ইউটিউবে ভিডিও দেখে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:২৫ , অনলাইন ভার্সন
নীলফামারীতে আলোচিত স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী আশিকুল হক মোল্লাকে (৪০) চিকিৎসা শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারাগারে পাঠানোর আগে তাকে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে নীলফামারীর চিফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীন কবিরের আদালতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ও নিজে আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করে ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি দিয়েছেন।

জবানবন্দিতে অভিযুক্ত জানান, ব্যবসায়ে ১৮ লাখ টাকা দেনা তার। এতে পাওনাদাররা তাকে রোজ চাপ দিতে থাকেন। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পরে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ জন্য তিনি দীর্ঘ ১০ দিন ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন ভিডিও দেখে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম পিপিএম।

পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের দারোয়ানী বন্দর বাজার এলাকার নিজ বাড়িতে আশিকুল হক মোল্লা তার স্ত্রী তহুরা বেগম (৩০), মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা তানিয়া (১১) ও জারিন তান্নিমকে (৬) শ্বাসরোধে হত্যা করেন। স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর আশিকুল নিজে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় অভিযুক্ত আশিকুলকে কর্তব্যরত চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এ ঘটনায় নিহত তহুরা বেগমের ভাই আসাদুজ্জামান নূর আসাদ বাদী হয়ে আশিকুল মোল্লার নামে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।

প্রতিবেশী ও স্বজনেরা জানান, আশিকুল হক মোল্লা খুব শান্ত স্বভাবের মানুষ। তিনি শারীরিকভাবেও কিছুটা অসুস্থ। তার স্ত্রী ও সন্তানেরা ছিল পর্দানশীল। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তারা বাড়ি থেকে বের হতেন না। পর্দার কারণে স্বজনদের অনেকে আশিকুলের স্ত্রীর মুখ দেখেননি। তিনি পর্দার আড়ালে থেকে কথাবার্তা বলতেন। আশিকুল হক ঋণগ্রস্ত থাকার কথা এর আগেও অনেককে জানিয়েছিলেন।

আশিকুল হক মোল্লার মামাতো ভাই ও নিকট প্রতিবেশী মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম (৪১) বলেন, ঘটনার প্রায় এক মাস আগে তিনি মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেয়েছিলেন। তখন তাকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। ঘটনার তিন থেকে চার মাস আগে সৈয়দপুর ও রংপুরের দুই মানসিক চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন। তার মধ্যেই তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ওই ঘটনায় আশিকুল হক মোল্লা প্রায় দুই মাস রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তাকে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছিল। শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে নীলফামারী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

ঠিকানা/এনআই
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041