নিউইয়র্কে উঠতি বয়সী বাংলাদেশি আমেরিকান ছেলেমেয়েদের মধ্যে নানা কারণে হতাশা বাড়ছে। তারা হতাশা ও কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তা থেকে পরিত্রাণ পেতে বিভিন্ন ধরনের ড্রাগে আসক্ত হচ্ছে। কেউ কেউ ওভারডোজে আসক্ত হয়ে পড়ছে। একসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় হঠাৎ মৃত্যু কিংবা হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছে টিনএজার ও তরুণ-তরুণীরা। নিউইয়র্ক পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এই স্টেটে গত এক বছরে ওভারডোজ ও ড্রাগে আসক্ত হয়ে ৭৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশি যেসব পরিবারের ছেলেমেয়েরা ড্রাগে আসক্ত হচ্ছে, সেসব পরিবারের অভিভাবকেরা সমাজ ও চক্ষুলজ্জার ভয়ে বিষয়গুলো দিনের পর দিন চেপে রাখেন। সন্তানদের নিয়ে ডাক্তারের কাছেও যান না। নীরবে সহ্য করে চলেন। একটা সময় তারা যখন আর পেরে ওঠেন না, তখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। কিন্তু তত দিনে বহু দেরি হয়ে যায়, সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। একসময় চোখের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তাদের অতি আদরের দুলাল বা দুলালী। যে সমাজের ভয়ে মা-বাবা তাদের সন্তানের আসক্তির বিষয়টি গোপন করেন, সেই সমাজও একটা পর্যায়ে সবকিছু জেনে যায়। তবে মারা যাওয়ার পর বেশির ভাগ পরিবারই ওভারডোজ বা ড্রাগ আসক্তিতে সন্তানের মৃত্যুর বিষয়টি গোপন করে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বলে সমাজে প্রচার করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা নির্দ্বিধায় সমাজের চোখের সামনে আনা দরকার। সন্তান নেশাগ্রস্ত হলে তা গোপন না করে পরিবারের উচিত তাকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা। সন্তানকে তিরস্কার না করে তাকে এই পথ পরিহার করতে সহায়তা করা। মা-বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের উচিত বিপথে যাওয়া সন্তানকে সময় দেওয়া। তার হতাশার কারণগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের ব্যবস্থা করা।
এ বিষয়ে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার পরিচালনা পরিষদের সেক্রেটারি আফতাব মান্নান বলেন, টিনএজার ও তরুণ-তরুণীদের একটা অংশ মাদকাসক্ত হওয়ার পাশাপাশি ওভার ডোজ নিচ্ছে। আমরা জানতে পেরেছি, এক বছরে মোট ৭৮ জন বাংলাদেশি আমেরিকান মারা গেছেন বলে নিউইয়র্ক পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। তিনি বলেন, খবরটি বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য আতঙ্কের। এসব ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুবই চিন্তিত। উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের এই সময়টায় যেখানে জীবন গড়ে নেওয়ার কথা, সেখানে তারা বিভিন্নভাবে আসক্ত হয়ে জীবনটা নষ্ট করছে। এক বছরে ৭৮ জন টগবগে তরুণের প্রাণ ঝরে যাওয়া আমেরিকার জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি তার পরিবারের জন্যও ক্ষতিকর।
তিনি আরও বলেন, উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীরা যে কেবল নিজেরা আসক্ত হচ্ছে বা ওভারডোজ নিয়ে নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছে, বিষয়টি এমন নয়, তারা পরিবারের জন্যও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর জন্য অবশ্য অনেক পরিবারের অভিভাবকেরাও দায়ী। এই প্রজন্মের সন্তানদের মনমানসিকতার বিষয়টি অনেক পরিবারেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে তারা হীনম্মন্যতায় ভুগছে। তারা একা একা থাকে। তাদেরকে যেভাবে মোটিভেট করা দরকার, সেভাবে হচ্ছে না। এ দেশে জন্ম নেওয়া কিংবা বেড়ে ওঠা সন্তানদের সমস্যা অনেক সময় বাবা-মা বুঝতে চান না। আসলে তাদের জন্য ইয়ুথ কাউন্সেলিং দরকার। তাদেরকে বোঝাতে হবে কোনটি ভালো আর কোনটি মন্দ। অনেক পরিবারেই দেখা যায় বাবা-মা দুজনই নিজেদের পেশা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। তারা সন্তানকে সময় দিতে পারেন না। আবার অনেক পরিবারে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ কিংবা সেপারেশনের কারণেও সন্তানেরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এসব কারণে অনেকেই অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখা ও গেম খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ে। সূত্র জানায়, জ্যামাইকায় এখন বেশ কয়েকটি গ্যাং তৈরি হয়েছে। এই গ্যাংয়ের মধ্যে বাংলাদেশিরাও জড়িয়ে পড়েছে। তারা মাদক নিচ্ছে। ওভারডোজ নিচ্ছে। তারা গ্যাংয়ের হয়ে কাজ করছে। বিভিন্ন ধরনের অপরাধও করছে। কখনো কখনো ছিনতাই করছে। এগুলো আমাদের কমিউনিটির জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত।
এদিকে বাংলাদেশি যেসব পরিবারের ছেলেমেয়েরা ড্রাগে আসক্ত হচ্ছে, সেসব পরিবারের অভিভাবকেরা সমাজ ও চক্ষুলজ্জার ভয়ে বিষয়গুলো দিনের পর দিন চেপে রাখেন। সন্তানদের নিয়ে ডাক্তারের কাছেও যান না। নীরবে সহ্য করে চলেন। একটা সময় তারা যখন আর পেরে ওঠেন না, তখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। কিন্তু তত দিনে বহু দেরি হয়ে যায়, সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। একসময় চোখের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তাদের অতি আদরের দুলাল বা দুলালী। যে সমাজের ভয়ে মা-বাবা তাদের সন্তানের আসক্তির বিষয়টি গোপন করেন, সেই সমাজও একটা পর্যায়ে সবকিছু জেনে যায়। তবে মারা যাওয়ার পর বেশির ভাগ পরিবারই ওভারডোজ বা ড্রাগ আসক্তিতে সন্তানের মৃত্যুর বিষয়টি গোপন করে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বলে সমাজে প্রচার করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা নির্দ্বিধায় সমাজের চোখের সামনে আনা দরকার। সন্তান নেশাগ্রস্ত হলে তা গোপন না করে পরিবারের উচিত তাকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা। সন্তানকে তিরস্কার না করে তাকে এই পথ পরিহার করতে সহায়তা করা। মা-বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের উচিত বিপথে যাওয়া সন্তানকে সময় দেওয়া। তার হতাশার কারণগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের ব্যবস্থা করা।
এ বিষয়ে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার পরিচালনা পরিষদের সেক্রেটারি আফতাব মান্নান বলেন, টিনএজার ও তরুণ-তরুণীদের একটা অংশ মাদকাসক্ত হওয়ার পাশাপাশি ওভার ডোজ নিচ্ছে। আমরা জানতে পেরেছি, এক বছরে মোট ৭৮ জন বাংলাদেশি আমেরিকান মারা গেছেন বলে নিউইয়র্ক পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। তিনি বলেন, খবরটি বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য আতঙ্কের। এসব ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুবই চিন্তিত। উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের এই সময়টায় যেখানে জীবন গড়ে নেওয়ার কথা, সেখানে তারা বিভিন্নভাবে আসক্ত হয়ে জীবনটা নষ্ট করছে। এক বছরে ৭৮ জন টগবগে তরুণের প্রাণ ঝরে যাওয়া আমেরিকার জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি তার পরিবারের জন্যও ক্ষতিকর।
তিনি আরও বলেন, উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীরা যে কেবল নিজেরা আসক্ত হচ্ছে বা ওভারডোজ নিয়ে নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছে, বিষয়টি এমন নয়, তারা পরিবারের জন্যও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর জন্য অবশ্য অনেক পরিবারের অভিভাবকেরাও দায়ী। এই প্রজন্মের সন্তানদের মনমানসিকতার বিষয়টি অনেক পরিবারেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে তারা হীনম্মন্যতায় ভুগছে। তারা একা একা থাকে। তাদেরকে যেভাবে মোটিভেট করা দরকার, সেভাবে হচ্ছে না। এ দেশে জন্ম নেওয়া কিংবা বেড়ে ওঠা সন্তানদের সমস্যা অনেক সময় বাবা-মা বুঝতে চান না। আসলে তাদের জন্য ইয়ুথ কাউন্সেলিং দরকার। তাদেরকে বোঝাতে হবে কোনটি ভালো আর কোনটি মন্দ। অনেক পরিবারেই দেখা যায় বাবা-মা দুজনই নিজেদের পেশা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। তারা সন্তানকে সময় দিতে পারেন না। আবার অনেক পরিবারে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ কিংবা সেপারেশনের কারণেও সন্তানেরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এসব কারণে অনেকেই অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখা ও গেম খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ে। সূত্র জানায়, জ্যামাইকায় এখন বেশ কয়েকটি গ্যাং তৈরি হয়েছে। এই গ্যাংয়ের মধ্যে বাংলাদেশিরাও জড়িয়ে পড়েছে। তারা মাদক নিচ্ছে। ওভারডোজ নিচ্ছে। তারা গ্যাংয়ের হয়ে কাজ করছে। বিভিন্ন ধরনের অপরাধও করছে। কখনো কখনো ছিনতাই করছে। এগুলো আমাদের কমিউনিটির জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত।