নতুন প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী মিলল যুক্তরাজ্যের পানিতে

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৬ , অনলাইন ভার্সন
এখনও পর্যন্ত এ নতুন প্রজাতির প্রাণীর ১৪টি নমুনা খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যা থেকে ধারণা মেলে, প্রাণীটির আকার দুই থেকে পাঁচ সেন্টিমিটারের মধ্যে ও এটি এক ধরনের ‘সাইড-গিল সি স্লাগ’।  সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের পানিতে নতুন প্রজাতির একটি সামুদ্রিক প্রাণীর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

এর আগের ধারণা ছিল, পৃথিবীতে ‘প্লুরোব্রাঙ্কিড’ প্রজাতির কেবল দুই ধরনের সামুদ্রিক স্লাগ রয়েছে। তবে এতদিন পর্যন্ত এদের কোনোটিই যুক্তরাজ্যের পানিতে দেখা যায়নি। স্লাগ হচ্ছে শামুকের মতো দেখতে এমন প্রাণী, যার কোনো শক্ত খোলস নেই।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের দিকে সামুদ্রিক স্লাগের তৃতীয় প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের ‘সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার সায়েন্স (সেফাস)’-এর বিজ্ঞানীরা।

এ নতুন প্রজাতির প্রাণীর নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্লিউরোব্র্যাঙ্কিয়া ব্রিটানিকা’। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে পশ্চিম চ্যানেল ও সেল্টিক সাগরে এ প্রজাতির প্রথম সন্ধান পায় ‘সেফাস’ ও গবেষণা সংস্থা ‘স্প্যানিশ ইনস্টিটিউট অফ ওশনোগ্রাফি’।

এখনও পর্যন্ত এ নতুন প্রজাতির প্রাণীর ১৪টি নমুনা খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যা থেকে ধারণা মেলে, প্রাণীটির আকার দুই থেকে পাঁচ সেন্টিমিটারের মধ্যে ও এটি এক ধরনের ‘সাইড-গিল সি স্লাগ’।

অন্যান্য প্রজাতির সামুদ্রিক স্লাগ দেখতে সাধারণ হলেও ভূমধ্যসাগরের উষ্ণ পানিতে পাওয়া এ প্রজাতির সামুদ্রিক স্লাগ কিছুটা বৈচিত্র্যময়। বিজ্ঞানীদের ধারণা বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের চলমান প্রভাবের কারণে নতুন প্রজাতির এইসব সামুদ্রিক স্লাগ এতটা উত্তর দিকে চলে এসেছে।

প্রথমে গবেষকরা ভেবেছিলেন, এরইমধ্যে চেনা কোনো প্রাণীর নতুন বংশ খুঁজে পেয়েছেন। তবে প্রাণীটিকে নিয়ে আরও পরীক্ষা করার পর জানা যায়, এগুলো স্বতন্ত্র প্রজাতিই ছিল।

এ অনুসন্ধান চালানো সেফাস-এর সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রবিদ রস বুলিমোর বলেছেন, “আমরা ‘প্লিউরোব্র্যাঙ্কিয়া’র যে নতুন প্রজাতির সন্ধান পেয়েছি, তা নিশ্চিত হতে কেবল এর দুটি নমুনার ওপর সংক্ষিপ্ত পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এর আগে যুক্তরাজ্য বা এর চেয়েও উত্তর দিকের পানিসীমায় এ বংশের অন্য কোনও প্রজাতি নথিভুক্ত না হওয়ায় বিষয়টি আরও রোমাঞ্চকর ছিল।”
 
“স্পেনের ‘ইউনিভার্সিটি অফ কাডিজ’-এর সঙ্গে বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন করার পর আমরা জানতে পারি, এটি একটি তৃতীয় প্রজাতির প্রাণী। অর্থাৎ আমরা নতুন একটি প্রজাতি শনাক্ত করেছি।”

“প্রায়শই ধারণা করা হয়, যুক্তরাজ্যের পানিতে থাকা সকল প্রজাতি সম্পর্কেই আমরা জানি। তবে নতুন এ প্রজাতি মনে করিয়ে দেয়, আমাদের নিজস্ব বাড়ির উঠোন সম্পর্কে এখনও আমাদের অনেক কিছু শেখা বাকি।”

ইউনিভার্সিটি অফ কাডিজ-এর জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হুয়ান লুকাস সেরভেরা কুররাদো বলেছেন, “সেফাস-এর বিজ্ঞানীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন, তারা সামুদ্রিক স্লাগ ‘প্লিউরোব্র্যাঞ্চিয়া’র অন্তর্গত নতুন প্রজাতির প্রাণী সংগ্রহ করেছেন। তবে এর পরিচয় নিয়ে সন্দিহান তারা। আমি সত্যিই অবাক হয়েছিলাম তখন।”

“এর প্রথম কারণ – এ বংশের সামুদ্রিক প্রাণীর প্রজাতিগুলো ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে এর আগে কখনও দেখা যায়নি। দ্বিতীয়ত, ইউরোপীয় পানিতে এ শ্রেণির নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া সত্যিই রোমাঞ্চকর।”

নতুন এ প্রজাতি ফ্রান্সের পশ্চিম উপকূল, স্পেন ও পর্তুগালের উত্তর উপকূলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন লুকাস।

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078