
বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। কেবল বিএনপিই নয়, সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু অবাধ, নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পক্ষে জোরালো অবস্থান তাদের। নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপির কঠোর অবস্থান দলটির নেতৃত্বের প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা প্রশ্নসাপেক্ষ করে তুলেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফল সফর এবং ভারতকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান নেতা অভিভাবক তুল্য স্থানে প্রতিষ্ঠার প্রয়াস বিএনপিকে নতুন করে সংকটে ফেলেছে। কারণ ভারত শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শক্তিকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়। এ ব্যাপারে নানা কৌশলে সম্ভাব্য সব করণীয়ই করবে ভারত। যদিও বাহ্যত ভিন্নরূপেও তাকে দেখা যাবে। এ অবস্থাটা খোদ মার্কিন প্রশাসনের জন্যও বিব্রতকর।
নাম গোপন রাখার শর্তে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা ঠিকানাকে জানান, ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকে বিএনপির পক্ষে এক অভাবনীয় প্রস্তাব দিয়ে রাষ্ট্রদূতকে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করেন। বিএনপি মহাসচিব মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে গত সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরাসরি ফোন করে আলোচনা বসার প্রস্তাব দেয়ার কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে নির্বাচনকালীন সরকারে স্বরাষ্ট্রসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার কথাও বলেছিলেন। বিএনপি নেত্রী সে প্রস্তাব বিবেচনায় না নিয়ে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বিএনপি মহাসচিব তার উল্লেখ করে আসন্ন নির্বাচনে পুরনো প্রস্তাব বাস্তবায়ন এবং তা করতে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের যথাযথ পর্যায়ে ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত দুজন অত্যন্ত প্রভাবশালী মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতার কাছে বিষয়টি তুলেছেন। নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে বিএনপির নমনীয়তার কথাও জানান। একই সাথে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত সাপেক্ষে পশ্চিমা কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতরা বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে বলেছেন। তারা মনে করেন সে ধরনের পরিস্থিতিতে মানুষ ভোট দিতে পারলে বিএনপি ভালো ফলাফল করবে। নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যাওয়ার পর মুখ রক্ষার জন্য হলেও সরকারের কাছ থেকে সম্মানজনক ছাড় আশা করে বিএনপি।
সরকারি উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা যায়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য, ব্যাপক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে সরকার কিছু ছাড় দিয়ে একটা সম্মানজনক পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি বিরোধী নয়। কি ধরনের কতটা ছাড় দেয়া হবে তা উচ্চতর পর্যায়ের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় এ ব্রঅপারে অনমনীয় নয়। তবে গত নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্রসহ বিএনপির দাবি অনুযায়ী অন্য যেসব মন্ত্রণালয় চাইবে তা তাদের দেয়ার অবস্থানে এখনই নেই সরকার। তারা বিএনপিকে সর্বোচ্চ দু’জনকে মন্ত্রী করে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে পারে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার ব্যাপারে সরকার সব ব্যবস্থা নেবে। এ ব্যাপারে বিএনপির প্রস্তাবও বিবেচনায় নেবে। বিএনপির সাথে সরকার আলোচনায় বসতেও আগ্রহী। সে ক্ষেত্রে কেবল বিএনপি নয়, এরশাদের জাতীয় পার্টিকেও সংলাপে ডাকবে সরকার। ১৪ দলের শরিকদের সাথেও আলোচনায় বসবে। এ ব্যাপারে নেপথ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও ঢাকাস্থ জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি ভূমিকা রাখছেন বলেও জানা যায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাথে মোদির সফল আলোচনার পর বাংলাদেশ প্রশ্নে মার্কিন অবস্থানের লক্ষণীয় পরিবর্তন প্রত্যাশা করছেন কূটনৈতিক মহল। অবস্থাটা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও অনুধাবন করছেন। বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেছেন যে, দলের সাবেক এমপি ও সম্ভাবনাময় জনপ্রিয় নেতাদের নির্বাচনে দলগতভাবে বিএনপি না হলেও ব্যক্তিগতভাবে তাদের অংশগ্রহণের জন্য নানাভাবে চাপ দিচ্ছে সরকার। বিএনপির এ অভিযোগ যেমনি অস্বীকার করা যাবে না, আবার এটাও অনস্বীকার্য যে, দলটির অনেক নেতাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গভীরভাবে আগ্রহী। জনপ্রিয়, বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনাময় সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপিসহ জেলা, উপজেলার শতাধিক নেতা নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। মহাসচিবসহ অন্য অনেক নেতা এমনকি শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের পক্ষে তাদের ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। এ নিয়ে অভ্যন্তরীণভাবে প্রচণ্ড চাপে আছে বিএনপি।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিএনপি অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। বিএনপির এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল আগামী মাসেই ভারত যাচ্ছেন। বিজেপির শীষস্থানীয় নেতা, কয়েকজন মন্ত্রীর সাথেও তারা বৈঠকে মিলিত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর মোদির সাক্ষাৎও চাওয়া হবে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে এ ব্যাপারে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, ভারত বিএনপিসহ ভারতবিরোধী বলে পরিচিতদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চায়। সব রাজনৈতিক সামাজিক পেশাজীবী শক্তির সাথে তারা সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে আগ্রহী। একমাত্র জামায়াত এবং বিএনপির পাকিস্তান ঘেঁষা অংশটিকে তারা বিশ্বাস করে না। ভারতের সাথে তাদের সম্পর্কে যে দূরত্ব রয়েছে, তা শতভাগ কাটিয়ে তুলতে সচেষ্ট বিএনপি। নির্বাচনকালীন সরকারের বিএনপির প্রতিনিধিত্ব, শতভাগ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করাসহ অবাধ, নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত নির্বাচন সুনিশ্চিত করতে ভারতের সহযোগতিা চাইবে বিএনপি। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে যে প্রতিনিধি দল ভারত সফর করবে তার নেতৃত্বে থাকতে পারেন স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং তারেক রহমানের সর্বাধিক ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
নাম গোপন রাখার শর্তে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা ঠিকানাকে জানান, ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকে বিএনপির পক্ষে এক অভাবনীয় প্রস্তাব দিয়ে রাষ্ট্রদূতকে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করেন। বিএনপি মহাসচিব মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে গত সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরাসরি ফোন করে আলোচনা বসার প্রস্তাব দেয়ার কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে নির্বাচনকালীন সরকারে স্বরাষ্ট্রসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার কথাও বলেছিলেন। বিএনপি নেত্রী সে প্রস্তাব বিবেচনায় না নিয়ে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বিএনপি মহাসচিব তার উল্লেখ করে আসন্ন নির্বাচনে পুরনো প্রস্তাব বাস্তবায়ন এবং তা করতে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের যথাযথ পর্যায়ে ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত দুজন অত্যন্ত প্রভাবশালী মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতার কাছে বিষয়টি তুলেছেন। নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে বিএনপির নমনীয়তার কথাও জানান। একই সাথে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত সাপেক্ষে পশ্চিমা কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতরা বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে বলেছেন। তারা মনে করেন সে ধরনের পরিস্থিতিতে মানুষ ভোট দিতে পারলে বিএনপি ভালো ফলাফল করবে। নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যাওয়ার পর মুখ রক্ষার জন্য হলেও সরকারের কাছ থেকে সম্মানজনক ছাড় আশা করে বিএনপি।
সরকারি উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা যায়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য, ব্যাপক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে সরকার কিছু ছাড় দিয়ে একটা সম্মানজনক পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি বিরোধী নয়। কি ধরনের কতটা ছাড় দেয়া হবে তা উচ্চতর পর্যায়ের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় এ ব্রঅপারে অনমনীয় নয়। তবে গত নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্রসহ বিএনপির দাবি অনুযায়ী অন্য যেসব মন্ত্রণালয় চাইবে তা তাদের দেয়ার অবস্থানে এখনই নেই সরকার। তারা বিএনপিকে সর্বোচ্চ দু’জনকে মন্ত্রী করে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে পারে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার ব্যাপারে সরকার সব ব্যবস্থা নেবে। এ ব্যাপারে বিএনপির প্রস্তাবও বিবেচনায় নেবে। বিএনপির সাথে সরকার আলোচনায় বসতেও আগ্রহী। সে ক্ষেত্রে কেবল বিএনপি নয়, এরশাদের জাতীয় পার্টিকেও সংলাপে ডাকবে সরকার। ১৪ দলের শরিকদের সাথেও আলোচনায় বসবে। এ ব্যাপারে নেপথ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও ঢাকাস্থ জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি ভূমিকা রাখছেন বলেও জানা যায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাথে মোদির সফল আলোচনার পর বাংলাদেশ প্রশ্নে মার্কিন অবস্থানের লক্ষণীয় পরিবর্তন প্রত্যাশা করছেন কূটনৈতিক মহল। অবস্থাটা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও অনুধাবন করছেন। বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেছেন যে, দলের সাবেক এমপি ও সম্ভাবনাময় জনপ্রিয় নেতাদের নির্বাচনে দলগতভাবে বিএনপি না হলেও ব্যক্তিগতভাবে তাদের অংশগ্রহণের জন্য নানাভাবে চাপ দিচ্ছে সরকার। বিএনপির এ অভিযোগ যেমনি অস্বীকার করা যাবে না, আবার এটাও অনস্বীকার্য যে, দলটির অনেক নেতাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গভীরভাবে আগ্রহী। জনপ্রিয়, বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনাময় সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপিসহ জেলা, উপজেলার শতাধিক নেতা নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। মহাসচিবসহ অন্য অনেক নেতা এমনকি শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের পক্ষে তাদের ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। এ নিয়ে অভ্যন্তরীণভাবে প্রচণ্ড চাপে আছে বিএনপি।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিএনপি অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। বিএনপির এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল আগামী মাসেই ভারত যাচ্ছেন। বিজেপির শীষস্থানীয় নেতা, কয়েকজন মন্ত্রীর সাথেও তারা বৈঠকে মিলিত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর মোদির সাক্ষাৎও চাওয়া হবে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে এ ব্যাপারে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, ভারত বিএনপিসহ ভারতবিরোধী বলে পরিচিতদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চায়। সব রাজনৈতিক সামাজিক পেশাজীবী শক্তির সাথে তারা সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে আগ্রহী। একমাত্র জামায়াত এবং বিএনপির পাকিস্তান ঘেঁষা অংশটিকে তারা বিশ্বাস করে না। ভারতের সাথে তাদের সম্পর্কে যে দূরত্ব রয়েছে, তা শতভাগ কাটিয়ে তুলতে সচেষ্ট বিএনপি। নির্বাচনকালীন সরকারের বিএনপির প্রতিনিধিত্ব, শতভাগ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করাসহ অবাধ, নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত নির্বাচন সুনিশ্চিত করতে ভারতের সহযোগতিা চাইবে বিএনপি। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে যে প্রতিনিধি দল ভারত সফর করবে তার নেতৃত্বে থাকতে পারেন স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং তারেক রহমানের সর্বাধিক ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।