
কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে বিজেপি সরকারের কার্যকালে নেয়া নির্বাচনী বন্ড-সহ নোটবন্দি, পেগাসাস স্পাইওয়্যার ক্রয়, রাফালে চুক্তির মতো সিদ্ধান্তগুলির তদন্ত করবে কংগ্রেস। যারা এর মাধ্যমে "অবৈধ লাভ" করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপিকে একপ্রস্থ হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলো হাত শিবির।
দলের লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহার ‘ন্যায়পত্রে’ একথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও, কংগ্রেস ঘোষণা করেছে যে, এটি দেশ থেকে পরিচিত প্রতারকদের পালিয়ে যাওয়ার তদন্ত করবে। পলাতক এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। তাদের দাবি- বিজয় মাল্য, নীরব মোদী, মেহুল চোকসির মতো অপরাধীদের পালতে সাহায্য করেছে বিজেপি। একই সময়ে, বিজেপিতে যোগদানের পরে ক্লিন চিট পাওয়া রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাহুল গান্ধীর দল।
গত কয়েক বছর ধরেই এই ইস্যুগুলি নিয়ে সরব রাহুল গান্ধী। নোট বাতিলের পর থেকেই এটিকে ভারতের অর্থনীতির জন্য বিরাট ধাক্কা হিসাবে বর্ণনা করে এসেছেন তিনি। ২০১৯ নির্বাচনে রাফালে যুদ্ধবিমানকেই মূল ইস্যু করেছিল কংগ্রেস। পেগাসাস নিয়েও দীর্ঘদিন আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু কোনও আন্দোলনই কংগ্রেসের জন্য সেভাবে ফলপ্রসূ হয়নি।
গুরুত্বপূর্ণভাবে, কংগ্রেস বিজেপির মণিপুর সরকারকে বরখাস্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যেটি প্রায় এক বছর ধরে রাজ্যে বিপর্যস্ত জাতিগত বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’-র সময় থেকেই ‘ন্যায়’ শব্দে জোর দিতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস শিবিরকে। এবার লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশের সময়েও সেই ‘ন্যায়’-এর উপরেই নজর টানলেন সোনিয়া-রাহুলরা। বিজেপি দেশজুড়ে যে নয়া সংস্কৃতি নির্মাণ করে চলেছে, তা অন্যায্য, আর সেই কারণেই তা আশঙ্কার। সেই পরিস্থিতি থেকে স্বাধীনতার গ্যারান্টি দিচ্ছে কংগ্রেস, ন্যায়পত্র প্রকাশ করে এই মর্মেই সরব হলেন রাহুলরা। এনএসএ এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কার্যালয়কে সংসদীয় তত্ত্বাবধানে আনার পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে যে কংগ্রেস "আইনের অস্ত্র, নির্বিচারে তল্লাশি, জব্দ, নির্বিচারে গ্রেপ্তারের অবসান ঘটাবে"।
সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া
ঠিকানা/এসআর
দলের লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহার ‘ন্যায়পত্রে’ একথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও, কংগ্রেস ঘোষণা করেছে যে, এটি দেশ থেকে পরিচিত প্রতারকদের পালিয়ে যাওয়ার তদন্ত করবে। পলাতক এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। তাদের দাবি- বিজয় মাল্য, নীরব মোদী, মেহুল চোকসির মতো অপরাধীদের পালতে সাহায্য করেছে বিজেপি। একই সময়ে, বিজেপিতে যোগদানের পরে ক্লিন চিট পাওয়া রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাহুল গান্ধীর দল।
গত কয়েক বছর ধরেই এই ইস্যুগুলি নিয়ে সরব রাহুল গান্ধী। নোট বাতিলের পর থেকেই এটিকে ভারতের অর্থনীতির জন্য বিরাট ধাক্কা হিসাবে বর্ণনা করে এসেছেন তিনি। ২০১৯ নির্বাচনে রাফালে যুদ্ধবিমানকেই মূল ইস্যু করেছিল কংগ্রেস। পেগাসাস নিয়েও দীর্ঘদিন আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু কোনও আন্দোলনই কংগ্রেসের জন্য সেভাবে ফলপ্রসূ হয়নি।
গুরুত্বপূর্ণভাবে, কংগ্রেস বিজেপির মণিপুর সরকারকে বরখাস্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যেটি প্রায় এক বছর ধরে রাজ্যে বিপর্যস্ত জাতিগত বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’-র সময় থেকেই ‘ন্যায়’ শব্দে জোর দিতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস শিবিরকে। এবার লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশের সময়েও সেই ‘ন্যায়’-এর উপরেই নজর টানলেন সোনিয়া-রাহুলরা। বিজেপি দেশজুড়ে যে নয়া সংস্কৃতি নির্মাণ করে চলেছে, তা অন্যায্য, আর সেই কারণেই তা আশঙ্কার। সেই পরিস্থিতি থেকে স্বাধীনতার গ্যারান্টি দিচ্ছে কংগ্রেস, ন্যায়পত্র প্রকাশ করে এই মর্মেই সরব হলেন রাহুলরা। এনএসএ এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কার্যালয়কে সংসদীয় তত্ত্বাবধানে আনার পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে যে কংগ্রেস "আইনের অস্ত্র, নির্বিচারে তল্লাশি, জব্দ, নির্বিচারে গ্রেপ্তারের অবসান ঘটাবে"।
সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া
ঠিকানা/এসআর