ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজসহ ১০ পণ্যের দাম কমেছে, কিছুটা স্বস্তিতে ভোক্তারা

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৯ , অনলাইন ভার্সন
ভোজ্যতেল, আটা-ময়দা, পেঁয়াজ ও রসুনসহ ১০ পণ্যের দাম কমেছে। এক মাসের ব্যবধানে পণ্যমূল্য হ্রাসে ভোক্তারা কিছুটা স্বস্তিও পাচ্ছেন। তবে রমজানে অধিক ব্যবহৃত ছোলা, বেসন, খেজুর, সব ধরনের মাংস ও ফল এখনো বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছু পণ্যের দাম কমলেও একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দুই মাস আগে থেকে এসব পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি করে আসছিল। এখন দাম কমিয়ে সরকারসংশ্লিষ্টরা ক্রেডিট নিচ্ছে। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে জানা যায়, এদিন প্রতিকেজি প্যাকেট আটা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক মাস আগে ৬৫ টাকা ছিল। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, যা আগে ৭০ টাকা ছিল। প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৩-১৬৫ টাকায়। যা আগে ১৭৩-১৭৫ টাকা ছিল। প্রতিকেজি মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। যা আগে ১৮০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকায়, যা এক মাস আগে ২৫০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি হলুদ ২৫০-২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ৩০০-৩৫০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। যা আগে ৯৫০-১০০০ টাকা ছিল। রুই মাছের কেজি ৩৫০ টাকা, যা ৪৫০ টাকা ছিল। 

এদিকে ভারত থেকে আমদানির খবরে অবৈধভাবে মজুত পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৭০ টাকায়। যা এক মাস আগে ১২০ টাকা ছিল।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরকারের একাধিক তদারকি সংস্থা বাজারে কাজ করছে। এতে করে কিছু পণ্যের দাম রোজায় কমাতে শুরু করেছে। তবে দেখা গেছে, যেসব পণ্যের দাম কমছে-তা রোজার আগেই দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন বেশি দামে বিক্রি করে বাড়তি মুনাফা করে এখন দাম কমানো হচ্ছে। এছাড়া বাজারে এখনো অনেক পণ্য অযৌক্তিক দামে বিক্রি হচ্ছে। তদারকির মাধ্যমে সেগুলোর দামও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এতে ক্রেতার স্বস্তি ফিরবে।

খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে মান ও দামভেদে সাদা মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। যা রোজার আগে ৭০ টাকা ছিল। মান ও বাজারভেদে প্রতিকেজি বেসন বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকায়। যা আগে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হতো। এছাড়া ইফতারে শরবত তৈরিতে ব্যবহৃত ইসবগুলের ভুসি, ট্যাং, রুহ-আফজা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ইসবগুলের ভুসি রোজার আগে ১ হাজার ৬০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ২ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি প্যাকেটজাত ট্যাং বিক্রি হয়েছে ৮৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০০ টাকা। বড় সাইজের রুহ-আফজা বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকায়। যা আগে ৩৫০ টাকা ছিল। ছোট সাইজের রুহ-আফজা বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। যা আগে ২০০ টাকা ছিল। সোমবার প্রতিলিটার খোলা সরিষার তেল বিক্রি হয়েছে ২৬০-২৭০ টাকায়। যা আগে ২৫০-২৬০ টাকা ছিল।

খুচরা বাজারে প্রতিকেজি লাল আপেল ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ২৬০-২৭০ টাকা ছিল। কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি। যা আগে ২৮০-৩০০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি আনার বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা। যা আগে ৩১০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি বরই বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। যা আগে ৭০-৮০ টাকা ছিল। পেয়ারার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। যা আগে ৬০-৭০ টাকা ছিল।

এদিকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে গরুর মাংস কেজিতে সর্বোচ্চ ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা এবং খাসির মাংস ১০০৩ টাকা ৫৬ পয়সায় বিক্রি করতে হবে। কিন্তু খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ ও খাসির মাংস ১১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে রাজধানীর দু-একটি দোকানে ৫৯৫ টাকা কেজিদরে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। তবে গরুর সব স্থানের হাড় ও মাংস মিলিয়ে বিক্রেতারা বিক্রি করছেন। তাই ক্রেতার লাভের তুলনায় লোকসানই গুনতে হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ ও ৩৫০ টাকা। দেশি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা।

ঠিকানা/ছালিক 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041