ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে। ইবাদত বন্দেগিতে রাত পার করেন মুসল্লিরা। এই রাতে বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন মহান আল্লাহ তায়ালা।
‘লাইলাতুল বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রাত। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, আল্লাহ এই রাতে তাঁর বান্দাদের গুণাহ (অপরাধ) মাফ (ক্ষমা) করে দেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।
শবে বরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। তাই শবে বরাত থেকেই আসন্ন রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। আরবি দিনপঞ্জিকা অনুসারে, শাবান মাসের পরে আসে রমজান মাস। মহিমান্বিত এই রজনীতে নিউইয়র্কের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা কুইন্স, ব্রঙ্কস, ব্রুকলিন, ওজোনপার্কসহ বিভিন্ন মসজিদগুলোতে নেয়া হয় নানা উদ্যোগ। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিলো খতমে কোরআন, ওয়াজ, মিলাদ শরীফ, ব্যক্তিগত এবাদত, জিকির, বিশেষ মোনাজাত, তবারুক বিতরণ, সেহরি। নিজ বাসায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ পড়েন, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকিরে মগ্ন ছিলেন। অতীতের পাপ অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। একইসঙ্গে তারা ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।
এশার নামাজের পর থেকে মসজিদে অনেক মুসল্লি রাত জেগে নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতসহ দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। মসজিদে ‘পবিত্র শবে বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে দেশ-প্রবাস ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। পরদিন অনেকেই রোজা রাখেন।
দারুল সালাম মসজিদ : পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিবাগত রাতে নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় দারুস সালাম মসজিদে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর রাত ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামি শিক্ষাবিদ, মুফাসসিরে কোরআন ও স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) মাওলানা হাফেজ আহমদুল হক। তিনি পবিত্র শবে বরাতের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
ওয়াজ মাহফিলে নারীদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া ওয়াজ মাহফিল শেষে তবারক বিতরণ করা হয়।
আল আমিন জামে মসজিদ : এস্টোরিয়ায় আল আমিন জামে মসজিদে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়। বিকালে আছরের নামাজের থেকে কোরানে খতম শুরু হয়। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর তাফসির মাহফিলের শুরুতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কোরান তেলাওয়াত হয়। তেলাওয়াতে অংশ নেন মোহাম্মদ সাদমান আলম, নাহিদ আলী ওলিউর রহমান চৌধুরী, কিয়ান ওমর আহমদ, ইহান তরফদার, ইজাজ তরফদার, মাহির খান এলাহী প্রমুখ শিক্ষার্থী।
রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোরান ও হাদিসের আলোকে শবে বরাতের মহিমান্বিত রাতের ফজিলত নিয়ে আলোচনা করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামি চিন্তাবিদ ড. মুফতি আনসারুল করিম আল আজহার এবং আল আমিন জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা লুতফুর রহমান চৌধুরী।
বক্তৃতায় তারা বলেন, আমাদের প্রিয় হাবিব রসুলে পাক (সা.) শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে জান্নাতুল বাকীতে গিয়ে মৃত ব্যক্তিদের জন্য জিয়ারত করে দোয়া করেছেন। তাঁর উম্মতের জন্য এই রাতে বেশি বেশি ইবাদত করে নিজের ও মৃত ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করার জন্য বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, আখেরি জমানায় ফেতনাবাজদের কারণে আমার উম্মতের ইমান রাখা কঠিন হবে। এদের ব্যাপারে সতর্ক করে গিয়েছেন। আজ এই আখেরি জমানায় এসব মানুষরুপি দাজ্জালদের কাছ থেকে বেছে থাকার জন্য সমস্ত মুসলিম উম্মার প্রতি আহবান জানান।
আজমিকের পক্ষ থেকে সভাপতি শাহাব উদ্দীন মসজিদের সম্পদ হিসাবে মুসলিম কমিউনিটির স্বার্থে চুক্তিবদ্ধ আড়াইশো কবর কেনার জন্য এই ফজিলতের রাতে সবাইকে মুক্তহস্তে দান করার আহবান জানালে মুসল্লিদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়।
উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ, সদস্য ফজলে আলী চৌধুরী, সৈয়দ জসীম আলী, বোরহান আহমদ সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি ডা. আহসান উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আমিন হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাফায়ত খান, প্রজেক্ট ডাইরেক্টর আব্দুস সালাম মিয়া আজম, সহ-প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মুহিত পারভেজ, সদস্য আব্দুল হান্নান মোহাম্মদ ইসলাম, জসিম আহমেদ ছাদেক।
মুসল্লীদের মধ্যে ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রকিব, আব্দুস সালাম, মইনুল ইসলাম, শরীফ লষ্কর, মোহাম্মদ মিছবাউর রহমান, আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ সোহেল ভুইয়া, আব্দুল মতিন, মোহাম্মদ আবুল হাসেম, মুনিফ ওয়াহিদ প্রমুখ।
নামাজের পর মিলাদ পরিচালনা করেন হাফিজ তহুর রহমান, পেশ ইমাম নেছার আহমেদ ও সাকিব আহমেদ। বিশ্ব শান্তি ও মুসলিম বিশ্বের সকল জীবিত ও মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া পরিচালনা করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা লুতফুর রহমান চৌধুরী। রাতব্যাপী ইবাদত বন্দেগি, জিকির, তাহজ্জুত, সাহরি এবং ফজরের নামাজের মাধ্যমে পবিত্র রজনীর সমাপ্ত হয়।
‘লাইলাতুল বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রাত। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, আল্লাহ এই রাতে তাঁর বান্দাদের গুণাহ (অপরাধ) মাফ (ক্ষমা) করে দেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।
শবে বরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। তাই শবে বরাত থেকেই আসন্ন রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। আরবি দিনপঞ্জিকা অনুসারে, শাবান মাসের পরে আসে রমজান মাস। মহিমান্বিত এই রজনীতে নিউইয়র্কের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা কুইন্স, ব্রঙ্কস, ব্রুকলিন, ওজোনপার্কসহ বিভিন্ন মসজিদগুলোতে নেয়া হয় নানা উদ্যোগ। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিলো খতমে কোরআন, ওয়াজ, মিলাদ শরীফ, ব্যক্তিগত এবাদত, জিকির, বিশেষ মোনাজাত, তবারুক বিতরণ, সেহরি। নিজ বাসায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ পড়েন, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকিরে মগ্ন ছিলেন। অতীতের পাপ অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। একইসঙ্গে তারা ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।
এশার নামাজের পর থেকে মসজিদে অনেক মুসল্লি রাত জেগে নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতসহ দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। মসজিদে ‘পবিত্র শবে বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে দেশ-প্রবাস ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। পরদিন অনেকেই রোজা রাখেন।
দারুল সালাম মসজিদ : পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিবাগত রাতে নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় দারুস সালাম মসজিদে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর রাত ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামি শিক্ষাবিদ, মুফাসসিরে কোরআন ও স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) মাওলানা হাফেজ আহমদুল হক। তিনি পবিত্র শবে বরাতের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
ওয়াজ মাহফিলে নারীদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া ওয়াজ মাহফিল শেষে তবারক বিতরণ করা হয়।
আল আমিন জামে মসজিদ : এস্টোরিয়ায় আল আমিন জামে মসজিদে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়। বিকালে আছরের নামাজের থেকে কোরানে খতম শুরু হয়। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর তাফসির মাহফিলের শুরুতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কোরান তেলাওয়াত হয়। তেলাওয়াতে অংশ নেন মোহাম্মদ সাদমান আলম, নাহিদ আলী ওলিউর রহমান চৌধুরী, কিয়ান ওমর আহমদ, ইহান তরফদার, ইজাজ তরফদার, মাহির খান এলাহী প্রমুখ শিক্ষার্থী।
রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোরান ও হাদিসের আলোকে শবে বরাতের মহিমান্বিত রাতের ফজিলত নিয়ে আলোচনা করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামি চিন্তাবিদ ড. মুফতি আনসারুল করিম আল আজহার এবং আল আমিন জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা লুতফুর রহমান চৌধুরী।
বক্তৃতায় তারা বলেন, আমাদের প্রিয় হাবিব রসুলে পাক (সা.) শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে জান্নাতুল বাকীতে গিয়ে মৃত ব্যক্তিদের জন্য জিয়ারত করে দোয়া করেছেন। তাঁর উম্মতের জন্য এই রাতে বেশি বেশি ইবাদত করে নিজের ও মৃত ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করার জন্য বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, আখেরি জমানায় ফেতনাবাজদের কারণে আমার উম্মতের ইমান রাখা কঠিন হবে। এদের ব্যাপারে সতর্ক করে গিয়েছেন। আজ এই আখেরি জমানায় এসব মানুষরুপি দাজ্জালদের কাছ থেকে বেছে থাকার জন্য সমস্ত মুসলিম উম্মার প্রতি আহবান জানান।
আজমিকের পক্ষ থেকে সভাপতি শাহাব উদ্দীন মসজিদের সম্পদ হিসাবে মুসলিম কমিউনিটির স্বার্থে চুক্তিবদ্ধ আড়াইশো কবর কেনার জন্য এই ফজিলতের রাতে সবাইকে মুক্তহস্তে দান করার আহবান জানালে মুসল্লিদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়।
উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ, সদস্য ফজলে আলী চৌধুরী, সৈয়দ জসীম আলী, বোরহান আহমদ সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি ডা. আহসান উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আমিন হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাফায়ত খান, প্রজেক্ট ডাইরেক্টর আব্দুস সালাম মিয়া আজম, সহ-প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মুহিত পারভেজ, সদস্য আব্দুল হান্নান মোহাম্মদ ইসলাম, জসিম আহমেদ ছাদেক।
মুসল্লীদের মধ্যে ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রকিব, আব্দুস সালাম, মইনুল ইসলাম, শরীফ লষ্কর, মোহাম্মদ মিছবাউর রহমান, আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ সোহেল ভুইয়া, আব্দুল মতিন, মোহাম্মদ আবুল হাসেম, মুনিফ ওয়াহিদ প্রমুখ।
নামাজের পর মিলাদ পরিচালনা করেন হাফিজ তহুর রহমান, পেশ ইমাম নেছার আহমেদ ও সাকিব আহমেদ। বিশ্ব শান্তি ও মুসলিম বিশ্বের সকল জীবিত ও মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া পরিচালনা করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা লুতফুর রহমান চৌধুরী। রাতব্যাপী ইবাদত বন্দেগি, জিকির, তাহজ্জুত, সাহরি এবং ফজরের নামাজের মাধ্যমে পবিত্র রজনীর সমাপ্ত হয়।