারের রেট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল করা যাবে কি না তাতে সন্দেহ আছে। পাশাপাশি ব্যাংকঋণের সুদের হারকে মুক্তবাজার অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার পরামর্শ দিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ।

ঠিকানা/এসআর

M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041