ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না

প্রকাশ : ১২-০৩-২০২৩ ০৮:০১:০৩ পিএম , অনলাইন ভার্সন
ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রিভেলিয়ানকে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দুশ্চিন্তা না করার জন্য বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

আজ ১২ মার্চ (রবিবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।

নিজ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনের কথা তুলেছেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওনারা জিজ্ঞেস করেননি, আমি বলেছি আগামী নির্বাচনের কথা। আমরা একটা ক্রেডিবল (বিশ্বাসযোগ্য), স্বচ্ছ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। সেজন্য যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা উচিত আমরা সেগুলো তৈরি করেছি।

সরকার স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে— উল্লেখ করে মোমেন বলেন, নির্বাচন কমিশনকে অসংখ্য ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের সময় তারা যা চায় তাই করতে পারে। তখন অন্য কারো ক্ষমতা অ্যাপ্লাই (প্রয়োগ) করতে পারে না। আমাদের বিশ্বাস জনগণ আমাদের ভোট দেবে। আমরা জনগণের ওপর বিশ্বাস রাখি।

বাংলাদেশের জনগণ ভোটের সময় ভুল করে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের জনগণ অত্যন্ত সেয়ান। তারা অত্যন্ত পরিপক্ব। ভোটের সময় তারা কখনো ভুল ভোট দেয় না। সুতরাং, এসব নিয়ে আপনাদের দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।

নির্বাচন নিয়ে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য কী ছিল— জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি কিছু বলেননি, শুনেছেন। উনি বলেছেন, গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকতে পারে।

কোনো দুর্বলতা থাকলে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীকে বাংলাদেশ থেকে নেওয়ার পরামর্শ দেন মোমেন। তিনি বলেন, আমাদের রক্তে হচ্ছে গণতন্ত্র, ন্যায়পরায়ণতা, জাস্টিস ও মানবাধিকার। এসব বিষয়ে অন্য কেউ আমাদের শিক্ষা দেওয়ার স্কোপ (সুযোগ) নেই। আপনাদের দুর্বলতা থাকলে আমাদের থেকে নিতে পারেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিস্তর আলাপ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে অনেক অনেক আলাপ হয়েছে। ওটাই মূল ইস্যু ছিল। মিয়ানমারে সেনা শাসন আসার পর তাদের সঙ্গে আমাদের ডায়ালগ হয়েছে কি না জানতে চেয়েছেন তিনি। আমরা বললাম, হয়েছে।

শিগগিরই রোহিঙ্গাদের অবস্থান দেখতে মিয়ানমার থেকে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবেন বলেও ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীকে জানান মোমেন। ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিনের জন্য রাখাইনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও আসিয়ানের আটটি দেশসহ মোট ১১টি দেশের রাষ্ট্রদূত বা কনসাল জেনারেলদের রাখাইনে বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করিয়েছে মিয়ানমার। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, তারা মিয়ানমারে কি কি ঘরবাড়ি তৈরি করেছে, রোহিঙ্গারা ফেরত গেলে থাকতে পারবে কি না সেজন্য দেখাতে নিয়ে গেছে।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041