‘হে বিশ্বাসীগণ। তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্বসূরীদের ওপর যাতে তোমরা আল্লাহ্্ সচেতন থাকতে পারো।’ (সূরা বাকারা/আয়াৎ ১৮৩) দিন-রাত গুণতে গুণতে একটি মাস পার হয়ে গেলো। এবার এলো খুশীর ঈদ। কিশোরকালের কথা মনে পড়ে। ঈদ মানেই চোখে নেই নিদ। অর্থাৎ ঘুম নেই। কখন সকাল হবে। সেজে-গুজে আতর-শুরমা মেখে যাবো ঈদগাহে। তারপর কোলাকুলি। তারপর সেমাই-পায়েস-পোলাও পর্বন। সোজা কথা হলো- এ’ ছিলো এক মহা আনন্দের দিন। যদিও ঈদের এই আনন্দের ভাগী অনেকেই হতে পারেন না। সেই ক্রয়ক্ষমতা সবার ভাগ্যে জোটে না। তবুও এই দিনটির একটা মাহাত্ম্য আছে। কবি গাহেন-‘আল্লাহ রসুল জনের গুণে ঈদ এলো ঐ।’ তাহলে ঈদের প্রকৃত অর্থ কী?? ‘ঈদ’ অর্থ উৎসব বা আনন্দ। আর ‘ফিতর’- অর্থ বিদীর্ণ করা। অর্থ উপবাস ভঙ্গ করা এবং স্বাভাবিক অবস্থায়, ফিরে যাওয়া। আবার ঈদুল ফিতরকে বলা হয়েছে রোজা। উপবাস ভাঙ্গার আনন্দ। ধর্মীয় পরিভাষার একে ‘ইয়াওমুল জায়েজ’ অর্থ ‘পুরস্কার দিবস’ হিসাবেও বর্ণনা করা হয়েছে। এই পুরস্কার পেতে হলে ধর্মপ্রাাণ মুসলামানদের কী কী করণীয় - সেই বিষয়টি সম্বন্ধে ধারণা থাকা প্রয়োজন - তাহলেই ঈদুল ফিতরের মাহাত্ম্য অনুধাবন করা যাবে।
মাহাত্ম্য ও করণীয় এই দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার আগে একটু ইতিহাসে ফিরে যাই। আমাদের পেয়ারা নবী হজরত মুহম্মদ (সাঃ) এর মদিনায় হিজরতের পরই ঈদুল ফিতর উৎসব পালন শুরু হয়। হজরত আলাøমা (রাঃ) বর্ণিত একটি হাদিস থেকে জানা যায় যে - নবী কারীম (সাঃ) মদিনায় এসে জানালেন -মদিনাবাসী বছরের দুটি দিনে আনন্দ-উল্লাস করে থাকে। জিজ্ঞাসা করে তিনি আরও জানলেন- ‘ইসলাম পূর্ব যুগ থেকেই এই দুটি দিনকে তাঁরা উৎসবের দিন হিসাবে পালন করে।’ রাসুল (সাঃ) তাঁদের বললেন- “আল্লাহ তোমাদের এই দুইটি দিনের বদলে উত্তম দুটি দিন দান করেছেন। সেই দিন দুটি হলো ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা। সুতরাং ঈদুল ফিতরের আনন্দ যেমন অর্থবহুল তেমনি এই দিনটির আবেদন তথ্য সমৃদ্ধ এবং দিনটির সূদুর প্রসারী আবেদনও রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো এক মাসের, ‘সিয়াম সাধনা’ শুধু উপবাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। রমজান মানুষকে পাপ ও পংকিলতা থেকে পরিত্র করে। এবং সেটা বিশ্বাস করতে হবে। এই বিশ্বাস অর্থাৎ ‘ঈমান’ ইসলামের প্রাণশক্তি। ‘ঈমান’ মানব জীবনের মূল চালিকা মক্তি। পবিত্র রমজানের সাথে ঈমানের সুদৃঢ, যোগসূত্র বিদ্যমান। রোজা ঈমানদার মানুষের ইন্দ্রিয়কে পুড়িয়ে দিয়ে খাঁটি বান্দায় পরিণত করে। পরম করুণাময়, হয়তো এই কারণেই সিয়ামের মাসকে এতোটা গুরুত্ব দিয়েছেন। মহান রাব্বুল আলামীন সূরাহ্ বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে উল্লেখ করছেন-” রমজান মাসেই কোরআন নাজিল হয়েছে। আর কোরআন হচ্ছে মানুষের জন্য সঠিক জীবনদৃষ্টি ও সত্য পথের দিশারী। এবং ন্যায়-অন্যায় সত্য ও মিথ্যা নিরূপণের নিরঙ্কুশ মানদন্ড। কিন্তু আমরা পবিত্র কোরআন শরীফের নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে পেরেছি কী?? কোরআনে উল্লেখ রয়েছে- ‘‘হে বিশ্বাসীগণ। তোমরা একে অন্যের, ধনসম্প্রতি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। জেনেশুনে অন্যায়ভাবে অপরের ধনসম্প্রতি কিছু অংশ গ্রাস করার উদ্দেশ্যে বিচারকাজে সংশিষ্টদের প্রভাবিত করো না।’’ (সূরা বাকারা। আয়াত ১৮৮) তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়ালো- কোরআনে সুস্পষ্ট বর্ণিত আছে কোনটা ন্যায় অথচ আজকাল সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় লেখা থাকে - জমি নিয়ে বিরোধ” - “বাড়ী নিয়ে মারামারি তারপর হত্যাকাণ্ড। এমনকী পুত্র তার বাবাকে হত্যা করতে দ্বিধা করছে না। ভাই তার আপন ভাইকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। সুতরাং পবিত্র রমজান মাসে যে কোরআন নাজিল হলো- তার শর্তাবলী যদি আমরা না মেনে চলি - তবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের রোজা নামাজ, যাকাত ফেতরা কী আল্লাহ রাব্বুল আলামীন গ্রহণ করবেন ‘‘যদি উনার বিচার-উনার খড়গদণ্ড মাথার উপর নেমে আসে, তবে কী রোজার শেষে ঈদের, আনন্দ উপভোগ করা যাবে’’। সুতরাং রোজা-নামাজের, মধ্যেই ইসলাম ধর্মের সব করণীয় কাজ শেষ হয়ে যায়না। আবার পূর্ব-পশ্চিমে মুখ ফেরালেই সমস্ত কর্তব্য শেষ হয়ে যায় না। আল্লাহ বলেছেন পূর্ব পশ্চিম সবই আল্লাহর, তুমি যেদিকেই মুখ করো-সেদিকেই আল্লাহকে পাবে। আল্লাহ্ সর্বত্র বিরাজমান ও সর্বজ্ঞ। (সূরা বাকারা আয়াত ১১৫) একই সূরাতে পরম করুনাময় এরশাদ করেন-”হে বিশ্বাসীগণ তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং যাকাত আদায় করো। পরকালীন মুক্তির জন্য তোমরা যতোটুকু সৎকর্ম করবে তা সবই আল্লাহর কাছে জমা থাকবে। (আয়াত ১১০) সুতরাং সৎকর্ম হচ্ছে মুক্তির পথ। এই বিশ্বাসটা মাথায় রাখা খুবই প্রয়োজন। রমজান আসে সিয়াম পালনে এই শিক্ষাগুলি গ্রহণীয় সেটা নিয়ে মুসলমানদের জীবন কর্ম পরিচালিত হবে । এবং সেটাই হচ্ছে ধর্ম অনুশীলনের প্রকৃত আনন্দ। আরো একটি কথা মনে রাখা দরকার- আল্লাহ্ রাবুল আলামীন কোরআনের- একটি ছত্রে সততার সাথে জীবন যাপনের সাথে কৃতজ্ঞতা ও জাকাত আদায়ের কথা বলেছেন।তিনি বলছেন- তোমাকে দিয়েছি দেবার জন্য। বারবার তিনি এরশাদ করেন-” মা, বাবা, আত্মীয়স্বজন এতিম ও অসহায়দের সাথে ভালো ব্যবহার করবে। নামাজ কায়েম করবে। যাকাত আদায় করবে।
যাকাত প্রসঙ্গটি দিয়েই ইতি টানি। পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমান যতো যাকাত আদায় করবেন ততোটুকু সওয়াব তিনি পাবেন। এই মাসে অন্তর খুলে অভাবী মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসলে আল্লাহ খুশি হন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়. অনেকেই বিষয়টি আমলে নেন না। উনারা মনে করেন নামাজ আর রোজা রাখলেই কত্যর্ব শেষ। আবার অনেকে আছেন ঈদের মাঠে বা মসজিদে নামাজের কাতার নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। তাদেরকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় “আপনি কী আপনার, যাকাত আদায় করেছেন। উনারা না বলেন না, শুধু এড়িয়ে যান। বল হয় যুদি তুমি কাউকে কোনো কিছুর বিনিময়ে, তাঁর মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারো তবে- আল্লাহ খুশী হন।” সুতরাং আল্লাহু যখন তাঁর সন্তুষ্টির, পথটি দেখিয়ে দিয়েছেন- আমরা অনুসরণ করছি না কেন? আর কৃতজ্ঞতা- এই কথাটি শুধু কেতাবেই আছে- মনের মাঝে নেই। যেমন নেই- কারোর, আমানত ফিরিয়ে দেবার তাগাদা। কারোর আমানত ফিরিয়ে না দিলে তার জানাজা হয়না- হাদীস মতে।
সুরা আন নূরে পরম করুণাময়, তাই এরশাদ করেন- ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো। যাকাত দাও এবং রসুলের অনুগত হও যাতে তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ লাভকারী হতে পারো।”
এই সব নির্দেশাবলী মেনে নিয়ে যদি ঈদের আনন্দ উপলব্ধি করা যায় তবে আনন্দ অবশ্যি হবে। এই আনন্দ নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকা।
জীবনের কঠিন সংগ্রামে পথ চলা। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন- ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন। সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক।
মাহাত্ম্য ও করণীয় এই দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার আগে একটু ইতিহাসে ফিরে যাই। আমাদের পেয়ারা নবী হজরত মুহম্মদ (সাঃ) এর মদিনায় হিজরতের পরই ঈদুল ফিতর উৎসব পালন শুরু হয়। হজরত আলাøমা (রাঃ) বর্ণিত একটি হাদিস থেকে জানা যায় যে - নবী কারীম (সাঃ) মদিনায় এসে জানালেন -মদিনাবাসী বছরের দুটি দিনে আনন্দ-উল্লাস করে থাকে। জিজ্ঞাসা করে তিনি আরও জানলেন- ‘ইসলাম পূর্ব যুগ থেকেই এই দুটি দিনকে তাঁরা উৎসবের দিন হিসাবে পালন করে।’ রাসুল (সাঃ) তাঁদের বললেন- “আল্লাহ তোমাদের এই দুইটি দিনের বদলে উত্তম দুটি দিন দান করেছেন। সেই দিন দুটি হলো ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা। সুতরাং ঈদুল ফিতরের আনন্দ যেমন অর্থবহুল তেমনি এই দিনটির আবেদন তথ্য সমৃদ্ধ এবং দিনটির সূদুর প্রসারী আবেদনও রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো এক মাসের, ‘সিয়াম সাধনা’ শুধু উপবাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। রমজান মানুষকে পাপ ও পংকিলতা থেকে পরিত্র করে। এবং সেটা বিশ্বাস করতে হবে। এই বিশ্বাস অর্থাৎ ‘ঈমান’ ইসলামের প্রাণশক্তি। ‘ঈমান’ মানব জীবনের মূল চালিকা মক্তি। পবিত্র রমজানের সাথে ঈমানের সুদৃঢ, যোগসূত্র বিদ্যমান। রোজা ঈমানদার মানুষের ইন্দ্রিয়কে পুড়িয়ে দিয়ে খাঁটি বান্দায় পরিণত করে। পরম করুণাময়, হয়তো এই কারণেই সিয়ামের মাসকে এতোটা গুরুত্ব দিয়েছেন। মহান রাব্বুল আলামীন সূরাহ্ বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে উল্লেখ করছেন-” রমজান মাসেই কোরআন নাজিল হয়েছে। আর কোরআন হচ্ছে মানুষের জন্য সঠিক জীবনদৃষ্টি ও সত্য পথের দিশারী। এবং ন্যায়-অন্যায় সত্য ও মিথ্যা নিরূপণের নিরঙ্কুশ মানদন্ড। কিন্তু আমরা পবিত্র কোরআন শরীফের নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে পেরেছি কী?? কোরআনে উল্লেখ রয়েছে- ‘‘হে বিশ্বাসীগণ। তোমরা একে অন্যের, ধনসম্প্রতি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। জেনেশুনে অন্যায়ভাবে অপরের ধনসম্প্রতি কিছু অংশ গ্রাস করার উদ্দেশ্যে বিচারকাজে সংশিষ্টদের প্রভাবিত করো না।’’ (সূরা বাকারা। আয়াত ১৮৮) তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়ালো- কোরআনে সুস্পষ্ট বর্ণিত আছে কোনটা ন্যায় অথচ আজকাল সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় লেখা থাকে - জমি নিয়ে বিরোধ” - “বাড়ী নিয়ে মারামারি তারপর হত্যাকাণ্ড। এমনকী পুত্র তার বাবাকে হত্যা করতে দ্বিধা করছে না। ভাই তার আপন ভাইকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। সুতরাং পবিত্র রমজান মাসে যে কোরআন নাজিল হলো- তার শর্তাবলী যদি আমরা না মেনে চলি - তবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের রোজা নামাজ, যাকাত ফেতরা কী আল্লাহ রাব্বুল আলামীন গ্রহণ করবেন ‘‘যদি উনার বিচার-উনার খড়গদণ্ড মাথার উপর নেমে আসে, তবে কী রোজার শেষে ঈদের, আনন্দ উপভোগ করা যাবে’’। সুতরাং রোজা-নামাজের, মধ্যেই ইসলাম ধর্মের সব করণীয় কাজ শেষ হয়ে যায়না। আবার পূর্ব-পশ্চিমে মুখ ফেরালেই সমস্ত কর্তব্য শেষ হয়ে যায় না। আল্লাহ বলেছেন পূর্ব পশ্চিম সবই আল্লাহর, তুমি যেদিকেই মুখ করো-সেদিকেই আল্লাহকে পাবে। আল্লাহ্ সর্বত্র বিরাজমান ও সর্বজ্ঞ। (সূরা বাকারা আয়াত ১১৫) একই সূরাতে পরম করুনাময় এরশাদ করেন-”হে বিশ্বাসীগণ তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং যাকাত আদায় করো। পরকালীন মুক্তির জন্য তোমরা যতোটুকু সৎকর্ম করবে তা সবই আল্লাহর কাছে জমা থাকবে। (আয়াত ১১০) সুতরাং সৎকর্ম হচ্ছে মুক্তির পথ। এই বিশ্বাসটা মাথায় রাখা খুবই প্রয়োজন। রমজান আসে সিয়াম পালনে এই শিক্ষাগুলি গ্রহণীয় সেটা নিয়ে মুসলমানদের জীবন কর্ম পরিচালিত হবে । এবং সেটাই হচ্ছে ধর্ম অনুশীলনের প্রকৃত আনন্দ। আরো একটি কথা মনে রাখা দরকার- আল্লাহ্ রাবুল আলামীন কোরআনের- একটি ছত্রে সততার সাথে জীবন যাপনের সাথে কৃতজ্ঞতা ও জাকাত আদায়ের কথা বলেছেন।তিনি বলছেন- তোমাকে দিয়েছি দেবার জন্য। বারবার তিনি এরশাদ করেন-” মা, বাবা, আত্মীয়স্বজন এতিম ও অসহায়দের সাথে ভালো ব্যবহার করবে। নামাজ কায়েম করবে। যাকাত আদায় করবে।
যাকাত প্রসঙ্গটি দিয়েই ইতি টানি। পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমান যতো যাকাত আদায় করবেন ততোটুকু সওয়াব তিনি পাবেন। এই মাসে অন্তর খুলে অভাবী মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসলে আল্লাহ খুশি হন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়. অনেকেই বিষয়টি আমলে নেন না। উনারা মনে করেন নামাজ আর রোজা রাখলেই কত্যর্ব শেষ। আবার অনেকে আছেন ঈদের মাঠে বা মসজিদে নামাজের কাতার নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। তাদেরকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় “আপনি কী আপনার, যাকাত আদায় করেছেন। উনারা না বলেন না, শুধু এড়িয়ে যান। বল হয় যুদি তুমি কাউকে কোনো কিছুর বিনিময়ে, তাঁর মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারো তবে- আল্লাহ খুশী হন।” সুতরাং আল্লাহু যখন তাঁর সন্তুষ্টির, পথটি দেখিয়ে দিয়েছেন- আমরা অনুসরণ করছি না কেন? আর কৃতজ্ঞতা- এই কথাটি শুধু কেতাবেই আছে- মনের মাঝে নেই। যেমন নেই- কারোর, আমানত ফিরিয়ে দেবার তাগাদা। কারোর আমানত ফিরিয়ে না দিলে তার জানাজা হয়না- হাদীস মতে।
সুরা আন নূরে পরম করুণাময়, তাই এরশাদ করেন- ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো। যাকাত দাও এবং রসুলের অনুগত হও যাতে তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ লাভকারী হতে পারো।”
এই সব নির্দেশাবলী মেনে নিয়ে যদি ঈদের আনন্দ উপলব্ধি করা যায় তবে আনন্দ অবশ্যি হবে। এই আনন্দ নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকা।
জীবনের কঠিন সংগ্রামে পথ চলা। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন- ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন। সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক।