মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের বাধা পেরোনো বিলটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হলেও এ প্রসঙ্গে সেনেট কোথায় দাঁড়িয়ে আছে তা স্পষ্ট নয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক নিষিদ্ধ করবে এমন এক বিলের প্রতি সমর্থন বেড়েই চলেছে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের প্রথম আইনি বাধা পেরোনোর একদিন পর দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিলের সমর্থনে কথা বললেন।
“যদি তারা এটি পাশ করে, আমি স্বাক্ষর করবো।,” বলেছেন জো বাইডেন। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিষয়টি।
“প্রটেক্টিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেইন অ্যাডভারসারি কন্ট্রোল্ড অ্যাপলিকেশনস অ্যাক্ট” নামের বিলটি এ সপ্তাহের শুরুতে তোলা হয়। বিলটি পাশ হলে, মালিক কোম্পানি বাইটড্যান্স থেকে আলাদা হতে প্রায় ছয় মাস সময় পাবে সামাজিক মাধ্যমটি। অন্যথায়, মার্কিন অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি নিষিদ্ধ হওয়ার কথা রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেট।
এদিকে, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান দলের সমর্থকেরা বুধবারেই বিলটি ভোট বাক্সে আনতে পারেন বলে প্রতিবেদন করেছে সংবাদ সাইট সেমাফোর।
টিকটক বলেছে বিলটি অ্যাপের “সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা” জোরদার করার এক প্রয়াস।
“এ আইনের একটি পূর্বনির্ধারিত ফলাফল রয়েছে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা,” এক বিবৃতিতে বলেছে টিকটক।
“মার্কিন সরকার ১৭ কোটি আমেরিকানের সাংবিধানিক মত প্রকাশের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে৷ এটি লাখ লাখ ব্যবসার ক্ষতি করবে, শিল্পীদের ও দর্শকদের অস্বীকার করবে এবং সারা দেশে অগণিত নির্মাতার জীবিকা ধ্বংস করবে।”
এমন পরিস্থিতিতে, কোম্পানিটি কোটি কোটি ব্যবহারকারীকে এ ব্যবস্থার বিরোধিতা করতে উৎসাহিত করেছে। বিলটি পাশ করার আগে বৃহস্পতিবার টিকটক ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করেছে তারা যেন নিজ নিজ জনপ্রতিনিধিকে কল করে এর বিরোধিতার কথা জানান।
এ লক্ষ্যে পুশ নোটিফিকেশন পাঠিয়েছে সামাজিক মাধ্যমটি। নোটিফিকেশনটি অনেক অফিসে কলের বন্যা বইয়েছে। বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা কিশোরদের কাছ থেকে শত শত কল পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে এনগ্যাজেটের প্রতিবেদনে।
তবে, বিলটির আরেকজন বিশিষ্ট প্রতিপক্ষ রয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প তার অফিসে থাকাকালীন এক মার্কিন কোম্পানির কাছে টিকটক বিক্রি করার জন্য জোর করার চেষ্টা করলেও সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন তিনি আর মনে করেন না যে, অ্যাপটি নিষিদ্ধ করা উচিত।
“টিকটক নিষিদ্ধ করা হলে ফেইসবুক ও জাকার ‘স্মাক’ (ফেইসবুকের মালিক জাকারবার্গকে ব্যাঙ্গ করে) নিজেদের ব্যবসা দ্বিগুণ কবে।” নিজের সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশালে’ এক পোস্টে লিখেছেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের বাধা পেরোনো বিলটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হলেও এ প্রসঙ্গে সিনেট কোথায় দাঁড়িয়ে আছে তা স্পষ্ট নয়। সংবাদ সাইট সেমাফোর উল্লেখ করেছে, আইনটিকে সমর্থন করবেন কিনা সে বিষয়ে মন্তব্যের ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি সতর্ক ছিলেন কিছু বিশিষ্ট সিনেটর।
তবে, শিশু সুরক্ষা সম্পর্কে সিনেটের সাম্প্রতিক শুনানিতে বেশ কয়েকজন সিনেটর টিকটকের সিইও শউ চিউকে তার সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব, অ্যাপটির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ও মালিক কোম্পানি বাইটড্যান্সের কার্যক্রমের বিষয়ে চাপ দিয়েছিলেন।
ঠিকানা/এসআর
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক নিষিদ্ধ করবে এমন এক বিলের প্রতি সমর্থন বেড়েই চলেছে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের প্রথম আইনি বাধা পেরোনোর একদিন পর দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিলের সমর্থনে কথা বললেন।
“যদি তারা এটি পাশ করে, আমি স্বাক্ষর করবো।,” বলেছেন জো বাইডেন। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিষয়টি।
“প্রটেক্টিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেইন অ্যাডভারসারি কন্ট্রোল্ড অ্যাপলিকেশনস অ্যাক্ট” নামের বিলটি এ সপ্তাহের শুরুতে তোলা হয়। বিলটি পাশ হলে, মালিক কোম্পানি বাইটড্যান্স থেকে আলাদা হতে প্রায় ছয় মাস সময় পাবে সামাজিক মাধ্যমটি। অন্যথায়, মার্কিন অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি নিষিদ্ধ হওয়ার কথা রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেট।
এদিকে, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান দলের সমর্থকেরা বুধবারেই বিলটি ভোট বাক্সে আনতে পারেন বলে প্রতিবেদন করেছে সংবাদ সাইট সেমাফোর।
টিকটক বলেছে বিলটি অ্যাপের “সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা” জোরদার করার এক প্রয়াস।
“এ আইনের একটি পূর্বনির্ধারিত ফলাফল রয়েছে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা,” এক বিবৃতিতে বলেছে টিকটক।
“মার্কিন সরকার ১৭ কোটি আমেরিকানের সাংবিধানিক মত প্রকাশের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে৷ এটি লাখ লাখ ব্যবসার ক্ষতি করবে, শিল্পীদের ও দর্শকদের অস্বীকার করবে এবং সারা দেশে অগণিত নির্মাতার জীবিকা ধ্বংস করবে।”
এমন পরিস্থিতিতে, কোম্পানিটি কোটি কোটি ব্যবহারকারীকে এ ব্যবস্থার বিরোধিতা করতে উৎসাহিত করেছে। বিলটি পাশ করার আগে বৃহস্পতিবার টিকটক ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করেছে তারা যেন নিজ নিজ জনপ্রতিনিধিকে কল করে এর বিরোধিতার কথা জানান।
এ লক্ষ্যে পুশ নোটিফিকেশন পাঠিয়েছে সামাজিক মাধ্যমটি। নোটিফিকেশনটি অনেক অফিসে কলের বন্যা বইয়েছে। বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা কিশোরদের কাছ থেকে শত শত কল পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে এনগ্যাজেটের প্রতিবেদনে।
তবে, বিলটির আরেকজন বিশিষ্ট প্রতিপক্ষ রয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প তার অফিসে থাকাকালীন এক মার্কিন কোম্পানির কাছে টিকটক বিক্রি করার জন্য জোর করার চেষ্টা করলেও সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন তিনি আর মনে করেন না যে, অ্যাপটি নিষিদ্ধ করা উচিত।
“টিকটক নিষিদ্ধ করা হলে ফেইসবুক ও জাকার ‘স্মাক’ (ফেইসবুকের মালিক জাকারবার্গকে ব্যাঙ্গ করে) নিজেদের ব্যবসা দ্বিগুণ কবে।” নিজের সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশালে’ এক পোস্টে লিখেছেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের বাধা পেরোনো বিলটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হলেও এ প্রসঙ্গে সিনেট কোথায় দাঁড়িয়ে আছে তা স্পষ্ট নয়। সংবাদ সাইট সেমাফোর উল্লেখ করেছে, আইনটিকে সমর্থন করবেন কিনা সে বিষয়ে মন্তব্যের ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি সতর্ক ছিলেন কিছু বিশিষ্ট সিনেটর।
তবে, শিশু সুরক্ষা সম্পর্কে সিনেটের সাম্প্রতিক শুনানিতে বেশ কয়েকজন সিনেটর টিকটকের সিইও শউ চিউকে তার সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব, অ্যাপটির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ও মালিক কোম্পানি বাইটড্যান্সের কার্যক্রমের বিষয়ে চাপ দিয়েছিলেন।
ঠিকানা/এসআর