বাংলাদেশ চ্যাপ্টার নিয়ে আন্তর্জাতিক গেমের লাস্ট রাউন্ডে এসেও চীন এক জায়গায় স্থির হচ্ছে না। খেলছে সবদিকেই। তাদের গোল পয়েন্ট কেবল ঢাকায় নয়, সৌদি-ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্য ছাড়িয়ে গোটা ইউরেশীয়তে। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন ইরানকে অন্তর্ভুক্ত করে ইউরেশীয় গোষ্ঠীর প্রভাব প্রসারিত এবং বেলারুশের জন্য সদস্যপদ লাভের পথ খুলতে ৪ জুলাই অনলাইন শীর্ষ সম্মেলন করেছে, যার আয়োজক ভারত। চীনের জিনপিং, রাশিয়ার পুতিন, ভারতের মোদিও যার পার্ট। ২০০১ সালে চীন-রাশিয়ার নেতৃত্বে গঠিত এই সংস্থাটিতে পরে ভারত ও পাকিস্তানকেও নেওয়া হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে আবার কতটুকু অন্তরঙ্গ হয়ে ওঠেন, তা দেখতে উৎসুক বাংলাদেশসহ আশপাশের দেশগুলো। তবে ভারতের মতিগতি কিছুটা স্পষ্ট।
দিল্লির গায়ে পশ্চিমা বাতাস লাগার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের জবানিতে। ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর সব রাজনৈতিক দল এবং সব ধরনের সরকারের সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম বলে সবাইকে বার্তা দিয়েছেন তিনি। তা-ও জানিয়েছেন ঘটা করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৯ বছরের শাসনপূর্তি উপলক্ষে দিল্লিতে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে বক্তৃতার একপর্যায়ে বার্তাটি দেন তিনি। কোনো দেশের নাম না নিয়ে বলেন, ‘আশপাশে স্থিতিশীলতা স্থায়ীকরণে ভূমিকা আছে ভারতের। প্রতিবেশীদের রাজনৈতিক বিভাজন পেরিয়ে সব রাজনৈতিক দল এবং সব ধরনের সরকারের সঙ্গে কাজ করার ক্ষমতা ভারতের রয়েছে।’
নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর ভারতের বিজেপি নেতাদের সুর বদল এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের এ বক্তব্যের মাঝে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহল যে যার মতো মেসেজ বুঝে নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একটি বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যারা তার বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বেড়াচ্ছে, তারা শেষ পর্যন্ত বালিশ পাবে, ভাঙা জুতার বাড়িও খাবে। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিপক্ষকে ভয় দেখিয়েছেন, নাকি নিজের ভয় ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন-এ নিয়েও চলছে নানা বিশ্লেষণ। দৃশ্যত নানা কথা চলতে থাকলেও ভেতরের অবস্থা আসলে এখনো রহস্যঘেরা। তা বড় দুই দলসহ সব পক্ষেই। প্রকাশ্যে নানান প্রলাপ বকলেও সংলাপ নিয়ে রাজি-নারাজির মধ্যেই আসলে ভেতরে ভেতরে সংলাপ চলছে নানা ভেন্যুতে। সেখানে কারও অবস্থাই একদম নাজুক নয়, আবার নিরঙ্কুশও নয়। ক্ষমতার হেরফের হলে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের কচুকাটা করা হবে কি না, এ-সংক্রান্ত কথামালা বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। ইস্যুটা তুলে দিয়েছে সরকারই। তারা দাবি করছে, নিরপেক্ষ বা মধ্যবর্তী নির্বাচনকালীন সরকার হলে তাদের দলের অন্তত এক লাখ নেতাকর্মীকে নারকীয় যন্ত্রণায় ফেলা হবে। প্রাণেও মেরা ফেলা হতে পারে শত শত জনকে। এর জন্য তাদের অভিযোগের তীর সরাসরি বিএনপির দিকে। জবাবে বিএনপি তার উদারতা দেখাতে গিয়ে জানিয়েছে, সামান্যতম নৈরাজ্য তো নয়ই, হরতাল-অবরোধের মতো কাজও তারা করবে না। কিন্তু বাজার পরিস্থিতিসহ কিছু ইস্যুতে বিএনপি নিজেরা দূরে থেকে অন্য কোনো মহলকে দিয়ে দেশে লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে দিতে পারে বলে তথ্য আছে সরকারের কাছে। সরকারের মূল ভয়টা সেখানেই।
এরই মধ্যে চুয়াত্তরের কিছু সিনড্রম দেখছে সরকার। চুয়াত্তরের অভাব-দুর্ভিক্ষ, দ্রব্যমূল্যসহ বাজার পরিস্থিতির পেছনে দলীয় লোকদের ভূমিকার পাশাপাশি ছিল বঙ্গবন্ধুর বিরোধী শক্তির কারসাজি। দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও বঙ্গবন্ধুর সরকারের সর্বনাশ ঘটানোর অ্যাজেন্ডার একটি ছিল বাজার পরিস্থিতি। এবার তো প্রতিপক্ষের জন্য মাঠ ফাঁকা নেই। সরকারদলীয় সিন্ডিকেটই সর্বেসর্বা। যাচ্ছেতাই করে চলছে তারা। কাঁচা মরিচ থেকে শুকনা পেঁয়াজ, চাল-ডাল-তেল সবই তাদের কবজায়। যখন যেটা নিয়ে পারে কাণ্ড ঘটায় তারা। হাহাকার-হুলুস্থুলের মধ্যে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। সরকার কোনোমতে একটা সামলাতে না সামলাতেই এই চক্র সওয়ার হয় আরেকটার ওপর। মানুষ মুখস্থ গালিগালাজ করে সরকারের। স্মরণ করে চুয়াত্তরের কথা। চুয়াত্তরের অপশক্তি ও সিন্ডিকেটকে রুখতে হেন চেষ্টা নেই, যা না করেছেন বঙ্গবন্ধু। কেবল ডাক-দোহাই, তিরস্কার নয়; একপর্যায়ে সেনাবাহিনীও নামিয়েছিলেন তিনি। একে একে ধরা পড়তে থাকে নিজ দলের কিছু হোমরাচোমরা। দলের ভেতরের আপত্তি-অসন্তোষে কিছুদিনের মধ্যে মাঠ থেকে তুলে নিতে হয় সেনাবাহিনীকে। এবার সময় ও পরিস্থিতি ভিন্ন। প্রেক্ষাপটও বদলেছে। কিন্তু পারিপার্শ্বিকতায় বেশ মিল। বাজার সামলানো, দল নিয়ন্ত্রণ, আসন্ন নির্বাচন, বৈশ্বিক আবহসহ যাবতীয় সিডর সামলাতেই সরকার ক্লান্ত প্রায়। এসবের অনিবার্যতায় নতুন অর্থবছর শুরু করতে হয়েছে কৃচ্ছ্রসাধনের বার্তা দিয়ে। চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে কৃচ্ছ্রসাধনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ ও সরকারি দপ্তরে গাড়ি কেনা বন্ধের ঘোষণা দিয়ে রোববার রাতে জারি করা হয়েছে প্রেস নোটটি। এতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও ২৫ শতাংশ অর্থ সাশ্রয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে পাঠানো পরিপত্রের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদেশ সফর কমাতে। পাশাপাশি আগামী এক বছরে মোটরযান, জলযান ও আকাশযান খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রেস নোট হিসেবে এটি নতুন হলেও নির্দেশনা হিসেবে নতুন নয়। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও এর আগে একাধিকবার এসব নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশ কাগজে-কলমেই থেকেছে। সিন্ডিকেট-কাণ্ডে চাল-ডাল থেকে কোরবানির চামড়া বা বরিশাল-পিরোজপুরের আমড়া সবখানেই তাদের থাবা। গত কদিন পেঁয়াজের পর তাদের আসর পড়ে কাঁচা মরিচেও। সিন্ডিকেট-কাণ্ডের মধ্যে এক প্রতিমন্ত্রী বলে বসেন, মন্ত্রীরাও সিন্ডিকেট করেন। নাম বললে তার প্রাণনাশের ভয়ের কথাও জানান তিনি। আর বাণিজ্যমন্ত্রী কয়েক দিন বলেছেন, সিন্ডিকেট ভাঙা খুব রিস্কি। সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সিন্ডিকেটকে রক্ষা করতে গিয়ে নানা অজুহাতসহ এদিক-সেদিক কথা বলে তালগোল পাকানোর আয়োজনও ব্যাপক, যা কখনো চরম হাস্যকর-বিরক্তিকর। কখনো কখনো বিনোদনেরও। লতি বা মরিচের উচ্চদরের জন্যও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকটসহ ইহলৌকিক নানা কারণ টেনে আনার একটা চাতুরী চলছে। বাজার জনগণের নিয়ন্ত্রণের বাইরে হলেও মোটেই সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বা অচেনা নয়। তারা পরাক্রমশালীও। চিনি, গম, ভোজ্য তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণকারী বা পেঁয়াজ-মরিচের কারবারিসহ বাণিজ্যাঙ্গনের বাদবাকিরা কেউই অন্ধকার জগতের বাসিন্দা নন। সিন্ডিকেট কে, কী, কারা এর স্রষ্টাÑএসব প্রশ্নের জবাব অনেকটাই আপেক্ষিক। এ চক্রের দিক থেকে আঘাতের শঙ্কায় আগাম বিলাপ রয়েছে সরকারের কারও কারও মধ্যে।
দিল্লির গায়ে পশ্চিমা বাতাস লাগার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের জবানিতে। ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর সব রাজনৈতিক দল এবং সব ধরনের সরকারের সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম বলে সবাইকে বার্তা দিয়েছেন তিনি। তা-ও জানিয়েছেন ঘটা করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৯ বছরের শাসনপূর্তি উপলক্ষে দিল্লিতে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে বক্তৃতার একপর্যায়ে বার্তাটি দেন তিনি। কোনো দেশের নাম না নিয়ে বলেন, ‘আশপাশে স্থিতিশীলতা স্থায়ীকরণে ভূমিকা আছে ভারতের। প্রতিবেশীদের রাজনৈতিক বিভাজন পেরিয়ে সব রাজনৈতিক দল এবং সব ধরনের সরকারের সঙ্গে কাজ করার ক্ষমতা ভারতের রয়েছে।’
নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর ভারতের বিজেপি নেতাদের সুর বদল এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের এ বক্তব্যের মাঝে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহল যে যার মতো মেসেজ বুঝে নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একটি বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যারা তার বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বেড়াচ্ছে, তারা শেষ পর্যন্ত বালিশ পাবে, ভাঙা জুতার বাড়িও খাবে। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিপক্ষকে ভয় দেখিয়েছেন, নাকি নিজের ভয় ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন-এ নিয়েও চলছে নানা বিশ্লেষণ। দৃশ্যত নানা কথা চলতে থাকলেও ভেতরের অবস্থা আসলে এখনো রহস্যঘেরা। তা বড় দুই দলসহ সব পক্ষেই। প্রকাশ্যে নানান প্রলাপ বকলেও সংলাপ নিয়ে রাজি-নারাজির মধ্যেই আসলে ভেতরে ভেতরে সংলাপ চলছে নানা ভেন্যুতে। সেখানে কারও অবস্থাই একদম নাজুক নয়, আবার নিরঙ্কুশও নয়। ক্ষমতার হেরফের হলে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের কচুকাটা করা হবে কি না, এ-সংক্রান্ত কথামালা বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। ইস্যুটা তুলে দিয়েছে সরকারই। তারা দাবি করছে, নিরপেক্ষ বা মধ্যবর্তী নির্বাচনকালীন সরকার হলে তাদের দলের অন্তত এক লাখ নেতাকর্মীকে নারকীয় যন্ত্রণায় ফেলা হবে। প্রাণেও মেরা ফেলা হতে পারে শত শত জনকে। এর জন্য তাদের অভিযোগের তীর সরাসরি বিএনপির দিকে। জবাবে বিএনপি তার উদারতা দেখাতে গিয়ে জানিয়েছে, সামান্যতম নৈরাজ্য তো নয়ই, হরতাল-অবরোধের মতো কাজও তারা করবে না। কিন্তু বাজার পরিস্থিতিসহ কিছু ইস্যুতে বিএনপি নিজেরা দূরে থেকে অন্য কোনো মহলকে দিয়ে দেশে লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে দিতে পারে বলে তথ্য আছে সরকারের কাছে। সরকারের মূল ভয়টা সেখানেই।
এরই মধ্যে চুয়াত্তরের কিছু সিনড্রম দেখছে সরকার। চুয়াত্তরের অভাব-দুর্ভিক্ষ, দ্রব্যমূল্যসহ বাজার পরিস্থিতির পেছনে দলীয় লোকদের ভূমিকার পাশাপাশি ছিল বঙ্গবন্ধুর বিরোধী শক্তির কারসাজি। দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও বঙ্গবন্ধুর সরকারের সর্বনাশ ঘটানোর অ্যাজেন্ডার একটি ছিল বাজার পরিস্থিতি। এবার তো প্রতিপক্ষের জন্য মাঠ ফাঁকা নেই। সরকারদলীয় সিন্ডিকেটই সর্বেসর্বা। যাচ্ছেতাই করে চলছে তারা। কাঁচা মরিচ থেকে শুকনা পেঁয়াজ, চাল-ডাল-তেল সবই তাদের কবজায়। যখন যেটা নিয়ে পারে কাণ্ড ঘটায় তারা। হাহাকার-হুলুস্থুলের মধ্যে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। সরকার কোনোমতে একটা সামলাতে না সামলাতেই এই চক্র সওয়ার হয় আরেকটার ওপর। মানুষ মুখস্থ গালিগালাজ করে সরকারের। স্মরণ করে চুয়াত্তরের কথা। চুয়াত্তরের অপশক্তি ও সিন্ডিকেটকে রুখতে হেন চেষ্টা নেই, যা না করেছেন বঙ্গবন্ধু। কেবল ডাক-দোহাই, তিরস্কার নয়; একপর্যায়ে সেনাবাহিনীও নামিয়েছিলেন তিনি। একে একে ধরা পড়তে থাকে নিজ দলের কিছু হোমরাচোমরা। দলের ভেতরের আপত্তি-অসন্তোষে কিছুদিনের মধ্যে মাঠ থেকে তুলে নিতে হয় সেনাবাহিনীকে। এবার সময় ও পরিস্থিতি ভিন্ন। প্রেক্ষাপটও বদলেছে। কিন্তু পারিপার্শ্বিকতায় বেশ মিল। বাজার সামলানো, দল নিয়ন্ত্রণ, আসন্ন নির্বাচন, বৈশ্বিক আবহসহ যাবতীয় সিডর সামলাতেই সরকার ক্লান্ত প্রায়। এসবের অনিবার্যতায় নতুন অর্থবছর শুরু করতে হয়েছে কৃচ্ছ্রসাধনের বার্তা দিয়ে। চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে কৃচ্ছ্রসাধনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ ও সরকারি দপ্তরে গাড়ি কেনা বন্ধের ঘোষণা দিয়ে রোববার রাতে জারি করা হয়েছে প্রেস নোটটি। এতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও ২৫ শতাংশ অর্থ সাশ্রয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে পাঠানো পরিপত্রের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদেশ সফর কমাতে। পাশাপাশি আগামী এক বছরে মোটরযান, জলযান ও আকাশযান খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রেস নোট হিসেবে এটি নতুন হলেও নির্দেশনা হিসেবে নতুন নয়। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও এর আগে একাধিকবার এসব নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশ কাগজে-কলমেই থেকেছে। সিন্ডিকেট-কাণ্ডে চাল-ডাল থেকে কোরবানির চামড়া বা বরিশাল-পিরোজপুরের আমড়া সবখানেই তাদের থাবা। গত কদিন পেঁয়াজের পর তাদের আসর পড়ে কাঁচা মরিচেও। সিন্ডিকেট-কাণ্ডের মধ্যে এক প্রতিমন্ত্রী বলে বসেন, মন্ত্রীরাও সিন্ডিকেট করেন। নাম বললে তার প্রাণনাশের ভয়ের কথাও জানান তিনি। আর বাণিজ্যমন্ত্রী কয়েক দিন বলেছেন, সিন্ডিকেট ভাঙা খুব রিস্কি। সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সিন্ডিকেটকে রক্ষা করতে গিয়ে নানা অজুহাতসহ এদিক-সেদিক কথা বলে তালগোল পাকানোর আয়োজনও ব্যাপক, যা কখনো চরম হাস্যকর-বিরক্তিকর। কখনো কখনো বিনোদনেরও। লতি বা মরিচের উচ্চদরের জন্যও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকটসহ ইহলৌকিক নানা কারণ টেনে আনার একটা চাতুরী চলছে। বাজার জনগণের নিয়ন্ত্রণের বাইরে হলেও মোটেই সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বা অচেনা নয়। তারা পরাক্রমশালীও। চিনি, গম, ভোজ্য তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণকারী বা পেঁয়াজ-মরিচের কারবারিসহ বাণিজ্যাঙ্গনের বাদবাকিরা কেউই অন্ধকার জগতের বাসিন্দা নন। সিন্ডিকেট কে, কী, কারা এর স্রষ্টাÑএসব প্রশ্নের জবাব অনেকটাই আপেক্ষিক। এ চক্রের দিক থেকে আঘাতের শঙ্কায় আগাম বিলাপ রয়েছে সরকারের কারও কারও মধ্যে।