‘বিশাল ব্যাটারি’ হয়ে উঠছে ইউরোপের গভীরতম খনি

প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১০:৫৪ , অনলাইন ভার্সন
এ মাধ্যাকর্ষণ ব্যাটারি সিস্টেমটি বানিয়েছে স্কটিশ কোম্পানি ‘গ্র্যাভিট্রিসিটি’, যারা এ ফিনিশ খনিটিকে এ প্রযুক্তির নমুনা পরীক্ষার প্রোটোটাইপ হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে। 
ফিনল্যান্ডের একটি পরিত্যক্ত খনি রূপান্তরিত হচ্ছে বিশাল এক ব্যাটারিতে, যেখানে অতিরিক্ত উৎপাদন চলাকালীন নবায়নযোগ্য শক্তি সংরক্ষণ করা যাবে।

দেশটির রাজধানী হেলসিঙ্কি থেকে প্রায় সাড়ে চারশ কিলোমিটার উত্তর দিকে অবস্থিত খনিটির নাম ‘দ্য ফাইহাসালমি মাইন’, যা ইউরোপের সবচেয়ে গভীর জিংক ও কপারের খনি। আর এর এক হাজার চারশ মিটার গভীর সুড়ঙ্গে দুই মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করা সম্ভব। 

পরিত্যক্ত খনিটিতে একটি মাধ্যাকর্ষণ ব্যাটারি বসবে, যেখানে কোনো ভারী বস্তু উত্তোলনে ব্যবহার করা হবে সৌর ও বায়ুর মতো নবায়নযোগ্য উৎস থেকে পাওয়া অতিরিক্ত শক্তি। আর কম উৎপাদন চলাকালীন সে ভারী বস্তুটি নীচে ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে একটি টার্বাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

এ মাধ্যাকর্ষণ ব্যাটারি সিস্টেমটি বানিয়েছে স্কটিশ কোম্পানি ‘গ্র্যাভিট্রিসিটি’, যারা এ ফিনিশ খনিটিকে এ প্রযুক্তির নমুনা পরীক্ষার প্রোটোটাইপ হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে।

“আমাদের প্রযুক্তি কীভাবে দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ সংরক্ষণের নির্ভরযোগ্য সমাধান হতে পারে, যেখানে কম উৎপাদন চলাকালীন শক্তি ধরে রেখে সংরক্ষণ করা সম্ভব, তার পুরোদস্তর নমুনা পরীক্ষা হবে প্রকল্পটিতে,” বলেন গ্র্যাভিটিসিটি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মার্টিন রাইট।

“এ পুরোদস্তর প্রকল্প অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রকল্পের জন্যেও সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে কোনো খনি বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের সমাধানটি ব্যবহারের সুযোগ করে দেবে।”

গত বছর অস্ট্রিয়াভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অ্যাপ্লায়েড সিস্টেমস অ্যানালাইসিস (আইআইএএসএ)’ অনুমান প্রকাশ করেছিল যে, মাটির নীচে থাকা পরিত্যক্ত খনিগুলোতে ঘণ্টায় ৭০ টেরাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করা সম্ভব, যা বৈশ্বিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট।

এইসব পুনর্ব্যবহারযোগ্য খনি থেকে বিভিন্ন কমিউনিটি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে, যারা এর আগে জীবিকা নির্বাহের জন্য খনির ওপর নির্ভর করতেন।

আইআইএএসএ’র বিশ্লেষকরা বলেন, এ ধরনের কাজ করার ক্ষেত্রে খনিগুলোর অবকাঠামো এরইমধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে পাওয়ার গ্রিডের সঙ্গেও সংযোগ রয়েছে।

“এর ফলে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড গ্র্যাভিটি এনার্জি স্টোরেজ’ কারখানা স্থাপনের খরচও অনেক কমে আসবে,” উল্লেখ রয়েছে গবেষণায়।

২০২২ সালে ফাইহাসালমি খনির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। গ্র্যাভিট্রিসিটি’র দাবি, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ছয়শটি চাকরির ওপর এর প্রভাব পড়েছিল। এ ছাড়াও, আরও বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে কাজ করার উপায় খোঁজা হচ্ছে খনিটিতে, যার মধ্যে রয়েছে একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনাও।

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041