
ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে বিশেষ করে জন্মদিনে নিজ বিভাগের ছাত্রীকে বাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নানা কৌশলে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগের অন্ত নেই। এর মধ্যে এবারের ভুক্তভোগীর দাবি, একটি কোর্সে বিষয় নির্বাচনের সূত্র ধরে ফোনে কথা বলার পর থেকেই মেসেঞ্জার ও মোবাইলে ফোন দিয়ে গভীর রাতেও কথা বলতে চাইতেন তিনি।
দীর্ঘদিন নানাভাবে নিপীড়নের শিকার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এ নারী শিক্ষার্থী। তিনি জানান, ফোনে নানাভাবে হেনস্তা করতেন ওই শিক্ষক।
ভুক্তভোগী এ শিক্ষার্থী বলেন,
তাকে আমি একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে পেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি প্রতিটি ব্যাচের কোনো না কোনো নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করে আসছেন। আমার সঙ্গে জিরো ডিস্টেন্সে থাকার চেষ্টা করেন। আর বলেন যে, তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে হলে কী হতে পারে? এখন তো ধরতে সমস্যা নেই, কল্পনা করতেও সমস্যা নেই। তুমি তো অনেক লম্বা, তোমার সঙ্গে হাইটটা একটু দেখি। এমন আরও অশোভন অশোভন কথাবার্তা বলেন তিনি।
টার্গেট নারী শিক্ষার্থীদের গতিবিধি সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করতেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগী এ শিক্ষার্থীর। বেজায় মানসিক যন্ত্রণায় তিনি অবশেষে ক্যাম্পাস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে, একই শিক্ষকের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাবেক অনেক শিক্ষার্থী। প্রস্তাবে সাড়া না দিলে গণহারে পরীক্ষায় নম্বর কমিয়ে দেয়া ও ভাইভায় অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়েও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আলাদা আলাদা অভিযোগও করেছেন শিক্ষার্থীরা।
অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন,
যারা অনার্সে ভালো রেজাল্ট করেছে, তারা একটা কোর্সে কেউ কেন ২.৭৫- এর ওপরে পাবে না! তিনি অনেক অবান্তর প্রশ্ন করেছেন। যেমন কুকুরের কয়েকটি জাতের নাম বলতে বলেন। কিন্তু এ ধরনের প্রশ্ন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার পাঠ্যক্রমের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে হয় না।
অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে ঢাবির প্রক্টর মাসুদুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগের একটি কপি আমি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপকের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঠিকানা/এসআর