দাম ও গুণগত মানে তেমন পার্থক্য নেই

ভিনদেশি গ্রোসারিতে কেন  প্রবাসীদের এত ভিড়?

প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৩:১৪ , অনলাইন ভার্সন
পণ্যের দাম ও গুণগত মানে তেমন পার্থক্য নেই, তাহলে দেশীয় গ্রোসারি ফেলে বহু প্রবাসী কেন ভিনদেশি গ্রোসারিতে ভিড় করছেন? এ ব্যাপারে সদুত্তর মেলেনি কারো কাছ থেকেই। পক্ষে-বিপক্ষে নানান যুক্তি তুলে ধরেছেন অনেকে। কেউ বলেছেন, ভিনদেশি মালিকানাধীন গ্রোসারিতে একই ছাদের নিচে সব ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। কিছু পণ্যের দাম তুলনামূলক কম। পণ্যের গুণগত মানও ভালো। 
গ্রোসারি মালিকেরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের প্রশ্ন- ভিনদেশি বলতে যা বোঝায়, তারা কী বাংলাদেশি মালিকানাধীন গ্রোসারিতে যাচ্ছেন? উত্তর এসেছে তাদের কাছ থেকেই। তাদের মতে- ভিনদেশিদের দেশপ্রেম আছে। এজন্য তারা নিজ দেশের গ্রোসারিতে নিয়মিত বাজার সদায় কিনতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। কিন্তু বহু প্রবাসী আছেন, যারা ৫ সেন্টস কম দেখলেই অন্য গ্রোসারিতে দৌঁড় মারেন। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশি মালিকানাধীন গ্রোসারি মালিক ঠিকানাকে বলেন, তাদের গ্রোসারিতে এক ছাদের নিচে সব ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। এমনকী ভিনদেশি গ্রোসারি পণ্যের দাম যাচাই করে প্রতিদিন তারা দাম নির্ধারণ করেন। অনেক ক্ষেত্রে তাদের গ্রোসারির পণ্যের দাম তুলনামূলক কম থাকে। তারপরও যারা অন্য গ্রোসারিতে যান তাদের দেশপ্রেমের ঘাটতি আছে। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশি মালিকানাধীন আরেক গ্রোসারি মালিক ঠিকানাকে বলেন, পণ্যের দাম ও গুণগত মানের বিষয়টি একটি অজুহাত। কারণ বাংলাদেশিদের যে খাদ্যাভাস, তাতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন গ্রোসারি ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। আসল কারণ ভিন্ন। তার মতে- অনেক প্রবাসী ইবিটি বা স্ন্যাপ এবং উইক সুবিধা নেন। তাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি গ্রোসারিতে যেতে ইতস্ততবোধ করেন। অথচ বাংলাদেশি গ্রোসারিতে এ ধরনের কোনো সমস্যাই নেই। অনেকেই স্বাচ্ছন্দে তাদের গ্রোসারিতে ইবিটি বা স্ন্যাপ এবং উইক ব্যবহার করছেন। 
বাংলাদেশি আরেকজন গ্রোসারি ব্যবসায়ী বলেন, নিউইয়র্কে গ্রোসারি ব্যবসায় বাংলাদেশিরা এগিয়ে রয়েছেন। অর্থাৎ, বাংলাদেশি অধ্যুধিত এলাকাগুলোতে ভিনদেশিদের চেয়ে বাংলাদেশি গ্রোসারির সংখ্যা বেশী। তবে সংখ্যায় কম হলেও ভিনদেশি গ্রোসারির অধিকাংশ ক্রেতাই বাংলাদেশি। কিন্তু ভিনদেশি গ্রোসারিতে কোনো বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হয় না। এক্ষেত্রে ভিনদেশি গ্রোসারিগুলো তাদের দেশপ্রেমের চেতনায় নিজ দেশের মানুষকে চাকরি দিয়ে সহায়তা করছে। 
নিউইয়র্কের ৭৪ স্ট্রিটে একটি ভিনদেশি গ্রোসারি সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এই ১২ ঘণ্টায় যত ক্রেতা বাজার সদায় করতে সেখানে যান, তাদের ৯০ শতাংশই বাংলাদেশি। কিন্তু ক্যাশ কাউন্টারে একজন বাংলাদেশিও নেই। ওই গ্রোসারিতে একসময় বাংলাদেশি পণ্য পাওয়া যেত। কিন্তু এখন ২ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্য সেখানে নেই। বরং বাংলাদেশি ক্রেতা যত বাড়ছে, ততই বাংলাদেশি পণ্য বিক্রি কমছে। ভিনদেশি গ্রোসারিগুলো নিজ দেশের পণ্য প্রমোট করছেন নানাভাবে। 
৭৩ স্ট্রিটের একটি ভিনদেশি গ্রোসারিতে দেখা গেল একই চিত্র। হাজার হাজার পণ্যের সঙ্গে দু-একটি পণ্য থাকে বাংলাদেশি। কিন্তু তারপরও সেখানকার ক্রেতা ৯৯ ভাগ বাংলাদেশি। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে এ প্রতিবেদক কথা বলেছেন সেখানকার কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে। তাদের বেশিরভাগ বলেছেন, ভিনদেশি গ্রোসারিতে তারা ইবিটি বা স্ন্যাপ দিয়ে স্বাচ্ছন্দে বাজার সদায় করেন। কিন্তু অন্য গ্রোসারিতে ভিন্ন পরিবেশ পেয়েছেন তারা, যেটা কাম্য ছিল না। 
এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করে বাংলাদেশি একজন গ্রোসারি মালিক বলেন, ক্রেতাদের স্বাচ্ছন্দের কথা বিবেচনায় রেখে তারা ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এখন বাংলাদেশি গ্রোসারিগুলো কোনো দিক থেকে পিছিয়ে নেই। পণ্যের গুণগত মান ও দামের দিক বিবেচনায় বাংলাদেশি গ্রোসারিগুলোই এখন সেরা। আর এ কারণে শুধু নিউইয়র্ক নয়, নিউইয়র্কের বাইরের বিভিন্ন স্টেট থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাজার করতে নিজ দেশের গ্রোসারিতে আসছেন। যারা ভিনদেশি গ্রোসারিতে যান, এটা তাদের স্বাধীনতা, নিজস্ব স্বকীয়তা, এর বেশী কিছু নয়। 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078