রমজান মাসের সঙ্গে খেজুরের সম্পর্কটি বহু পুরনো। মধ্য প্রাচ্যের শুকনো ও মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি পুরো বিশ্ব জুড়েই পরিচিত তার স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য।
সামনে আসতে চলছে রমজান মাস। খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙা রমজানের ঐতিহ্য। পবিত্র হাদিসেও খেজুর দিয়ে ইফতার করার কথা বলা আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সারাদিন রোজা রাখার পরে এমন জিনিস খাওয়া উচিত যাতে শরীর তাৎক্ষণিক শক্তি পায়। এক্ষেত্রে খেজুরের তুলনা নেই। খেজুর খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি খুবই পুষ্টিকর । খেজুরকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ইফতারে খেজুর খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়ঃ
পুষ্টি প্রদান করে: রোজা রাখার পর খেজুর খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরের পুষ্টিগুণ প্রচুর। এই ফল শরীরে প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি প্রদান করে এবং খুব সহজেই হজম হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, তামা, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। সারা দিন রোজা রাখার পরে শরীরে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট দ্রুত পূরণ করতে সাহায্য করে এই ফল।
পেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে: সারাদিন না খেয়ে থাকলে সন্ধ্যায় বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়। যার ফলে পেটের রোগ, হজমে গণ্ডগোল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। ইফতারের সময় খেজুর খাওয়া ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি সারাদিন উপবাসের পর অতিরিক্ত খেয়ে ফেলাও আটকায়। এতে প্রচুর ফাইবার থাকার কারণে অল্পেতেই পেট ভরা লাগে। তাছাড়া, খেজুর আমাদের শরীরে উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে। যার ফলে হজম ভালো হয়।
অ্যাসিডিটি রোধ করে: সারাদিন রোজা থাকার কারণে অ্যাসিডিটি হতে পারে। তবে খেজুর শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে শারীরিক অস্বস্তি কমায়।
রুচি বাড়াতে কাজ করে: খাবারের প্রতি অরুচি থাকে অনেকেরই। তারা যদি নিয়মিত খেজুর খান তবে উপকার পাবেন। কারণ খাবারে রুচি ফেরাতে কাজ করে উপকারী এই ফল। নিয়মিত দুই-তিনটি খেজুর খেলে খাবারের প্রতি আর অনীহা থাকবে না।
শক্তি দেয় : সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। খেজুর শারীরিক ক্লান্তি দূর করে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ রয়েছে। এতে সুগারের পরিমাণ এতটাই বেশি যে এ ফল খেলে অনেকটা শক্তি পাওয়া যায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ উপবাসের পর শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে খেজুরের এই সব গুণ। এ ছাড়া, খেজুরে থাকা ডায়েটারি ফাইবারও শরীরে দীর্ঘ সময় শক্তি বজায় রাখে।
শরীর ডিটক্সিফাই করে: সারাদিন রোজা রাখার থাকার ফলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমা হতে পারে। আর এই খারাপ কোলেস্টেরল ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে খেজুর।
ঠিকানা/ছালিক
সামনে আসতে চলছে রমজান মাস। খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙা রমজানের ঐতিহ্য। পবিত্র হাদিসেও খেজুর দিয়ে ইফতার করার কথা বলা আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সারাদিন রোজা রাখার পরে এমন জিনিস খাওয়া উচিত যাতে শরীর তাৎক্ষণিক শক্তি পায়। এক্ষেত্রে খেজুরের তুলনা নেই। খেজুর খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি খুবই পুষ্টিকর । খেজুরকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ইফতারে খেজুর খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়ঃ
পুষ্টি প্রদান করে: রোজা রাখার পর খেজুর খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরের পুষ্টিগুণ প্রচুর। এই ফল শরীরে প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি প্রদান করে এবং খুব সহজেই হজম হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, তামা, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। সারা দিন রোজা রাখার পরে শরীরে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট দ্রুত পূরণ করতে সাহায্য করে এই ফল।
পেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে: সারাদিন না খেয়ে থাকলে সন্ধ্যায় বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়। যার ফলে পেটের রোগ, হজমে গণ্ডগোল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। ইফতারের সময় খেজুর খাওয়া ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি সারাদিন উপবাসের পর অতিরিক্ত খেয়ে ফেলাও আটকায়। এতে প্রচুর ফাইবার থাকার কারণে অল্পেতেই পেট ভরা লাগে। তাছাড়া, খেজুর আমাদের শরীরে উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে। যার ফলে হজম ভালো হয়।
অ্যাসিডিটি রোধ করে: সারাদিন রোজা থাকার কারণে অ্যাসিডিটি হতে পারে। তবে খেজুর শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে শারীরিক অস্বস্তি কমায়।
রুচি বাড়াতে কাজ করে: খাবারের প্রতি অরুচি থাকে অনেকেরই। তারা যদি নিয়মিত খেজুর খান তবে উপকার পাবেন। কারণ খাবারে রুচি ফেরাতে কাজ করে উপকারী এই ফল। নিয়মিত দুই-তিনটি খেজুর খেলে খাবারের প্রতি আর অনীহা থাকবে না।
শক্তি দেয় : সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। খেজুর শারীরিক ক্লান্তি দূর করে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ রয়েছে। এতে সুগারের পরিমাণ এতটাই বেশি যে এ ফল খেলে অনেকটা শক্তি পাওয়া যায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ উপবাসের পর শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে খেজুরের এই সব গুণ। এ ছাড়া, খেজুরে থাকা ডায়েটারি ফাইবারও শরীরে দীর্ঘ সময় শক্তি বজায় রাখে।
শরীর ডিটক্সিফাই করে: সারাদিন রোজা রাখার থাকার ফলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমা হতে পারে। আর এই খারাপ কোলেস্টেরল ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে খেজুর।
ঠিকানা/ছালিক