পুলিশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৩, ০৯:১৭ , অনলাইন ভার্সন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ছড়াচ্ছে উত্তাপ। কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে, তা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলগুলোর অবস্থানও মুখোমুখি। বিরোধী দলের পক্ষ থেকেও রয়েছে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী দলের আন্দোলন জোরদার হলে তা দমনের মধ্য দিয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের ওপর বর্তায়। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। সে হিসাবে আর মাত্র কয়েক মাস পরই নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে পুলিশকে। শুধু নির্বাচন নয়, নির্বাচনের আগেই আগামী কয়েকটি মাসও পুলিশের জন্য হবে চ্যালেঞ্জিং। মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা বলছেন, তাদের ডিউটিও এখন আর আট ঘণ্টায় সীমাবদ্ধ নেই। ক্ষেত্রবিশেষে তা ১২ ঘণ্টাও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ঢাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি বিক্ষোভ ও সমাবেশের মতো পরিস্থিতি সামাল দিতেও ঘাম ঝরছে পুলিশের।
প্রচলিত অপরাধ দমনের পাশাপাশি বহুমাত্রিক অপরাধ দমন করতে গিয়ে এমনিতেই বাড়তি দায়িত্বের খড়্্গ রয়েছে পুলিশের ওপর। সিটি নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অসংখ্য ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক হুমকি-ধমকির ধরন দেখে সংশ্লিষ্টদের অনেকেই মনে করছেন, এবারের নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হবে না। তবে সরাসরি রাজনৈতিক অস্থিরতার হুমকি এখনো না পেলেও যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম করেই প্রস্তুত করা হচ্ছে পুলিশ বাহিনীকে। যাতে যেকোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে বেগ পেতে না হয়। ইতিমধ্যে পুলিশে নির্বাচনী রদবদলও হয়েছে বলে কথিত রয়েছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশের ২৯ কর্মকর্তাকে বদলি করার মধ্য দিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মাঠপর্যায়ে পুলিশি সক্ষমতার সমন্বয় করেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এ পর্যায়ে ২২ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার ও সাত ডিআইজিকে বদলি করা হয়। নির্বাচনের আগে এ ধরনের বদলি আরও হতে পারে।
সূত্র বলছে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার বদ্ধপরিকর। যে কারণে নির্বাচনের আগে ২২ পুলিশ সুপারকে পদায়নকৃত জেলাগুলোতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যদিও বিএনপি বলছে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। তবু অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চায় সরকার। এ কারণেই পুলিশ প্রশাসনে রদবদল আনা হয়েছে। এই রদবদলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারদের যেসব স্থানে পদায়ন করা হয়েছে, সেসব স্থানের রাজনৈতিক কিংবা অন্য কোনো বড় ধরনের অঘটন বা অপ্রত্যাশিত ঘটনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বও রয়েছে তাদের ওপর। যদি তারা সফল হন, তাহলে নির্বাচনের আগে তাদের আর কোথাও কোনো ধরনের বদলি করার সম্ভাবনা নেই।
ডিএমপির একটি সূত্র বলছে, সামনের দিনগুলোতে যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করতে প্রস্তুত পুলিশ। লজিস্টিকস সাপোর্ট বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এএসআই ও কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ ছাড়াও সার্বিক বিষয়গুলো আমলে নিয়েই একদিকে পুলিশ তাদের জনবলের বহর বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে পুলিশকে আধুনিক করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এ জন্য বাজেটও বাড়ানো হয়েছে পুলিশের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করাই পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দিন যতই যাচ্ছে, নির্বাচনকেন্দ্রিক পরিস্থিতিও ঘোলাটে হচ্ছে। পুলিশের জন্যও পরিস্থিতি ততই চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র (এআইজি, মিডিয়া) মনজুর রহমান বলেন, নির্বাচনের এখনো অনেক সময় বাকি। এখন যা হচ্ছে, তা সবই রুটিন ওয়ার্ক। গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়াও যেকোনো রাজনৈতিক ইস্যুতেই সব সময় সবচেয়ে বেশি উত্তাপ বিরাজ করে ঢাকার রাজপথে।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078