আরসিবিসির বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ খারিজ

নিউইয়র্কের আদালতে রিজার্ভ চুরির মামলা চলবে

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৪, ২২:১৫ , অনলাইন ভার্সন
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সুপ্রিম কোর্ট। তবে ২০১৬ সালে সাইবার অপরাধীদের বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির মামলা এগিয়ে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। মামলাটি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ফিলিপাইনের গণমাধ্যম এনকোয়ারার ডটনেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১ মার্চ) স্টক এক্সচেঞ্জে দেওয়া নথিতে আরসিবিসি জানিয়েছে, তারা চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ আদালত থেকে একটি রায় পেয়েছে। এখন তারা পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম বিচার বিভাগ তথা আপিল বিভাগ আরসিবিসি ব্যাংক এবং তার অন্যান্য সহযোগী বিবাদীর বিরুদ্ধে—অর্থ রূপান্তর, রূপান্তরের ষড়যন্ত্র, সহায়তা এবং প্ররোচিত করা-সম্পর্কিত তিনটি অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।

এ ছাড়া ব্যক্তিগত এখতিয়ার না থাকায় চার আসামি—ইসমায়েল রেয়েস, ব্রিজিট ক্যাপিনা, রোমুয়াল্ডো আগাররাদো ও নেস্তর পিনেদাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আরসিবিসি বলেছে, আদালত রায়ে বলেছেন, প্রাপ্ত অর্থ ফেরতসহ অন্য পদক্ষেপের বিষয়ে আরসিবিসি এবং বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা চলবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালে এ মামলা করে। ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আসামি করে মামলাটি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ রূপান্তর, চুরি, আত্মসাৎ, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সহায়তা বা প্ররোচনা, জালিয়াতি (আরসিবিসির বিরুদ্ধে), জালিয়াতিতে সহায়তা বা প্ররোচনাসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট ব্যবস্থা (আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তর ব্যবস্থা) কাজে লাগিয়ে ৩৫টি ভুয়া বার্তার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নিউইয়র্ক শাখায় বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০০ কোটি ডলার চুরির চেষ্টা চালায় সাইবার অপরাধীরা। এর মধ্যে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার লোপাট করতে সক্ষম হয় তারা। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার আরসিবিসি ব্যাংক হয়ে ফিলিপাইনের বিভিন্ন ক্যাসিনোয় যায়। চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ডলার উদ্ধার করা হয়েছে; বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার এখনো অধরা।

রিজার্ভ চুরির তিন বছর পর ২০১৯ সালে ফিলিপাইনের আরসিবিসি, দেশটির ক্যাসিনোসহ ১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আর ৩ চীনা নাগরিককে আসামি করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটন সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে প্রথম মামলা করে বাংলাদেশ। অভিযোগে বলা হয়, দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আসামিরা অর্থ চুরি করেছে। তবে মামলার বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট আদালতের এখতিয়ার-বহির্ভূত বলে আরসিবিসিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পাল্টা মামলা করেন। মামলাটি খারিজের আবেদনও করেন তারা।

২০২০ সালের ২০ মার্চ দেওয়া রায়ে বলা হয়, মামলাটি টেকনিক্যাল হওয়ায় তা বিচারের জন্য গ্রহণ করা হয়নি, যদিও এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা দায়েরের সুযোগ আছে বলেও রায়ে মতামত দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৭ মে নিউইয়র্কের কাউন্টি সুপ্রিম কোর্টে আরেকটি মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ঠিকানা/এনআই
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041