মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিত করার জন্য গত ৭ মার্চ রাতে ক্যাপিটল ভবনে কংগ্রেসের এক যৌথ সভায় ভাষণ দেন। যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব টিভি মিডিয়ায় একযোগে সম্প্রচার করা হয়। হোয়াইট হাউজের সামনের রাস্তায় ফিলিস্তিন সমর্থক বেশ কিছু মানুষ সমবেত হয়ে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকায় প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা নির্ধারিত রাস্তার পরিবর্তে বিকল্প পথে বাইডেনকে ক্যাপিটল ভবনে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় সেখানে পৌঁছতে তার খানিকটা বিলম্ব হয়। যে কারণে রাত ৯টায় তার ভাষণের সময় নির্ধারিত থাকলেও রাত সোয়া ৯টার কিছু পরে তাকে ভাষণ শুরু করতে হয়। স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণ সাধারণত যথাসময়ে শুরু করার ঐতিহ্য রয়েছে।
তথ্য মতে, ১৯৩৫ সালে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট প্রথম এই ভাষণটিকে ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণ হিসেবে নামকরণ করেন এবং ১৯৪৭ হিসেবে নামকরণ করেন এবং ১৯৪৭ সালে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যানের ভাষণ প্রথম টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। মার্কিন সংবিধান সব প্রেসিডেন্টের জন্য প্রতি বছর এই ভাষণ প্রদানকে বাধ্যবাধকতা দিয়েছে। মার্কিন সংবিধানের আর্টিকেল দুই-এর ৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘ÔThe President shall time to time give to Congress information of the State of the Union and recommend to their consideration such measures as he shall Judge necessary and expedient’.
প্রেসিডেন্টের ভাষণের পোডিয়ামের (Podium) পেছনে বসা ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও হাউজ স্পিকার মাইক জনসন। ভাষণের শুরুতেই দেখা গেলো অন্যরকম এক বাইডেনকে। চিরাচরিত বাইডেন সবসময় যেমন নিম্ন স্বরে বিড়বিড় করে কথা বলেন, তার বদলে তাকে দেখা গেলো এক জ্বালাময়ী ও সাবলীল বক্তা হিসাবে। দীর্ঘ ১ ঘণ্টা ৭ মিনিট স্থায়ী ভাষণের কোনো পর্যায়ে ভাষণ প্রদানে তাকে বেগ পেতে দেখা যায়নি। ভাষণের স্থল কংগ্রেস ভবনে তিনি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ৩৬ বছর কাটিয়েছেন। জায়গাটি তার অতি পরিচিত। আর সেজন্যই বোধ করি সব জড়তা কাটিয়ে তিনি তার মনের কথাগুলো অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দে বলে যেতে সক্ষম হয়েছেন। নির্বাচনের বছরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে বিদ্যমান বহু Physical ও economic চ্যালেঞ্জ থাকায় তার এই ভাষণের প্রতি বহু মহলের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। সে কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতি তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি তার সম্পর্কে ট্রাম্প ও রিপাবলিকানদের তোলা নানা অভিযোগের সমুচিত জবাব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভাষণের শুরুতেই তিনি নিজেকে প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন, রুজভেল্ট ও আব্রাহাম লিংকনের সঙ্গে তুলনা করে ট্রাম্পসহ তার রিপাবলিকান বিরোধীদের হিটলার, নাৎসী ও কনফেডারেট নেতাদের সঙ্গে তুলনার প্রয়াস পান। সরাসরি ট্রাম্পের নাম উচ্চারণ না করে তিনি তাকে তার ‘পূর্বসুরী’ হিসাবে উল্লেখ করেন। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবন হামলা এবং নারীর গর্ভপাতের অধিকার বাতিলের ক্ষেত্রে তিনি তার পূর্বসুরীর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে তাকে এবং তার অনুসারীদের ‘গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের প্রতি হুমকিস্বরূপ’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি কংগ্রেস সদস্য ও দেশবাসীকে এই বলে আশ্বস্ত করেন, ‘ÔThe state of the Union is strong and is getting stronger’.
তার ভাষণের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক (Salient) নিচে তুলে ধরা হলো-
ক. রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে পরাজিত করার লক্ষ্যে ইউক্রেনকে আরো অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান। এই উদ্দেশ্যে তিনি কংগ্রেসকে অবিলম্বে ইউক্রেনকে ৬০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন করার আহ্বান জানান। পুতিনের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন বন্ধ করতে তাকে পরাজিত করা অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি মনে করেন। এ কারণে NATO-কে আরো শক্তিশালী করার উপরও সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
খ. নারীর প্রজনন স্বাধীনতা ও অধিকার (Women’s Reproductive freedom/rights) সমুন্নত রাখা ও নারী-স্বাস্থ্য উন্নয়ন গবেষণায় আরো বেশি অর্থ বিনিয়োগ করা হবে বলে তিনি জানান।
গ. মার্কিন সিনেট কর্তৃক পাসকৃত বর্ডার সিকিউরিটি বিল পাসের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইমিগ্রেশন জাজ ও বর্ডার সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ সম্ভব হবে। এ পর্যায়ে জর্জিয়ার রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান মার্জোরি টেইলর গ্রিন সম্প্রতি অবৈধভাবে প্রবেশকারী জনৈক মাইগ্রান্ট কর্তৃক জর্জিয়ার ২২ বছর বয়সী নার্সিং ছাত্রী ল্যাকেন রাইলি হত্যার প্রতি বাইডেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে বাইডেন জানান, একজন Illegal দ্বারা একজন তরুণী হত্যার শিকার হয়েছেন। বহু মানুষ Legal নাগরিকদের দ্বারাও হত্যার শিকার হয়।
পরে ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমর বাইডেনের illegal শব্দ ব্যবহারের সমালোচনা করে বলেন, কোন মানুষ illegal হতে পারে না।
ঘ. বাইডেন দাবি করেন, তার আমলে অর্থনীতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে এবং এই উন্নতির ধারা অব্যাহত আছে। বেকারত্বের হার ৪ ভাগের নিচে এবং মুদ্রাস্ফীতির হার ৯ ভাগ থেকে ৩ ভাগে নেমে এসেছে। ১৫ মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে এবং অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন ও সংস্কার সাধন হয়েছে।
বলা প্রয়োজন, মার্কিন জনগণ তাদের পকেটে এবং ব্যাংকের হিসেবে টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের 401K ফুলে ফেঁপে উঠেছে কীনা- তার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
বাইডেনের পলিসি সেটা করতে কতোটা সক্ষম হয়েছে, তা নিয়ে তাদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। তাছাড়া জীবনযাত্রার ব্যয়, বাড়ি ভাড়া ও মর্টগেজের সুদের হার বৃদ্ধির কারণেও জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বিদ্যমান।
ঙ. ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ সম্পর্কে বাইডেন জানান, যুদ্ধে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি হতাহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তাদের জন্য অবিলম্বে ব্যাপক মাত্রায় মানবিক সাহায্য প্রেরণ অত্যন্ত জরুরি। তিনি অবশ্য ইসরাইলের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে হামাসের হাতে বন্দী জিম্মিদের মুক্ত করতে তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
বাইডেনের ভাষণ ডেমোক্র্যাটসহ বহু মানুষের প্রশংসা পেয়েছে। তার Fiery ভাষণ প্রমাণ করেছে, He is very alive। যদিও রিপাবলিকানরা তার ভাষণকে একজন ক্রুদ্ধ (Angry) মানুষের প্রলাপ বলে উল্লেখ করেছেন। ট্রাম্প তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, ÔThis was an angry, polarizing hate-filled speechÕ.
বাইডেনের ভাষণকে কেউ কেউ কংগ্রেস চেম্বারের পরিবেশের সঙ্গে মানানসই নয় উল্লেখ করে ভাষণটি অনেকটা রাজনৈতিক কনভেনশনের ভাষণের রূপ পরিগ্রহ করেছে বলে মন্তব্য করেন। গর্ভপাত প্রশ্নে বাইডেনের শক্ত অবস্থানের কারণে ২০২৪ সালের নির্বাচনে নারী শক্তির প্রদর্শন হবে বলে বাইডেন মনে করেন, যা নির্বাচনে বাইডেনের বিজয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ভোটারদের অর্ধেক নারী এবং তাদের অধিকাংশ ‘আমার শরীর, আমার মর্জি’ এই নীতিতে বিশ্বাস করেন।
লেখক : কলামিস্ট।
তথ্য মতে, ১৯৩৫ সালে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট প্রথম এই ভাষণটিকে ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণ হিসেবে নামকরণ করেন এবং ১৯৪৭ হিসেবে নামকরণ করেন এবং ১৯৪৭ সালে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যানের ভাষণ প্রথম টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। মার্কিন সংবিধান সব প্রেসিডেন্টের জন্য প্রতি বছর এই ভাষণ প্রদানকে বাধ্যবাধকতা দিয়েছে। মার্কিন সংবিধানের আর্টিকেল দুই-এর ৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘ÔThe President shall time to time give to Congress information of the State of the Union and recommend to their consideration such measures as he shall Judge necessary and expedient’.
প্রেসিডেন্টের ভাষণের পোডিয়ামের (Podium) পেছনে বসা ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও হাউজ স্পিকার মাইক জনসন। ভাষণের শুরুতেই দেখা গেলো অন্যরকম এক বাইডেনকে। চিরাচরিত বাইডেন সবসময় যেমন নিম্ন স্বরে বিড়বিড় করে কথা বলেন, তার বদলে তাকে দেখা গেলো এক জ্বালাময়ী ও সাবলীল বক্তা হিসাবে। দীর্ঘ ১ ঘণ্টা ৭ মিনিট স্থায়ী ভাষণের কোনো পর্যায়ে ভাষণ প্রদানে তাকে বেগ পেতে দেখা যায়নি। ভাষণের স্থল কংগ্রেস ভবনে তিনি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ৩৬ বছর কাটিয়েছেন। জায়গাটি তার অতি পরিচিত। আর সেজন্যই বোধ করি সব জড়তা কাটিয়ে তিনি তার মনের কথাগুলো অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দে বলে যেতে সক্ষম হয়েছেন। নির্বাচনের বছরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে বিদ্যমান বহু Physical ও economic চ্যালেঞ্জ থাকায় তার এই ভাষণের প্রতি বহু মহলের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। সে কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতি তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি তার সম্পর্কে ট্রাম্প ও রিপাবলিকানদের তোলা নানা অভিযোগের সমুচিত জবাব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভাষণের শুরুতেই তিনি নিজেকে প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন, রুজভেল্ট ও আব্রাহাম লিংকনের সঙ্গে তুলনা করে ট্রাম্পসহ তার রিপাবলিকান বিরোধীদের হিটলার, নাৎসী ও কনফেডারেট নেতাদের সঙ্গে তুলনার প্রয়াস পান। সরাসরি ট্রাম্পের নাম উচ্চারণ না করে তিনি তাকে তার ‘পূর্বসুরী’ হিসাবে উল্লেখ করেন। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবন হামলা এবং নারীর গর্ভপাতের অধিকার বাতিলের ক্ষেত্রে তিনি তার পূর্বসুরীর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে তাকে এবং তার অনুসারীদের ‘গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের প্রতি হুমকিস্বরূপ’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি কংগ্রেস সদস্য ও দেশবাসীকে এই বলে আশ্বস্ত করেন, ‘ÔThe state of the Union is strong and is getting stronger’.
তার ভাষণের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক (Salient) নিচে তুলে ধরা হলো-
ক. রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে পরাজিত করার লক্ষ্যে ইউক্রেনকে আরো অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান। এই উদ্দেশ্যে তিনি কংগ্রেসকে অবিলম্বে ইউক্রেনকে ৬০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন করার আহ্বান জানান। পুতিনের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন বন্ধ করতে তাকে পরাজিত করা অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি মনে করেন। এ কারণে NATO-কে আরো শক্তিশালী করার উপরও সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
খ. নারীর প্রজনন স্বাধীনতা ও অধিকার (Women’s Reproductive freedom/rights) সমুন্নত রাখা ও নারী-স্বাস্থ্য উন্নয়ন গবেষণায় আরো বেশি অর্থ বিনিয়োগ করা হবে বলে তিনি জানান।
গ. মার্কিন সিনেট কর্তৃক পাসকৃত বর্ডার সিকিউরিটি বিল পাসের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইমিগ্রেশন জাজ ও বর্ডার সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ সম্ভব হবে। এ পর্যায়ে জর্জিয়ার রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান মার্জোরি টেইলর গ্রিন সম্প্রতি অবৈধভাবে প্রবেশকারী জনৈক মাইগ্রান্ট কর্তৃক জর্জিয়ার ২২ বছর বয়সী নার্সিং ছাত্রী ল্যাকেন রাইলি হত্যার প্রতি বাইডেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে বাইডেন জানান, একজন Illegal দ্বারা একজন তরুণী হত্যার শিকার হয়েছেন। বহু মানুষ Legal নাগরিকদের দ্বারাও হত্যার শিকার হয়।
পরে ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমর বাইডেনের illegal শব্দ ব্যবহারের সমালোচনা করে বলেন, কোন মানুষ illegal হতে পারে না।
ঘ. বাইডেন দাবি করেন, তার আমলে অর্থনীতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে এবং এই উন্নতির ধারা অব্যাহত আছে। বেকারত্বের হার ৪ ভাগের নিচে এবং মুদ্রাস্ফীতির হার ৯ ভাগ থেকে ৩ ভাগে নেমে এসেছে। ১৫ মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে এবং অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন ও সংস্কার সাধন হয়েছে।
বলা প্রয়োজন, মার্কিন জনগণ তাদের পকেটে এবং ব্যাংকের হিসেবে টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের 401K ফুলে ফেঁপে উঠেছে কীনা- তার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
বাইডেনের পলিসি সেটা করতে কতোটা সক্ষম হয়েছে, তা নিয়ে তাদের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। তাছাড়া জীবনযাত্রার ব্যয়, বাড়ি ভাড়া ও মর্টগেজের সুদের হার বৃদ্ধির কারণেও জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বিদ্যমান।
ঙ. ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ সম্পর্কে বাইডেন জানান, যুদ্ধে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি হতাহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তাদের জন্য অবিলম্বে ব্যাপক মাত্রায় মানবিক সাহায্য প্রেরণ অত্যন্ত জরুরি। তিনি অবশ্য ইসরাইলের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে হামাসের হাতে বন্দী জিম্মিদের মুক্ত করতে তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
বাইডেনের ভাষণ ডেমোক্র্যাটসহ বহু মানুষের প্রশংসা পেয়েছে। তার Fiery ভাষণ প্রমাণ করেছে, He is very alive। যদিও রিপাবলিকানরা তার ভাষণকে একজন ক্রুদ্ধ (Angry) মানুষের প্রলাপ বলে উল্লেখ করেছেন। ট্রাম্প তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, ÔThis was an angry, polarizing hate-filled speechÕ.
বাইডেনের ভাষণকে কেউ কেউ কংগ্রেস চেম্বারের পরিবেশের সঙ্গে মানানসই নয় উল্লেখ করে ভাষণটি অনেকটা রাজনৈতিক কনভেনশনের ভাষণের রূপ পরিগ্রহ করেছে বলে মন্তব্য করেন। গর্ভপাত প্রশ্নে বাইডেনের শক্ত অবস্থানের কারণে ২০২৪ সালের নির্বাচনে নারী শক্তির প্রদর্শন হবে বলে বাইডেন মনে করেন, যা নির্বাচনে বাইডেনের বিজয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ভোটারদের অর্ধেক নারী এবং তাদের অধিকাংশ ‘আমার শরীর, আমার মর্জি’ এই নীতিতে বিশ্বাস করেন।
লেখক : কলামিস্ট।