আর্থিক খাত সংস্কারে জোর বিশ্বব্যাংকের

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২১ , অনলাইন ভার্সন
মূল্যস্ফীতি সংকট সামাল দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করার মাধ্যমে অর্থনীতিতে পুনরায় গতির সঞ্চার করতে দেশের মুদ্রানীতিসহ আর্থিক খাতে সামগ্রিক সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) প্রকাশিত অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে এই পরামর্শ দেয় বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি আরও মন্থর হয়েছে। এতে বিনিয়োগে মন্দাবস্থা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের উচ্চ হারসহ দুর্বল নিয়ন্ত্রণের কারণে এ খাত চাপের মুখে আছে বলেও জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
 
বিশ্বব্যাংকের মতে, কোভিড-১৯ মহামারি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। কিন্তু পরবর্তীতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, লেনদেন ভারসাম্যে ধারাবাহিক ঘাটতি, আর্থিক খাতের দুর্বলতা ও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে মহামারিপরবর্তী পুনরুদ্ধার ব্যাহত হচ্ছে।
 
বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সংকট উত্তরণে বিশ্বব্যাংক জানায়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে আর্থিক সংস্কার ও মুদ্রার একক বিনিময় হার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা জরুরি। মুদ্রার বিনিময় হারে নমনীয়তা বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে ভূমিকা পালন করবে।
 
প্রতিবেদনে আর্থিক খাতের সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ। ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করেছে। একইসঙ্গে বিনিময় ভারসাম্যের ঘাটতি, ক্রমবর্ধমান সুদের হার, আমদানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ এবং জ্বালানির দামের ঊর্ধ্বমুখী গতির কারণে বিনিয়োগ হ্রাস পেয়েছে।
 
এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদোলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো এখনও অনেক শক্তিশালী। তবে অর্থনীতিকে পুনরায় শক্তিশালী অবস্থানে নিতে হলে নীতিগতভাবে আর্থিক খাত সংস্কারে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
 
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও ধীর হয়েছে। এর মাধ্যমে বিনিয়োগ কমে যাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে নন-পারফর্মিং লোনের (এনপিএল) অনুপাত বেশি বলে জানানো হয়।
 
একই দিন বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। ‘দি সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: জবস ফর রেজিলিয়েন্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২ বছরে দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অঞ্চলে পরিণত হবে। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ২০২৪ সালে ৬ শতাংশ এবং ২০২৫ সালে ৬ দশমিক ১ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
 
মূলত ভারত ও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ওপর ভর দিয়েই দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে গতির সঞ্চার হবে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। সেই সঙ্গে, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।

ঠিকানা/ছালিক 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041